সিন্থিয়ার আগের গল্প- গোঁফ আর লেজের রহস্য, শেফের কেক , শিম্পির বেড়ালছানা, প্রজাপতি ও আমি
১। বুলবুলের কথা
আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে পিপির বাড়ি এসেছি। পিসিকে আমি পিপি বলি। পিপির বাড়িতে একটা মস্ত বাগান আছে। পিপি বলল, “বাগানে যাবি শিম্পি?”
আমি বললাম, “হ্যাঁ, যাব। এক্ষুনি চলো।”
বাগানে এসে দেখলাম অনেক ফুল—লাল, হলুদ, সাদা। আর অনেক গাছ। পিপির একটা তোতাপাখি আছে। সে আমগাছে থাকে। আমগাছটার কাছে গিয়ে পিপি ডাকল, “বুলবুল, বুলবুল।”
“কে এল? কে এল? বুল বুল। বুল বুল।” উড়ে এল রঙিন এক তোতাপাখি।
পিপি তার পাখির মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “এই দ্যাখ বুলবুল, কে এসেছে। আমাদের ছোট্ট শিম্পি এসেছে।”
আমি বললাম, “আমি ছোট্ট নই।”
বুলবুল বলল, “শিম্পি। শিম্পি। ছোট্ট না। ছোট্ট না।”
বুলবুলের কথা শুনে আমি খুবই মজা পেলাম। পিপি আর আমি ঝোলা থেকে দানা বের করে বুলবুলকে খেতে দিলাম। বুলবুলও লাফিয়ে লাফিয়ে দানা খেতে লাগল আর আমাকে দেখতে থাকল। আমার খুব ভালো লাগল। আসলে পিপি খুব ভালো। পিপি বুলবুলকে খাঁচায় বন্ধ করে না। বুলবুলও বাগানে খেলে, উড়ে দূরে পালায় না।
বাড়ি এসে বাবাকে বললাম, “আমিও পাখি নেব বাবা।”
বাবা বলল, “হ্যাঁ মা, এনে দেব।”
২। চিকুর দুষ্টুমি
পিপির বাড়িতে একটা পেয়ারাগাছ আছে। সেই গাছে অনেক অনেক পেয়ারা হয়। গাছের কাছে এসে পিপি বলল, “চিকুকে দেখবি শিম্পি? চিকু, চিকু, এদিকে আয়!”
আমাদের সঙ্গে বুলবুলও এসেছে। বুলবুল গাছের ডালে বসে আছে। ডানা দুলিয়ে সেও জোরে জোরে হাঁক ডাক শুরু করল, “চিকু আয়। চিকু আয়।”
চিকু পেয়ারাগাছে বাসা বানিয়ে থাকে আর খিদে পেলে কুটুর কুটুর করে পেয়ারা খায়। আজ চিকুর বাসা থেকে ঝুলছে কিছু রঙিন ফিতের অংশ। সে ফিতেগুলো নিয়ে গোলা পাকাচ্ছে।
পিপির গলা পেয়ে দুষ্টু কাঠবিড়ালি চিকু তার বাসা থেকে উঁকি মেরে দেখল। তারপর টুক করে লুকিয়ে পড়ল পাতার আড়ালে। পিপি তাকে বাদাম খেতে ডাকল। চিকু বাদাম ভালোবাসে। তাই সে গুটিগুটি চলে এল।
পিপি বলল, “এই চিকু! আমার রঙিন ফিতেগুলো নিয়ে এসেছিস কেন রে?”
বুলবুলও জিজ্ঞেস করল, “কেন রে? কেন রে?”
পিপি আর বুলবুলের কথা শুনে দুষ্টু চিকু দৌড়ে গাছে পালাল। আসলে চিকু ভেবেছে ফিতেগুলো নিয়ে ওর কাঠবিড়ালি বন্ধু টফির সঙ্গে খেলা করবে।
গাছের আরও কাছে গিয়ে পিপি বলল, “চিকু, কক্ষনো কারও জিনিস না বলে নিতে নেই।”
পিপির কথা শুনে চিকু বলল, “ক্রুক, ক্রুক।” লাজুক হাসি হেসে দুষ্টু কাঠবিড়ালিও বোঝাল, সে আর এরকম করবেই না।
খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি