“পেন্নাম হই কত্তা!”
খোনা গলার ডাকে গজুবাবুর চটকাটা ভেঙে গেল। বেলার দিকে তাঁর দোকানে বিশেষ কেউ আসে না, তাই এই সময়ে একটু ঝিমিয়ে নেন তিনি। রোজকার অভ্যাস। বিরক্ত হয়ে পিটপিট করে তাকালেন। একটা রোগা পাতলা, খেমো চেহারার লোক হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে।
“কে হে তুমি?”
“আজ্ঞে কত্তা বোদয় খুশি হননি আমায় দেকে!”
এই রে, বিরক্তিটা বোধহয় একটু বেশীই ফুটে উঠেছে চোখেমুখে। হাজার হোক, খদ্দের লক্ষ্মী! চেষ্টা করে একটু হাসি আনলেন মুখে, “মানে, আসলে এই সময়ে তো কোনো খদ্দের আসে না দোকানে…”
“কত্তা, ছোট মুকে বড় কতা, কিন্তু অন্য সময়েও কি খদ্দের আসে? তাইলে কি আর দোকান বেচে দেওয়ার কতা ভাবতেন কত্তা?”
এইবার একটু চমকে উঠলেন গজুবাবু। কে লোকটা? ছদ্মবেশী পুলিশ-টুলিশ নয় তো? সত্যিই তাঁর দোকানে আজকাল খদ্দের আসে না বিশেষ, ব্যাবসা একেবারে বন্ধই বলা চলে। যে ক’জন পুরোনো লোকজন আসে, আড্ডা মারতেই। এই বইয়ের দোকান তাঁর বাবার খোলা, নামও তাঁর নামেই, ‘ভজহরি বুক স্টোর্স।’ লোকে বলত ভজুবাবুর বইয়ের দোকান। গল্পের বই নয়, পড়ার বই। ছোটবেলা থেকেই গজানন বাবার সঙ্গে আসতেন দোকানে, তখন এই অঞ্চলে বইয়ের দোকান বলতে এটাই ছিল, বিক্রিবাটাও ভালোই হতো।
“বুঝলি গজু, বইয়ের ব্যাবসা করলে সরস্বতী আর লক্ষ্মী একসাথে আশীর্বাদ করবেন,” বাবা বলতেন। “আরো একটা সুবিধে হলো যে বই কখনো বাসী হয়ে নষ্ট হবে না মিষ্টি বা বিস্কুট লজেন্সের মতো।”
গজুবাবুও সেটাই মেনে এসেছেন এত বছর। কিন্তু ইদানিং লোকজনের রুচি বদলাচ্ছে। ইস্কুল থেকেই পাঠক্রমের বইপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তাছাড়া, বইপত্র পড়বার চেয়ে ছোটদের ভিডিও গেমস বা ডিভিডি কেনায় ইন্টারেস্ট বেশি। সেদিনই তো রমেশ ডাক্তার বলল, সে নাকি কাগজ কেনাই বন্ধ করে দিয়েছে, ইন্টারনেটেই সব খবর দেখে নেয়। পড়াশোনাও আজকাল ওই ইন্টারনেটে, তাহলে লোকে আর বই পড়বে কেন! ডাক্তার বুদ্ধি দেয় ইন্টারনেট সেন্টার খুলতে, তার সঙ্গে জেরক্স।
“কিন্তু আমি তো কিছুই জানিনা হে এইসবের!”
“সে আমার জানা বিশ্বাসী ছেলে আছে, সামলে দেবে। মাস গেলে সব মিটিয়ে ছেলেটার মাইনে দিয়েও হাতে ধরাবাঁধা হাজার পঞ্চাশ আসবে তোমার। শুধু এখন লাখখানেক ঢালতে হবে।”
“এক লাখ টাকা! কোথায় পাবো?”
“ভাই, কমসম করেই বললাম, ওটুকু তো লাগবেই! এখন কি আর ভজুবাবুর যুগ আছে!”
তা নেই। দাপুটে দোকানদার সেই ভজুবাবু এখন ফটো। প্রতি সোমবার গজুবাবু তাঁর মালাটা বদলে দেন, আর প্রতিদিন ধূপ জ্বালেন সেই ফটোর সামনে। বিড়বিড় করে বলেন, “বাবা, আমায় কী প্যাঁচে ফেলেছ দ্যাখো! তোমার সাধের দোকান বোধহয় আর রাখতে পারব না!” পিছন থেকে দেখলে মনে হবে উনি “পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম” বলে পুজো করছেন।
ভজুবাবুর এক মেয়ে। বিয়ে থা করে দিল্লীতে থাকে। ফি-বছর পুজোয় আসে, আর বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার বায়না করে। “কী হবে বল তো দোকান আঁকড়ে থেকে! কটা টাকাই বা আসে! ছাড়ো তোমার ওই বইয়ের ব্যাবসা!”
মানতে না চাইলেও, নিরূপায় তিনি। এভাবে চলবে না, ব্যাবসা বাঁচাতে গেলে টাকা ঢালতেই হবে। অথচ সঞ্চয় বলতে তেমন নেই, বউয়ের গয়নাগাঁটিও বিশেষ বাকি নেই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর। যা আছে, তাঁদের শেষ বয়সের ভরসা। কেউ তাঁকে ধারও দেবেনা এক লাখ টাকা। অগত্যা, তিনি প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন, তেমন পার্টি পেলে দোকানটা বেচে দিয়ে দিল্লীই চলে যাবেন স্বামী স্ত্রী মিলে।
কিন্তু এত্তসব এই লোকটা জানল কেমন করে! স্বরে একটু সম্ভ্রম ফুটিয়ে বললেন, “আসুন, ভিতরে আসুন!”
“হেঁ হেঁ কত্তা আমায় আপনি আজ্ঞে করবেন না, আমি হলেম ছোটখাট মানুষ। আপনি বোদয় আমায় চিনতে পারেননি, কিন্তু ভজুবাবু খুব চিনতেন আমায়।”
গজুবাবু নড়েচড়ে বসলেন। তাঁর বাবা চিনতেন? বয়স কতো লোকটার? ঠাহর হচ্ছে না, কিন্তু উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না। কোনো ধান্দাবাজ নয় তো? কিন্তু তাঁর ধান্দাই তো প্রায় চৌপাট, আর কীই বা করবে এ!
“ভয় পাবেন না কত্তা, আমি কোনো মতলব নিয়ে আসিনি। আপনার উপকার কত্তেই এসিচি।”
লোকটা কি মনের কথা টের পায়? বিস্ময় চেপে গজুবাবু বললেন, “কী উপকার শুনি?”
“বলচি, আগে একটু জল আর বাতাসা দেবেন না? অনেক দূর থেকে আসচি তো!”
গজুবাবু আবার চমকালেন। হ্যাঁ, তাঁর দোকানে একটা কৌটোয় বাতাসা থাকে বটে, আর এক কুঁজো জল। অতিথি কেউ আসেনা, তবু কেউ খাতিরের লোকজন এলে জল বাতাসা দেন। লোকটা তাহলে সেই খবরও রাখে! নাঃ, ব্যাপারটা দেখতে হচ্ছে!
চেয়ার ছেড়ে উঠে কাচের ডিশে চারটে বড় বাতাসা আর এক গেলাশ জল এগিয়ে দিলেন। লোকটা চোখ বুঁজে তৃপ্তি করে খেল। তারপর ছোট্ট একটা ঢেঁকুর তুলে বললো, “আহ, খুব শান্তি পেলেম। তবে কী জানেন কত্তা, ছোটমুকে বড় কতা, ভজুবাবুর কাছে যেমন সোনার রেকাবিতে মিষ্টি খেতেম, তেমন তিপ্তি হলো কই!”
এবার চমকে উঠে চেয়ার থেকে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন গজুবাবু। সোনার রেকাবি! একটা ছিল বটে, কিন্তু সে তো বহুদিন আগেকার কথা! হ্যাঁ এই দোকানেই থাকত। ভজুবাবু ছিলেন খুব শৌখিন মানুষ। বিশেষ অতিথিদের ঐ রেকাবিতেই সাজিয়ে দিতেন বড় সন্দেশ। সেই রেকাবি হঠাৎ হারিয়ে গেছিল, অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন ওটা চুরি হয়ে গেছে কোনোভাবে। দোকানে কোনো কর্মচারী রাখতেন না ভজুবাবু, ভিড় একাই সামলাতেন, কিন্তু খদ্দেরদের বিশ্বাস করতেন খুব। মেনে নিতে পারেননি কেউ ঐ রেকাবি চুরি করবে। মন ভেঙে গেছিল তাঁর। সেই যে বিছানা নিয়েছিলেন, তার মাসকয়েকের মধ্যেই তিনি মারা যান। আজ সেই সোনাবাঁধানো রেকাবির কিছু না হোক লাখখানেক টাকা দাম। টাকার টানাটানির সময়ে অনেকবার ভেবেছেন গজুবাবু, আহা, সেই রেকাবিটা আজ থাকলে দোকানটাকে বদলে ব্যাবসাটা বাঁচানো যেত! কিন্তু এই খেমো লোকটা সেই রেকাবির কথাও জানে! এতো কোনো সাধারণ মানুষ নয়!
“আপনি কে বলুন তো? অনেক খবর রাখেন দেখছি আমাদের?” গলার স্বর গম্ভীর করে প্রশ্ন করলেন গজুবাবু।
লোকটা খয়েরি মাড়ি বার করে খ্যা-খ্যা করে খানিক হাসল, “কত্তা ভয় পেয়ে গেলেন নাকি? আমি পুরোনো মানুষ, খেতি করবো না আপনার। তবে বলছিলেম কি…”
“হ্যাঁ, কী উপকারের কথা বলবেন বললেন?” কৌতুহল বাড়ছে গজুবাবুর।
“উপকার তো বটেই! অনেকদিন পরে এ তল্লাটে এলেম, ভাবলেম দুটো পুরোনো কতা বলে যাই। তা ভজুবাবু তো আর নেই, সেই রেকাবিতে মিষ্টি খেতেও পেলেম না। বলছিলেম কি, একটু যদি বড় দেরাজটার তলাটা খুঁজতেন, আপনার উপকারই হোত। সে যাক গে, দেখচি ভজুবাবুর উদ্যম আপনার মদ্দে নেই। থাকলে ব্যাবসাটা তুলে দেওয়ার কতা ভাবতেন না। টাকাকড়ির একটা ব্যবস্তা করতেন ঠিক। তা আর কী করা? যার যা নেই, তার তা নেই! আচ্চা, তাহলে আসি কত্তা, পেন্নাম!”
লোকটা চলে যাওয়ার পরেও কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে বসে রইলেন গজুবাবু। এইভাবে তাঁকে কথা শুনিয়ে গেল একটা চিমড়েপানা উটকো লোক! ধীরে ধীরে তাঁর রাগ হতে লাগলো। ভজুবাবুর ছিল জমিদারী মেজাজ, সেই রক্ত তাঁর শরীরেও বইছে। কী সাহস! বলে কিনা, তাঁর উদ্যম নেই! এক্ষুনি দেরাজের তলাটা খুঁজবেন তিনি।
যেই ভাবা, সেই কাজ, ধুতিটা কোমরে কষে বেঁধে দেরাজের পাল্লাটা খুললেন। হিসেবপত্তরের খাতা সাজানো থরে থরে, এখানে কী উপকারের জিনিস পাবেন তিনি? লোকটা বলেছিল দেরাজের তলাটা খুঁজতে। হ্যাঁ, একেবারে নীচের তাকে একটা বাক্স আছে বটে, তাতে কী আছে দেখেনও নি কখনো খুলে। টেনে দেখলেন, রাজ্যের পুরনো কাগজ। মেঝেতে থেবড়ে বসে সেই কাগজের বাণ্ডিল নামালেন তিনি।
খানিক বাদে তাঁর গিন্নি খেতে ডাকলেন, তিনি গেলেন না। গিন্নি খোঁজ করতে এলে, তাঁকেও বললেন সব খুলে।
“ও মা, লোকটা এতসব জানল কোত্থেকে!”
