ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁ পেঁ- পেঁ
সাপ খেলানো দেখবে কে?
মনসা মায়ের পুজো করে
এনেছি এই ঝোড়ার ভরে
জংলি তেজি কেউটেকে
অমানিশা রাত জেগে
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ।
এক্কেবারে নয়া সাপ
দেখলে পড়ে লাগবে কাঁপ।
এ নয় হেলে,এ নয় ঢোঁড়া,
এটা খাঁটি চন্দ্রবোড়া
বিঘত খানেক ফণার সাপ
ঐ দেখ না বাপরে বাপ!
এক্কেবারে নয়া সাপ।
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ
সাপ খেলানো দেখবে কে?
দেখবে বাবু? বেঁটে এটা।
আসল কালীনাগের বেটা
লখিন্দরকে কাটলো যে
এই বদমাশ সেই গো সে
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ।
বার কর ও বেদেনি
দাঁড়া, শেকড় বেঁধে নি।
ঐ মোড়াতে শঙ্খচূড়,
লাফায় বেটা অনেক দূর
ফুঁসে কাঁপায় মেদিনী;
মন্তরটা সেধে নি
দাঁড়া একটু বেদেনি।
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ
আয় তো এবার খেলা দে,
দেখ না ব্যাটার রাগের তাপ!
খেলতে আমার উঠছে হাঁপ;
ফেনা ছোটায় ফনাতে
পারছিনা বাগ মানাতে
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ।
যা এবারে ঝোলায় যা
একটু আমার জুড়াক গা।
এই বেরুল মেঘডম্বর
অলসে বেটা এক নম্বর।
পেটটি কীসে ভরবে গা?
গিলে হরিণ-ভেড়াটা?
যা বাবুদের কাছে যা।
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ
গোখরটা ঐ আসছে রে!
এ মুখপোড়া মারলে ছোঁ
নেইক এমন ওঝার পো
নামাবে বিষ ঝেড়ে যে,
এবার বাবু পয়সা দে
ভেঁপুর- ভেঁপুর- পেঁপ্পেঁ- পেঁ।
ছবিঃ অংশুমান