“সেই মেয়েরা।”
একটি জয়ঢাক প্রকাশ। (অরণ্যমন ওয়েবস্টোর ও অন্যত্র। প্রাপ্তিস্থান এই লিংকে www.joydhakweb.com/bookstore । ফোন করতে পারেন এই ণাম্বারে 9007284988
যে ধর্ষক, নপুংসক ও ‘অভিভাবক’রা আজকের তালিবানি সমাজে ধর্ষণ, খুন,অ্যাসিড আর উইদিন ফ্যামিলি মোলেস্টেশান বা অসময়ের বিয়ে দিয়ে মেয়েদের আত্মসম্মানবোধকে ধ্বংস করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে মেয়েদের জাগিয়ে তোলার জন্যে বারোজন বীর মহিলার গল্প।
একটু উদাহরণ–
———–এই সময়ের মধ্যে পুত্রকে পিঠে বেঁধে নিয়ে আর সঙ্গী সেনাদের নিয়ে কেল্লার পিছন দিক দিয়ে নিজের ঘোড়া সারেঙ্গীর পিঠে চড়ে প্রাচীর থেকে লাফ দিলেন আসল রানি, যা ইতিহাসে “দ্য লিজেন্ডারি লিপ অফ রানি লক্ষীবাঈ” বলে বিখ্যাত হয়ে আছে আজও।
এদিকে নকল রানি ঝলকারি যোদ্ধার বেশে, ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে এলেন সামনের দরজা দিয়ে।— তাঁর নির্দেশমত আর এক গোলন্দাজ পুবদিকের বুরুজের মাথায় বসানো শক্তিশালী কামান কড়কবিজলী থেকে গোলাবর্ষণ করে প্রাসাদের দিকে আগুয়ান ইংরেজদের বিপর্যস্ত করতে লাগল।——–এদিকে এক বিশ্বাসঘাতক ঝলকারিকে চিনতে পেরে হিউরোজকে চিনিয়ে দিলেন,এ আসল রানি নয়। সঙ্গে সঙ্গে ঝলকারি গুলি করলেন তাকে, নিহত হল এক বিশ্বাসঘাতক। হিউরোজ এরপর তাঁকে বন্দি করলেন। ছলনা করার জন্য তাঁকে শাস্তির কথা বলতেই বীরদর্পে ঝলকারি বললেন, “গুলি করো আমাকে।” তখন পাগল ভেবে তাঁকে এক তাঁবুতে বন্দি করে রাখা হল। কিন্তু বেশিক্ষণের জন্য নয়। রাত নামতেই অন্ধকারের আড়াল নিয়ে পালালেন ঝলকারি।
পরদিন সকালে বাহিনী নিয়ে কেল্লার দিকে এগোতে গিয়ে হিউরোজ দেখলেন প্রাচীরের মাথায় দাঁড়িয়ে স্বামী পূরণ সিংহকে গোলার যোগান দিচ্ছেন ঝলকারি। হঠাৎ এক গোলার আঘাতে স্বামী আহত হয়ে পড়ে গেলে ব্যস্ত না হয়ে ঝলকারি স্বামীর কামান থেকেই ইংরেজদের উপর গোলাবর্ষণ শুরু করলেন। কিন্তু কিছু পরে ঝলকারি নিজেও আহত হয়ে পড়ে গেলেন।—–


