সিন্থিয়ার আগের গল্প- গোঁফ আর লেজের রহস্য, শেফের কেক , শিম্পির বেড়ালছানা
“এই শিম্পিদিদি, ওই দ্যাখো প্রজাপতি উড়ছে। হা হা, ও তো আমাকেই দেখছে।”
আমি বললাম, “না না, শুধু তোকে নয়, ও আমাদের দুজনকেই দেখছে রে।”
এই শুনে প্রজাপতিও অবাক হয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল আমায়। তারপর উড়ে এসে একটা ফুলের ওপর বসল। আমি আস্তে আস্তে ফুলগাছের কাছে গিয়ে বললাম, “এই প্রজাপতি, বন্ধু হবে?”
পাশ থেকে আদি এসে বলল, “এই প্রজাপতি, ধপ্পা!”
‘ধপ্পা’ শুনে বাচ্চা প্রজাপতিটা দারুণ ঘাবড়ে গেল। সে টুক করে উড়ে পালিয়ে বসল একটা গাছের পাতায়। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। যদি ফিরে আসে! কিন্তু সে এল না। আদিও বল খেলতে খেলতে দৌড়ে পালিয়ে গেল অনেকটা দূরে।
আমি এসে মনের আনন্দে দোলনায় বসে দোল খেতে লাগলাম। দূর থেকে দেখতে থাকলাম রঙিন প্রজাপতিকে। প্রজাপতিও দেখছে আমায়। আর এখন সে মনে মনে ভাবছে, বন্ধু হলে কেমন হয়? ভাবতে ভাবতে সে টুক করে উড়েও এল। এসে বসল আমার দোলনার ওপর। আমি তো এখন দোলনা চড়ছি। সঙ্গে প্রজাপতি বন্ধুও দোলনা চড়ছে।
প্রজাপতি হেসে বলল, “জানো, আমার দোলনায় দুলতে খুব ভালো লাগছে।”
আমি বললাম, “আমি তো এখানে রোজ আসি। তুমি আমার সঙ্গে খেলতে আসবে?”
প্রজাপতি বলল, “আমি মাঝে মাঝে আসব। কারণ, আমি অন্য ফুলের বাগানেও যাই। এখানে তো মাত্র দুটোই ফুলের গাছ। বাকি গাছে যে ফুল নেই। জানো, মা একবার আমাকে একটা বাগানে নিয়ে গেছিল। সেখানে কত সুন্দর সুন্দর ফুল ছিল!”
আমি বললাম, “আচ্ছা, আমরা এখানে ফুলের বাগান বানাব? আমি মাকে বলব, অফিস থেকে ফেরার সময় ফুলের চারা নিয়ে আসবে।”
প্রজাপতি বলল, “হ্যাঁ, আমিও আমার পাখি বন্ধুকে বলব। সে এখানে এসে গাছের দানা ছড়িয়ে যাবে। সেইসব দানা থেকে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ হবে।”
কিছুদিন পর মালিকাকু এসে আমার মায়ের দেওয়া চারাগুলো এই পার্কে লাগিয়ে গেল। আর একটা পাখিও মুখে করে মাঝে-মাঝেই গাছের দানা ফেলে গেল।
আরও অনেকদিন পরে পার্কে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ হল। দেখতে দেখতে কিছু কিছু গাছ বড়োও হয়ে গেল। আরও কত রঙিন প্রজাপতি এল! কত পাখি এল! আমার অনেক বন্ধু হল। আমরা সব্বাই এখন খুব খুশি।
খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি