সঙ্গীতময় দাসের আগের ছড়া- কুম্ভকর্ণ কাণ্ড
।১।
ভরপেট্টা খ্যাটন হলে
শোবেন তিনি ঊর্ধ্বমুখে, চার পা তুলে।
পংখা বাতাস লাগিয়ে বুকে
ঘর্ম শুকান চক্ষু মুদে, স্বর্গসুখে।
হঠাৎ দেখি খেপচুরিয়াস
দাঁত দেখালি! কামড়াবি কি? আরিব্বাস!
না তা-তো না, নিজেরই ল্যাজ কামড়ে ধরে
চরকিপাকে মরছে ঘুরে, তেঁড়েফুঁড়ে।
দস্যি ভারি, এক ছাওয়াল
আদর-খাগী পুষ্যি আমার ভোমজিলাল।
।২।
বিল্লিরানি, ছোট্ট তিনি
ঘুরছে ঘরে রাতদুপুরে, তাই
ঢুলছে তবু, ভোমজিবাবু
রাখছে নজর, ঘুমের খবর নাই।
বিল্লিরানি, ছোট্ট প্রাণী
মাঝ প্রহরে ফুর্তি বাড়ে সামান্য,
ভোমজিদাদা ভষকজাদা
আলসেমি তার বংশধারার কৌলিন্য।
কাটছে সময়, কতই-বা সয়
খাওয়ার পরে চক্ষু জুড়ে আসবে না?
ছোটো মার্জার ঘোরে চারধার
তেলেপোকা ঘুরছে একা, ধরবে না?
ভোমজি-বুড়ো, বুদ্ধি বড়ো
এগিয়ে এসে উঠল বসে পালঙ্কে,
আমার তখন চরণচারণ
ঘুমের মাঠে, নিদ্রা ঘাটে, শশাঙ্কে।
নাকের গুঁতোয় উঠিয়ে আমায়
ভোমজি শুল, আমায় দিল বাঁশ
এমন কেলো হলে বল
জাগবে না আর লগুড় দাগার আশ।
জয়ঢাকের ছড়া লাইব্রেরি এই লিংকে