যদি তেণ্ডুলকর খেলে
মা মাসিরা মাছের ঝোলে দই বানিয়ে ফ্যালে।
জিরের ফোড়ন তেজপাতা আর লঙ্কা গুলে তাতে
কভার ড্রাইভ মারলে খেও পাতলা সুজির সাথে।
যদি তেণ্ডুলকর নামে
ঠিক দুপুরে হেঁচকি তুলে ভিজো খানিক ঘামে।
চার মারলে দাঁড়িয়ে পড়ে, ছয় মারলে তেড়ে
ধপাস করে ডিগবাজি খাও মুণ্ডুখানা নেড়ে।
যদি তেণ্ডুলকর হাঁটে
বোলার ভেবে লুকিয়ে পড়ো তেপান্তরের মাঠে।
দুদশটা দিন পাঁচন গিলে শ্যামবাজারের মোড়ে
রেকর্ডগুলো জল দিয়ে ধোও নাগরদোলায় চড়ে।
যদি তেণ্ডুলকর মারে
শ্যামামায়ের গানগুলো গাও, কী আছে সংসারে!
আলু-পেঁয়াজ নেই বাজারে? সেঞ্চুরি তো আছে –
মাঞ্চুরিয়ান বানিয়ে সেটা ঝুলিয়ে রেখো গাছে।
যদি তেণ্ডুলকর ফেরে
নস্যি টেনে হ্যাঁচ্চো করো, নাকটা বেজায় ঝেড়ে।
আউট দিলে প্রোটেস্ট কোরো হাউইবাজি জ্বেলে,
আম্পায়ারের বামপকেটে ফুচকাগোলা ঢেলে।
ভাবছ এসব ফালতু কথা? ঠাট্টা কিম্বা বাজে!
ভদ্দরলোক তোমরা সবাই, এসব করা সাজে!
অ্যাত্তগুলো পাশ দিয়েছ? লাভ কী ওসব জেনে?
তেণ্ডুলকর ব্যাট নিয়ে আর নামবে না ইডেনে।