বই পড়া বাংলাদেশের বই মীম নোশিন নওয়াল খান শীত ২০১৭

 

বাংলাদেশের বইঃ

রিভিউ করলেন, মীম নোশিন নাওয়াল খান

লাল্টু ভূতের তিন ছেলে- টিংকু, পিংকু আর বংকু। একদিন টিংকু আর বংকু বাবাকে জানাল, প্রতিদিন পিংকু ভূত কোথায় যেন যায়। লাল্টু ভূত পিংকুকে ডেকে জিজ্ঞেস করল, সে রোজ রোজ কাউকে কিছু না বলে কোথায় যায়। পিংকু ভূত বলল, সে পাঠশালায় যায় পড়াশোনা শিখতে, কারণ সে শুনেছে, “লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে।”

লাল্টু ভূত কিন্তু মোটেও খুশি হল না, সে হতভম্ব হয়ে গেল। ভূতরা তো স্কুলে যায় না, তাদের স্কুলে যেতে নেই। পড়াশোনা শিখে ভূতদের কী হবে? তারপর কি লাল্টু ভূত পিংকুকে স্কুলে যেতে দিয়েছিল? নাকি তাকে বকা দিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল?

উঁহু, সেটা তো আমি বলব না। সেটা জানতে হলে তোমাকে পড়ে ফেলতে হবে “পিংকু ভূতের পড়ালেখা” গল্পটা। এই গল্পটা কোথায় পাবে?

এটা রয়েছে “ভূতের স্কুলে সেলফি” নামের একটা মজার গল্পের বইয়ে। শুধু এই গল্পটাই নয়, এই বইয়ে আছে আরো কিছু মজার মজার ভূতের গল্প। এসব গল্প শুনে তুমি ভয় পাবে না, বরং আনন্দ পাবে। ইচ্ছে করবে ভূতের সাথে বন্ধুত্ব করতে। এই ভূতের সাথে বন্ধুত্ব করানো গল্পগুলো লিখেছেন ইব্রাহিম নোমান। পুরো বইটা তিনি এত মজা করে লিখেছেন যে পড়তে পড়তে তুমিও চলে যাবে ভূতের রাজ্যে।

এই লেখক বেশ গুণী মানুষ। বাবা-মায়ের কাছ থেকে বর্ণমালা শিখতে শিখতেই ভর্তি হন ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স করে আন্তর্জাতিক ডিগ্রির নেশায় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ACCA পার্ট টু শেষ করেন। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে BiMS ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রায় এক বছর। তারপর লেখালেখির নেশা থেকে সাংবাদিকতা পেশায় চলে আসেন ইব্রাহিম নোমান। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার “ঝিলিমিলি” এবং “প্রকৃতি ও বিজ্ঞান” পাতা দুটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন তিনি।

“ভূতের স্কুলে সেলফি” ইব্রাহিম নোমানের প্রথম বই। বইটা প্রকাশ করেছে কালান্তর প্রকাশনী। ২০১৬ সালের একুশে বইমেলায় এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটার সুন্দর প্রচ্ছদ এবং পাতায় পাতায় রঙিন ছবি এঁকেছেন সোহেল আশরাফ।

ভূতের রাজ্যে ঘুরে ভূতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে বইটা অবশ্যই পড়বে কিন্তু!

কালান্তর প্রকাশনী, বন্দরবাজার , সিলেট
ইব্রাহিম নোমান
১২০ টাকা

বই পড়া -সমস্ত লেখার লাইব্রেরি

Leave a comment