“আমিও তো তাই ভাবি!”
“আর তুমিও কার না কার কথায় ভর দুপুরে নোংরা কাগজ ঘাঁটতে বসলে!”
ভজুবাবু কী একটা কাগজ টেনে বার করে বললেন, “দ্যাখো তো, এটা যেন কোন জমির দলিল মনে হচ্ছে?”
“হ্যাঁ তাই তো!” গিন্নিও দেখলেন। কাঠাপাঁচেক জমি আছে তাঁর নামে, ভজুবাবু কবে কিনেছিলেন কে জানে… উৎসাহের চোটে তিনিও খুঁজতে লাগলেন কাগজের তাড়া। বেশিরভাগই তামাদি রশিদ, কিন্তু তার থেকে আরও বেরোল এই এলাকারই দুটো গুদোমঘরের কাগজ, ভাড়া দেওয়া। ভাড়া পান না বহু বছর। জানতেনই তো না! কত্তা গিন্নির চোখ কপালে উঠল!
“হ্যাঁগো, এতো অনেক টাকার সম্পত্তি! তুমি জানতেও না!”
“কী করে জানব! বাবা বলেননি কোনোদিন! হয়তো আমি বড়ো হলে বলবেন ভেবেছিলেন, তার আগেই…”
“এই দিয়ে আমাদের দোকানটা বড়ো করা যায় না?”
“অবশ্যই যায়! যা দরকার তার থেকেও বেশি পাব!”
“সত্যি তাহলে তো আমাদের উপকারই হল! কে এসেছিলেন গো?” তাঁর উদ্দেশ্যে একটা প্রণাম ঠুকলেন গিন্নী।
“কিন্তু রেকাবিটা…”
“সে রেকাবি আর কোথায় পাবে এত বছর বাদে! এই ঢের পেয়েছ, এখন চলো খাবে। কাল দয়াময়ী কালীবাড়ি গিয়ে একটা পুজো দেব দুজনে মিলে।”
গিন্নীর কথামত উঠেই পড়ছিলেন গজুবাবু, হঠাৎ কী মনে হতে বললেন, “দাঁড়াও তো, লোকটা বলেছিল দেরাজের তলাটা! আমি তো নীচের তাক খুঁজলাম শুধু! তলাটা একবার…”
“মাথা খারাপ নাকি তোমার! এত্ত বড় দেরাজের তলায় কী খুঁজবে!”
“দাঁড়াও না! হ্যাঁ ওই দিকটা একটু ঠেলে দাও তো!”
“কী সব্বোনাশ! বুড়ো বয়সে কোমর ভাঙবে নাকি!”
“আরে কিচ্ছু হবে না, দেখিই না!” কোমরে ধুতিটা ভাল করে জড়িয়ে হেঁইও করে টান দিতেই দেরাজটা বেশ খানিকটা সরে এল দেওয়াল থেকে। আর…
আর তার তলায় চকচক করে উঠলো ধুলোমাখা একটা সোনার রেকাবি!
আনন্দে কেঁদে ফেললেন গিন্নী “ওগো, সত্যি করে বলো, কে এসেছিলেন তোমার দোকানে!”
