বৈজ্ঞানিকের দপ্তর টেকনো টুকটাক-মুদ্রা থেকে নোট কিশোর ঘোষাল বসন্ত ২০১৭

 টেকনো টুকটাক আগের সব পর্ব

biggantechno0-medium(পর্ব-১)

গত ৮ই নভেম্বর ২০১৬ রাত আটটা থেকে গোটা ভারতবর্ষে ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গেছে। এই নোট বাতিল পদ্ধতি ঠিক না ভুল, আমাদের ভবিষ্যতে ভালো হবে, না খারাপ হবে! নাকি আমাদের যা অবস্থা ছিল তাইই থাকবে! এ সব বিষয় নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক, পক্ষে-বিপক্ষে জোরদার যুক্তি এবং প্রশংসা আর বিদ্রূপের বন্যা বয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। সেই সব জটিল বিতর্কের মধ্যে একটুও না জড়িয়ে আমরা বরং এস দেখে নিই মানব সভ্যতায় এই নোট বা টাকা-পয়সা কবে থেকে শুরু হল। আর কিভাবে টাকা পয়সা ছাড়া আমাদের সভ্যতা এক কথায় অচল হয়ে উঠল দিন-কে-দিন। টাকা যখন ছিলই না, তখনই বা আমাদের জীবন যাত্রা কেমন ছিল?

কয়েকটি পরিবারের লোক একসঙ্গে দল বেঁধে, ছোট ছোট গোষ্ঠী তৈরি করে, আদিম মানুষেরা সভ্য জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। শুরুতে খাদ্যের জন্যে জঙ্গলে শিকার আর ফল-মূল সংগ্রহ করা ছাড়া তাদের জীবন ধারণের অন্য কোন উপায়ই ছিল না। ধীরে ধীরে তারা কিছু কিছু বন্য প্রাণীদের পোষ মানাতে শিখে ফেলল। এই গৃহপালিত পশুদের মাংস এবং দুধ তারা যেমন খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করত, তেমনি ঘরের নানান কাজেও তাদের ব্যবহার করতে শিখে ফেলল। তারপর তারা আরও শিখে ফেলল আগুনের ব্যবহার, চাষবাস এবং ধাতুর ব্যবহার। সভ্যতার এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সহজ সরল জীবন যাত্রার ক্রমশঃ ঢুকে পড়তে লাগল নানান জটিল পেশা, কেউ হয়ে উঠল দক্ষ কারিগর, পাথরের কিংবা মাটির নানান উপকরণ বানাতে পারে। কেউ হয়ে উঠল ধাতুবিদ, নানান অঞ্চলে আকর খুঁজে খুঁজে খনিজ তুলে আনে, তারপর সেই খনিজ গালিয়ে বের করে ফেলে লোহা, তামা, ব্রোঞ্জ, সোনা, রূপো। আবার আরেক ধরনের কারিগর সেই ধাতু থেকে বানিয়ে ফেলতে পারত বিভিন্ন প্রয়োজনের যন্ত্রপাতি, অস্ত্রশস্ত্র, কিংবা রান্নার বাসন কোসন। আবার অনেকে সোনা, রূপো কিংবা ব্রোঞ্জ দিয়ে সুন্দর নকশার গয়না বানাতে শিখে ফেলল। অনেকে তুলো কিংবা অন্য কোন তন্তু দিয়ে কাপড় বানাতে শিখল, সে সব কাপড়ও হতো কত রকমের। সাদা, রঙিন, পাতলা, মোটা কিংবা শীতের জন্যে পশমের পোশাক, চাদর।

আমাদের মানব সভ্যতার শুরু হয়েছিল, চাষবাস এবং পশুপালনকে ঘিরে, গ্রামজীবন দিয়ে। প্রধানত নদীর ধারে ধারে গড়ে ওঠা এই গ্রামগুলির সব জায়গাতেই যে সব ধরনের উপকরণ পাওয়া যাবে, এমনতো হতে পারে না। যেমন, এক ধরনের জমিতে খুব ভালো খাদ্য শস্য, যেমন ধান, গম হয়, সে জমিতে তুলোর চাষ ভালো হয় না। আবার যে জমিতে ভালো তুলো হয়, সে জমিতে ধান-গম তেমন ভালো হয় না। একই ভাবে, নদীর ধারে যে সব জমিতে চাষবাস ভাল হয়, সে সব জমিতে লোহা-তামার মতো ধাতু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ধাতুর খনিগুলো অধিকাংশই রুক্ষ পাথুরে অঞ্চলে হয়, সেখানে ফসল ফলানো দুরূহ ব্যাপার।                              

সভ্যতার এই পর্যায়ে এসেই আমাদের বিনিময় অর্থাৎ বদল ব্যবস্থা জরুরি হয়ে উঠতে লাগল। ধরা যাক আমি ‘সবুজ’ গ্রামের লোক, আমাদের গ্রামে প্রচুর খাদ্য শস্য হয়, আমাদের গ্রামের সকলের সারা বছরের প্রয়োজন মিটে যাওয়ার পরেও অনেক খাদ্য শস্য বাড়তি থেকে যাচ্ছে। অবিশ্যি আমাদের গ্রামে লোহা পাওয়া যায় না। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি, আমরা যদি বেশ ভালো লোহার কোদাল, লাঙ্গলের ফাল, কাস্তে কিংবা খুরপি যোগাড় করতে পারি, আমাদের চাষের কাজে খুব সুবিধে হবে। আরো বুঝছি, বেশ কিছু ভালো গরু, বলদ কিংবা মোষ যদি আমরা যোগাড় করতে পারি, আমাদের চাষবাসের কাজটা অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে পারবে, আমরা অনেক ভালো ফসল হতে পারবে। ‘সবুজ’ গ্রামের লোক আমরা কী করব?

আবার ধরা যাক, তুমি ‘রাঙা’ গ্রামের লোক, তোমাদের গ্রামেও চাষবাস হয়, তবে সে তেমন কিছু নয়, গ্রামের সবার সারা বছরের খাবার পক্ষে যথেষ্ট ফসল হয় না। তবে তোমাদের গ্রামে অনেক লোহা পাওয়া যায়, আর তোমাদের ধাতুবিদ আছে, সে খুঁজে খুঁজে লোহার খনিজ বের করে, আর সেই খনিজ গালিয়ে লোহার গোলা বের করে। সেই লোহাকে গলিয়ে কিংবা গরম করে পিটিয়ে লোহার যন্ত্রপাতি বানাতে তোমরা ‘রাঙা’ গ্রামের লোকেরা খুবই দক্ষ। তোমরা বুঝতে পারছো, লোহা খেয়ে তো আর বেঁচে থাকা যায় না! তাদের খাবার জন্যে শস্য চাই, তাদের ভারি ভারি লোহা বইবার জন্যে শক্তিশালী বলদ বা মোষ থাকলে খুব সুবিধে হত। অতএব ‘রাঙা’ গ্রামের লোকেরাই বা তাহলে কি করবে?

আমাদের গ্রামের থেকে বেশ কয়েকদিন হাঁটা পথের দূরে, আরেকটি গ্রাম আছে, সেখানকার লোকজনেরা চাষবাস কিংবা অন্য কোন কাজে দক্ষ না হলেও, পশুপালন ব্যাপারটা তারা বেজায় ভালো বোঝে। তাদের গ্রামের মোষ আর বলদগুলো যেমন জোরদার, তেমনি খাটতে পারে। তাদের গাভিরাও দুধ দেয় প্রচুর। সেই গ্রামের লোকেরা দুধ, মাখন খেয়ে শেষ করতে পারে না, প্রচুর নষ্ট হয়। তাদের বলদ কিংবা মোষগুলোর সারাবছর কাজ থাকে না, কিন্তু তাদের পালন করতে খরচ হয় প্রচুর খড়, ঘাস বিচালি। তারা ভাবছে যদি কিছু বদলে নেওয়া যেত।

ঠিক এই ভাবনা থেকেই শুরু হয়ে ছিল বিনিময় প্রথা, যাকে ইংরিজিতে বলে  Barter system । প্রাচীন গ্রীস, রোম এমনকি ভারতেও গরু বা বলদ, এক কথায় গবাদি পশুই ছিল বিনিময়ের প্রধান উপাদান। গাভির বয়েস ও তার দুধ দেওয়ার ক্ষমতার উপর তার দাম নির্ধারণ করা হত। আমাদের সংস্কৃত শাস্ত্র ঐতরেয় ব্রাহ্মণে একবছরের গাভি ও তার সদ্যজাত বাছুরের বিনিময়ে কতটা সোমরস পাওয়া যায় তার উল্লেখ আছে। গবাদি পশু ছাড়াও এক বস্তা শস্য কিংবা একখণ্ড মাংসের বড়ো টুকরোও তখন বিনিময়ের উপাদান হিসেবে সারা বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত হত। এমনকি কোন কোন জায়গায় নুনের বস্তার বিনিময়েও খাদ্য শস্য, মাংস বা অন্য উপকরণ পাওয়া যেত, কারণ যে কোন খাদ্যে নুন অত্যন্ত জরুরি এবং সমুদ্র থেকে অনেক দূরের দেশে নুন মোটেই সহজলভ্য ছিল না।

এই বিনিময় প্রথায় কাজ চলে যাচ্ছিল ঠিকই, তবে সমস্যাও হচ্ছিল বিস্তর। ধরা যাক একজন তন্তুবায় একটা ধুতি বা শাড়ি বানিয়েছেন, কিন্তু তার বিনিময়ে কতটা শস্যদানা কিংবা গাভি কিংবা মাংসের টুকরো তাঁর পাওনা হওয়া উচিৎ, কে ঠিক করবে? যে লোকটির অনেক গবাদি পশু আছে, সে হয়তো দুখানা ধুতি কিনতে চায়। দুখানা ধুতির সমমূল্যে একটি গাভিকে তো আর অর্ধেক বা আরো ছোট অংশে ভাগ করা যায় না! কিন্তু যার কাছে শস্যদানা আছে সে অর্ধেক বা সিকি বস্তা শস্য দিয়েই, সেই ধুতি কিনে ফেলতে পারে। অতএব দেখা যাচ্ছে, বিনিময় প্রথা সবার ক্ষেত্রে, সব অঞ্চলে প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছিল না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অচল হয়ে উঠছিল এই প্রথা।

মানুষের সভ্যতার যত উন্নতি হল, দেশের মধ্যে এমনকি দেশের বাইরেও ততই ব্যবসা বাণিজ্য বাড়তে লাগল। সত্যি বলতে যে দেশ বা রাজ্য বাণিজ্যে যত বেশি সফল, তার সম্পদ-সমৃদ্ধিও তত বেশি। আর বাণিজ্য যত বেড়ে উঠল, ভীষণ জটিল হয়ে উঠতে লাগল এই বিনিময় প্রথা। এমন কোন সাধারণ উপাদান যদি ব্যবহার করা যায়, যার দ্রব্যমূল্য সকলেই মেনে নেবে এবং সেই উপাদানের প্রেক্ষীতে সকল জিনিষের দামও যদি নির্ধারণ করে ফেলা যায়, তাহলে আর বিনিময়ের ঝামেলা হয় না। বলাবাহুল্য এই নিয়মে সকলেরই সুবিধে হল এবং দ্রব্য বিনিময় প্রথা বদলে গিয়ে, এসে গেল বেচা-কেনার অর্থ বিনিময় পদ্ধতি (Money transaction system)। নতুন এই ব্যবস্থায়, বিক্রেতা তার বিক্রি করে পাওয়া অর্থ দিয়ে, তার নিজের দরকার এবং মনোমতো জিনিষপত্র কিনতে আর কোন বাধা থাকল না। এসে গেল বিনিময়ের নতুন উপাদান, যার নাম অর্থ  বা টাকা (Money)। ছোটাখাটো আঞ্চলিক লেনদেন ছাড়া, বিনিময় প্রথার চল বেশ কমে গেল।

প্রথম থেকেই অর্থ বিনিময়ে বিভিন্ন ধাতুর বহুল ব্যবহার শুরু হয়েছিল। শুরুতে সোনা, রূপো কিংবা তামার মতো বিশেষ বিশেষ ধাতু, গোলা হিসেবে কিংবা পুঁটলিতে গুঁড়ো হিসেবে ব্যবহার করা হত। তারপর ধীরে ধীরে ধাতুর ছোট ছোট পাত বা পাৎলা চাকতির ব্যবহার শুরু হল। দেশের রাজা কিংবা দেশের মুখ্য প্রশাসক বিশেষ কোন ছাপ বা ছবি দিয়ে যখন এই ধাতব চাকতিগুলো সকলের ব্যবহারের জন্যে বাজারে ছাড়তেন, তখন তাকে মুদ্রা (coin) বলা হয়। গ্রীসের প্রাচীনতম যে মুদ্রা পাওয়া গেছে তাতে পশুচিত্রের ছাপ দেখা যায়। মিশরের সোনা বা রূপোর মুদ্রাতেও গাভি এবং অন্যান্য পশুর ছাপ দেখা যায়।

