রোবট যদি মিষ্টি চায়
বাসুদেব গুপ্ত
এক যে ছিলো পাগলা রোবো পছন্দ তার পান্তুয়া,
জোজোর বাড়ি এসেই খাবার বায়না করে খান দুয়া,
পুজোর বাজার সেল চলেছে পুরনো সব মাল ক্লিয়ার,
জোজোর মামা আনল কিনে রোবট ভারী মাই ডিয়ার।
সস্তা হলো, কিন্তু মাথায় দুএক মিটার ছিট ছিল,
হঠাৎ হঠাৎ বায়না করে আজগুবি তাই খায় কিলও;
কেউ শুনেছে রোবটে খায়? ওদের অটোমেটিক পেট
চার্জ লাগালেই ঘন্টা কয়েক, লাগিয়ে দিলে ইন্টারনেট,
গাইতে বলো শুনিয়ে দেবে ঠুংরি খেয়াল তাল ঠুকে,
ঘর মোছো তো বললে দেবে ঘর করে ঠিক ঝকঝকে;
চা করে আন – তৎক্ষণাৎ সে দার্জিলিং-এর খুশবুদার
আনবে ভরে চায়না কাপে হবেই সে চা চমৎকার।
যা বলবে তক্ষুনি সেই করবে হুকুম ঠিক তামিল,
সেই রোবটের হঠাৎ কেন পান্তয়াতে মজল দিল?
ফেরৎ দেবে? বিক্রি করে দেবেই নাকি কুইকারে,
এই চিন্তায় হ্যাশট্যাগেতে ট্রাফিক জমাট টুইটারে।
জোজোর মামা হোয়াটসাপের বিদ্যালয়ে সুপন্ডিত
এসব দেখে নেটের মাঠে খেলল কত চুকিতকিত
প্রশ্ন শেষে করল গিয়ে গুগুল জ্যাঠার দরবারে
আচ্ছা জ্যেঠু্, রোবোর কেন ইচ্ছে হলো মরবার এ?
রোবট যদি মানুষ হবে মানুষ তবে কোথায় যায়?
মানুষ তবে কী খাবে আর, রোবট যদি মিষ্টি চায়?
সহ্য কি হয় অভ্যেস যার একটি বেলা চার্জ শুধু
বেশ তো আছে না খেয়ে ভাত, বলল শ্রীগুগুল জ্যেঠু।
প্রোগ্রামটা পাল্টিয়ে দাও, চিপটা নতুন লাগিয়ে দাও
রোবট আবার শান্ত হয়ে মানবে তোমার আদেশটাও,
পান্তুয়া কি রোবটে খায়, মানুষ তবে খাবেটা কী?
রোবটটাকে খাটাও তেড়ে, দেখবে কেমন সে লক্ষ্মী।