গজুবাবুও হতভম্ব। হুঁশ এলে বললেন, “গিন্নী, দোকানটা তো বদলাবই, ওই রেকাবিটাও ধুয়ে রাখব। হতভাগা বলে কিনা আমার উদ্যম নেই! ফের যেদিন আসবে, ওই রেকাবিতেই সন্দেশ খাওয়াব আমি! আমিও ভজুবাবুর ছেলে, হুঁ!”
তারপর সেই পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে, গুদোমঘর বিক্রি করে সেই টাকায় বইয়ের দোকান বন্ধ করে সেখানে ‘নেট ওয়ার্ল্ড’ দোকান খোলা হল। ছ’টা কম্প্যুটার আর একটা জেরক্স-স্ক্যান মেশিন বসিয়ে, একটা চটপটে ছেলে রেখে ভজুবাবুর ব্যাবসা হুড়হুড়িয়ে চলতে লাগল।
কিন্তু সেই খেমো লোকটা আর এলো না। না, ভুল বললাম। সে এসেছিল পাক্কা এক বচ্ছর পর, তবে ভজুবাবুর স্বপ্নে। আগের মতো বিগলিত,খোনা স্বরে বলে গেছিল “কত্তা, দোষ নেবেন না। আপনাকে চাগিয়ে তুলতেই সেদিন ওইভাবে বলেচি। আমি আপনার চেয়ে বয়সে অনেক বড়ো, কিন্তু আমাদের তো আর মানুষের হিসেবে বয়স হয় না, তাই সেটা বলে লাভ নেই। আপনি যখন খুব ছোট, আমি এই পাড়ার ছিঁচকে চোর ছিলেম। ওই রেকাবিটার ওপর আমার লোভ ছিল খুব। কিন্তু ভজুবাবুর কড়া নজর এড়িয়ে সরাতেও পারতেম না। একদিন ওনার নজর এড়িয়ে এক ফাঁকে দেরাজের তলায় ঢুকিয়ে রেখেছিলেম, ভেবেছিলেম পরে কখনো সুযোগ পেলে এসে নিয়ে যাব। সে সুযোগ আর হয়নি, তার আগেই একটা দুগ্ঘটনায় এপারে চলে এলেম। ওদিকে রেকাবির দুক্কে ভজুবাবুও চলে এলেন। সেই থেকে আপনার দোকানের ধারেকাছেই ঘুরে বেড়াই, খোঁজপত্তর রাখি। আপনার এখনকার অবস্তা দেখে বড্ড কষ্ট হলো তাই শরীর ধরে চলেই এলেম সেদিন আপনার কাচে। রেকাবিটার হদিশ দিয়ে পাপের বোঝা নামল, আর অপঘাতে মিত্তুর পর আপনার হাতে জল বাতাসাও পেলেম। এবার আমার মুক্তি। কত্তা, ছোট মুকে বড় কতা, আশীব্বাদ করি যেন সুকে শান্তিতে থাকেন সক্কলে!!”
ছবি মৌসুমী
সলিড!
LikeLike
ভালো লেখা কিন্তু ভজু-বাবু গজু-বাবু উল্টে পাল্টে গেছে :
ক) “দাপুটে দোকানদার সেই ভজুবাবু এখন ফটো। প্রতি সোমবার গজুবাবু তাঁর মালাটা বদলে দেন, আর প্রতিদিন ধূপ জ্বালেন সেই ফটোর সামনে।” খানিক পরে হয়েছে “ভজুবাবুর এক মেয়ে। বিয়ে থা করে দিল্লীতে থাকে। ফি-বছর পুজোয় আসে, আর বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার বায়না করে।” – দ্বিতীয় “ভজু” “গজু” হলে ঠিক হয়।
খ) “কিন্তু সেই খেমো লোকটা আর এলো না। না, ভুল বললাম। সে এসেছিল পাক্কা এক বচ্ছর পর, তবে ভজুবাবুর স্বপ্নে।” – এখানেও তাই। ঠিক কোরে দেবেন।
LikeLike