পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আগের ছড়াঃ যাত্রা, বেড়ালকথা, লেজকাহিনী
কাকস্য পরিবেদনা
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ভাজা পোড়া হয় রোদ্দুরে কাক…
রোজই তো হয়, হয় আকছার;
কাকভাজা তবু,
বলল কি কেউ তোকে?
এই যে হাঁপিয়ে পুড়ে এলি
কত রোদ করে পার!
বলল কি কেউ আদর করেও তুলনায়
কাকভিজে হলে যেমন শোনায়, আ-হারে!
ভাজাকাক আর ভিজেকাকে ভাই তফাৎ এটাই…
যত হোক ঘাম, ছাপ পড়ে না তো বাহারে।
জলে ভেজে যত তার চেয়ে বেশি
রোদে পোড়ে সব পাতিকাক :
সম্বৎসর পরিসংখ্যানে
কত কিছু লেখে কত ম্যাগাজিনে
এ বিষয়ে কেউ কুটোটি লিখেছে
এই অ্যাতোটুকু কষে আঁক?
লিখবে কী করে? পন্ডিত যত
নাকটি ডাকায় পেতে রেখে টিকি খাটে…
গভীর গরমে, কত কালো কাক
কে দেখবে সব ক’রে হাঁক ডাক
রোদ শুষে ছাত ঠান্ডা রাখছে
দু’ডানার পাখসাটে।
কেউই দ্যাখে না, দ্যাখে না তো চেয়ে,
পণ্ডিত সব বৃষ্টির ভয়ে
যারা যারা নেয় অথবা না নেয় নস্য—
টুকুজলে ভিজে হেঁচে হয় সারা,
ভেজা কাক দেখে পাগলের পারা
অভিধানে খালি লেখে ‘কাকভেজা’ !
পরিবেদনা কাকস্য!!
অলঙ্করণঃ তিতিল