লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে আমার ঠাকুর সাত্যকি শরৎ ২০১৭

ষষ্টির দিন রাত্রি বেলা

ঠাকুর দেখতে গেলাম,

কেউ তুলছে সেলফি-টেলফি

কেউ বা ঠোকে সেলাম।

আমি দেখছি দুগগা মাকে

কী দারুণ তার সাজ!

হিরে-রুপোর গয়না হাতে

মাথায় সোনার তাজ।

বাড়ি ফিরে ঠিক করলাম

গড়ব কালী মূর্তি,

জিনিসপত্র পেয়ে যেতেই

বেড়ে গেল ফুর্তি।

ভালো করে মাটি মেখে

দাঁড় করালাম দেহ,

এত মহৎ কাজ করছি

পাত্তা দেয় না কেহ!

অবশেষে আমার কালীর

হল অধিষ্ঠান,

ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে উঠল

রামপ্রসাদি গান।

অনেক রকম কমেন্ট এল

ভাল এবং বাজে,

কেউ কেউ বলে খুব সুন্দর

কেউ বলে আজেবাজে!

কেউ বা বলে রুগ্ন শরীর

কেউ বা বলে মোটা

কেউ বা বলে ‘মাটির ড্যালা

তাত্তারি সব গোটা!’

কেউ বা বলে ‘কালী ঠাকুর

অন্য রকম হয়,

তুই যে কালী গড়েছিস

সে তো কালী নয়!’

কালী ঠাকুর অন্য রকম

হওয়াটা কি বারণ?

একই রকম কালী হওয়ার

আছে কোনো কারণ?

বনেদি বাড়ির মূর্তিগুলোর

অনেক রকম রূপ,

স্বপ্ন বলে চালিয়ে দিলেই

হয়ে যায় সব চুপ!

আলতু-ফালতু কথাবার্তায়

পাত্তা দিই না আমি,

সবার কাছে সবার ঠাকুর

সবচে বেশি দামি।

এত ভাল কালী ঠাকুর

কেউ বানাতে পারে?

কিন্তু নিন্দে করার বেলায়

কে না সুযোগ ছাড়ে!

ছড়াটা যে লিখে বসলাম

তার কী হবে দেখি?

বলবে সবাই আজেবাজে

উল্টো-পাল্টা লিখি!

এই তো হল আমার গপ্পে

কালী ঠাকুর গড়া,

তাহলে এবার শেষ করছি

আমার প্রিয় ছড়া।।

                                           লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সব লেখা একত্রে

 

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s