সুকুমার বাগচির আগের ছড়া- শিশিরপাত
এক-যে ছিল বুড়ো আর এক ছিল তার বুড়ি,
দোকলা বসে ফোকলা দাঁতে চিবোচ্ছিল মুড়ি।
তাদের নাতির বড়ই খাতির, নেই কোনো তার জুড়ি –
সময় পেলেই দাদু-দিদার পিঠে দেয় সুড়সুড়ি।
পারিতোষিক পেয়ে নাতি কিনল অনেক ঘুড়ি,
মাঞ্জা দিয়ে ভাবল এবার আকাশটাকে ফুঁড়ি।
এদিকে তো ঘুম তাড়াতে বুড়ি দিচ্ছে তুড়ি,
বুড়োর ইচ্ছে – ঘুড়ির সাথে আমিও যদি উড়ি!
তাই-না শুনে হাসতে গিয়ে ফাটল ভোলার ভুঁড়ি –
এবার ভোলা বলল, সুখে চিতায় উঠে পুড়ি।
নাতি বলল, দুর বোকারাম, মরবে কেন, থুড়ি,
এনেছি-যে তোমার জন্যে ল্যাংড়া আমের ঝুড়ি।
আম খাবে না? তাহলে ভাই কুড়োও বসে নুড়ি,
দাদু এবং দিদা কিন্তু খাবেন গোটা কুড়ি