১।
-ও বাবা, মুখটা এমন কালো করে বসে আছো কেন?
-খুব ভয়ঙ্কর একটা দুঃস্বপ্ন দেখলাম। ভোরের স্বপ্ন রে মা! শুনেছি নাকি সত্যি হয়।
-ধুস। বাদ দাও তো! যত কুসংস্কার।
-না রে! কুসংস্কার নয়। আজ দিনটা একটু সাবধানে থাকতে হবে।
-ইশ! চলো তোমার মন ভালো করে দি। ওসব স্বপ্নটপ্ন সব ভুলিয়ে দেব। রেডি হয়ে নাও।আজ অফিসে ডুব দেবে। আমরা বেরোব।
-কো-কোথায় যাবি?
-হা হা। পার্ক স্ট্রিট। প্রথমে ফ্লুরিজে ব্রেকফাস্ট। তারপর নিউ মার্কেটে গিয়ে পুজোর শপিং।তারপর বোস-এর শো রুম থেকে একটা ভালো মিউজিক সিস্টেম কিনে দেবে বলেছিলে সেইটা কিনে নিয়ে তাজ-এর রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ করে…
-হা ভগবান!
-আবার কী হল?
-ভোরের স্বপ্ন!! সত্যি হল!!!
২।
তিনতলা বাড়ির তিনটে তলায় তিনটে দোকান।
সামনে রাস্তার ওপর তিনতলার ইলেকট্রনিকসের দোকান বোর্ড লাগিয়েছেঃ পুজো উপলক্ষে সমস্ত দ্রব্যে ৩০ শতাংশ ছাড়।
তার ঠিক নীচে দোতলার বইয়ের দোকান বোর্ড লাগিয়েছেঃ পুজো উপলক্ষে সমস্ত ক্রয়ে ৪০ শতাংশ হাড়
কিন্তু সব মানুষ একতলার কাপড়ের দোকানে এসে ঢুকছে। কেন?
উত্তরঃ কাপড়ের দোকান দোতলার বোর্ডের তলায় নিজের দরজার দিকে তিরচিহ্ন দিয়ে বোর্ড দিয়েছেঃ “প্রবেশ”
৩।
ছেলেঃ মা, পুজোয় প্লে-স্টেশান দেবে বলেছিলে যে। এই প্লে-স্টেশানটা আমার চাই।
মাঃ আবদার তো কম নয়! দেব্ব এক থাবড়া। চল বাড়ি চল।
ছেলে(দোকানদারকে চুপি চুপি) কাকু, এই প্লে-স্টেশানটা আজ সন্ধে অবধি রেখে দেবেন? আমি নেব।
দোকানদারঃ সে কী রে? তোর মা তো মানা করল! আবদার করলে পিটবে বলল!
ছেলেঃ আমি এখন বাড়ি গিয়ে বারবার বায়না করব। তাতে মা রেগে যাবে। তারপর দুপুরবেলা আরো বায়না করব। তখন মা আরো রেগে যাবে। তারপর সন্ধেবেলা ভয়ানক বায়োনা করব। তখন মা ভয়ানক রেগে গিয়ে আমাকে মারবে। তখন বাবা বাড়ি এলে আমি মা মেরেছে বলে ভেউ ভেউ করে কাঁদব। তখন বাবা এসে কিনে দেবে।