কুমির ও মেয়ে
গল্প বানিয়েছে শরণ্যা (তিতির)। ছবি এঁকেছে সে নিজেই। ডিকটেশান নিয়েছেন অনুষ্টুপ শেঠ
ওখানে একটা নদী ছিল। নদীর মাঝখানে সারি সারি ঘাস ছিল। ঘাসের দুদিকে জল ছিল, জলের মধ্যে একটা ম্যাজিক কুমির ছিল। একদিন একটা মেয়ে যাচ্ছিল ওই নদীর পাশ দিয়ে। হঠাৎ কুমিরটা বেরিয়ে এল। সে কাঠের মত ভাসছিল, তো মেয়েটা ভাবল এই কাঠে চেপে ওইদিকে চলে যাই। মেয়েটা তাই কাঠের কাছে এল। কুমিরটা তখন ভাবল এই মেয়েটাকে আমার ম্যাজিকরুমে নিয়ে যাই।
যেই না মেয়েটা কাছে এল, কুমির অমনি তাকে “খপ্!” করে খেয়ে ফেলল। কুমিরটা কিন্তু সত্যি করে খায়নি মেয়েটাকে, খালি ওকে পেটের মধ্যে ম্যাজিকরুমে নিয়ে গেছিল। সেই ম্যাজিকরুমে ম্যাজিক নোটবই ছিল, ম্যাজিক গাছে ম্যাজিক ফল ছিল, আরো অনেক কিছু ছিল। তো, সেইগুলো কী ম্যাজিক হত, বলব?
বলছি, দাঁড়াও না!
তারপর মেয়েটা দেখল কি যে সেখানে অনেকগুলো ফল গাছের নিচে পড়ে আছে। সে ভাবল খাব। যখন ফলটা তুলল হাতে সেটা মোহর হয়ে গেল। তাতে মেয়েটা বলল, “অ্যাঁ! মানে কী! ছিল ফল, হল মোহর।” তারপরে ও একটা ঘরে ঢুকল। সেখানে ছোট্ট নোটবই আর পেন্সিল ছিল। ও ভাবল কোশ্চেন আন্সার লিখে প্র্যাকটিশ করবে। তারপর যখন একটা প্রশ্ন লিখল, “সমুদ্দুর কী করে হয়েছে?” ওমা, অমনি নিজে নিজে সেটার উত্তর লেখা হয়ে গেল। তো, তারপর মা বলল, “উঠে পড় উঠে পড় সকাল হয়ে গেছে।” তখন ও বুঝল যে ও স্বপ্ন দেখছিল।
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সব লেখা আঁকা একত্রে