মুদ্রার প্রধান বিশেষত্ব হল, মুদ্রায় ব্যবহার করা ধাতুর গুণ এবং ধাতুর ওজন। বিশুদ্ধ সোনা, রুপো কিংবা তামার নির্ধারিত (standard)  দ্রব্যমূল্য সারা বিশ্বে, সকলেই মেনে নেয়। কিন্তু বিশুদ্ধ ধাতু ততটা শক্ত হয় না বলে, মুদ্রা বানানোর সময় বিশুদ্ধ ধাতুতে, অন্য ধাতুর কিছুটা খাদ বা অশুদ্ধি মেশাতে হয়। সোনা বা রূপোতে এই খাদের পরিমাণের উপর মুদ্রার মূল্য নির্ভর করে। সুতরাং কম সোনার সঙ্গে বেশি খাদ মিশিয়ে, একই রকম দেখতে মুদ্রা বাজারে ছাড়লে, সাধারণ লোকের পক্ষে সহজে বোঝা সম্ভব হত না। এর ওপর মুদ্রার ওজনে সামান্য কারচুপি করলেও চট করে ধরা সম্ভব হত না। দুর্জন প্রতারকদের এই দুর্নীতি ঠেকানোর জন্যে, রাজা কিংবা প্রশাসকরা বিশেষ ছবি, চিহ্ন, ছাপ বা সংকেত দিয়ে মুদ্রা ছাপতেন। সেই বিশেষ চিহ্নকে বলত মোহর, আবার বিশেষভাবে চিহ্নিত সোনার মুদ্রাকেও মোহর বলা হত।

অনুমান করা যায় খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় আড়াই/তিন হাজার বছর আগে, সিন্ধু সভ্যতার আমলে, ভারতবর্ষে প্রথম মুদ্রার প্রচলন হয়েছিল। সিন্ধু নদ, ঘাঘরা-হাকরা ও সরস্বতী নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা, সিন্ধু সভ্যতার এই শহরগুলি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমানা থেকে আমাদের দেশের গুজরাট, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল। এখনো পর্যন্ত এই অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার সমসাময়িক ১০৫২টি শহরের হদিশ পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদরা গবেষণা করে দেখেছেন, হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো নগরের কুশলী ধাতুবিদরা, দক্ষিণ ভারত থেকে প্রচুর সোনা এবং রাজস্থান থেকে তামা আমদানি করত। কিন্তু ধাতুমুদ্রার হদিস না পাওয়া গেলেও, শুধুমাত্র মহেঞ্জোদারো শহরে প্রায় ১২০০ সিলমোহর পাওয়া গেছে এবং অন্যান্য শহরেও বেশ কয়েকশ সিলমোহর উদ্ধার হয়েছে। এই সিলমোহরগুলি,  নানান রকম ছবি খোদাই করা চারকোণা স্টিটাইট (Steatite) পাথরের টুকরো। স্টিটাইট পাথরের আরেক নাম সোপস্টোন, পাথরের মধ্যে সব থেকে নরম এই পরিবর্তিত (Metamorphic) শিলা ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) সমৃদ্ধ খনিজ ট্যাল্ক(Talc)।

মহেঞ্জোদারো থেকে পাওয়া কিছু সিলমোহরbiggantechno01-medium

লোথাল থেকে পাওয়া কিছু সিলমোহরঃbiggantechno02-medium

এই সিলমোহরগুলির সঠিক ব্যবহার জানা না গেলেও পণ্ডিতেরা অনুমান করেন যে, বাণিজ্যসংক্রান্ত বিনিময়ের কাজেই এগুলি ব্যবহার করা হত। এই সিলমোহরের অধিকাংশই বর্গাকার বা আয়তাকার হত। সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম একটি বন্দর শহর হল লোথাল, এখনকার গুজরাটের আমদাবাদ শহর থেকে মোটামুটি ৮৫ কিমি দূরে। এই বন্দর থেকে সুদূর ইজিপ্ট, সুমের, বাহারিনের সঙ্গে নিয়মিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। এই বন্দর শহরে বেশ কিছু গোলাকার এবং ছোট বড়ো নানান আকারের স্টিটাইট সিলমোহর পাওয়া গেছে। সিন্ধু সভ্যতার বিশাল ব্যাপ্তি, ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে এবং সুদূর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, ইওরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিয়মিত বাণিজ্যিক সম্পর্কের নানান প্রমাণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, দ্রব্য বিনিময় করে এই বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন শহর থেকে উদ্ধার হওয়া এই সিলমোহরগুলিতে কিছু লিপি দেখতে পাওয়া যায়, যে লিপির পাঠ এখনো সম্ভব হয়নি। এই লিপিগুলি পড়ে ফেলতে পারলে, আমাদের ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারব। বড়ো হয়ে তোমরা যদি এই সব লিপির অর্থ বুঝে ফেলতে পারো, আমাদের মুদ্রার ইতিহাস এমনকি প্রাচীন ভারতের ইতিহাসও নতুন করে লিখতে হবে।

এরপর পরের সংখ্যায়

জয়ঢাকের বৈজ্ঞানিকের দপ্তর

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s