বিচিত্র দুনিয়া চামপ্লিন হ্রদের দানো অরিন্দম দেবনাথ শরৎ ২০১৯

 অরিন্দম দেবনাথ   এর সমস্ত লেখা

আছে, দানো আছে ওই জলের গভীরে!
বহু বহু বছর ধরে উত্তর আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তে অবস্থিত মিষ্টি জলের হ্রদ চামপ্লিন নিয়ে এই একটাই কাহিনি প্রচার হয়ে আসছে।
কিন্তু দানোটা যে কী সেটা হলফ করে কেউ বলতে পারেনি আজও। এরকম নয় যে এই দানোর গপ্পটা হঠাৎ করে শোনা যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত কম করে তিনশো বার দেখা গেছে ওই জন্তু বা দানোটাকে। কিন্তু কোনও পরিষ্কার ছবি ওঠেনি। ১২৫ মাইল লম্বা বিশাল লেকে কেই বা আর জানবে যে দানো কখন কোথায় দেখা দেবে!
আগে এই অঞ্চলে শুধু আমেরিকার আদিম আদিবাসী আইরোকইস (Iroquois) আর আবেনাকি (Abenaki) ভাষায় কথা বলিয়ে মানুষ থাকত। আবেনাকিরা এই দানোটার নাম দিয়েছিল তাতোসকক (Tatoskok)। আর আইরোকইসরা চাওফারু। জলের নিচের শিংওয়ালা কাঁটা-পিঠের জন্তু।
আজ থেকে চারশো বছরেরও বেশি আগে ১৬০৯ সালে ফরাসি মানচিত্র বিশারদ স্যামুয়েল ডি চামপ্লিন (Samual de Champlain) প্রথম ইউরোপিয়ান যিনি এই দানোকে চাক্ষুষ করেছিলেন বলে জানা যায়। এই ফরাসি পর্যটক তথা ভূগোলবিদের নাম অনুসারেই এই লেকের নামকরণ হয় চামপ্লিন। আর জলের এই দানো পরিচিত হয় চাম্প নামে।
‘এই লেকেতে মাছের প্রাচুর্য কম নয়। অনেক অনেক মাছ পাওয়া যায় এই সুবিশাল লেকে। আর এদের মধ্যে দৈত্যাকৃতি মাছেরও অভাব নেই। মাছ ছাড়াও এই লেক নাকি এক দানোর আস্তানা। নেটিভগুলো ওর নাম একটা আমায় বলেছিল চাওফারু। স্থানীয় বুনো মানুষগুলোর মতে এই মাছের আকৃতির এই দানোটা নাকি আট থেকে দশ ফুট লম্বা। বলেছিল ওকে মাছ বলা যাবে না। ওটা একটা দানোই! আমি কয়েকটা দেখেছিলাম। ফুট পাঁচেকের মতো লম্বা। বিশাল চওড়া। মাথাটাও প্রকাণ্ড। শুঁড়গুলো আড়াই ফুট লম্বা। দু’সারি দাঁত অতি তীক্ষ্ণ ও ভয়াবহ। শরীরটা অনেকটা বর্শার মতো। শরীর শক্ত মোটা আঁশে ঢাকা। আর সে ধূসর-রুপালি আঁশ এত শক্ত যে ছুরি দিয়ে কাটা দুঃসাধ্য…’ জানিয়েছিলেন চামপ্লিন।
১৮৭৮ সালে তাঁর লেখার তর্জমা করে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এটা মনে হয় গার পাইক। জুরাসিক যুগের মাছ গার পাইকের মুখটা অনেকটা কুমিরের মতো। এই মাছগুলো উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারেবিয়ান অঞ্চলেরই বাসিন্দা। চামপ্লিন তাঁর দিনলিপিতে এই লেকের কাছে অবস্থিত সেন্ট লরেন্স নদীতে এক রহস্যময় প্রাণী দেখেছিলেন বলে যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন তা কিন্তু উড়িয়ে দেননি এই বিশেষজ্ঞরা।
১৮১৯ সালে স্প্লাটসবার্গ রিপাব্লিকানে প্রকাশিত ‘কেপ অ্যান সারপেন্ট অন লেক চামপ্লিন’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে ক্যাপ্টেন ক্রাম নামে একজন জানিয়েছিলেন যে তিনি চামপ্লিন লেকে এক দানোর দেখা পেয়েছেন যেটা কম করে ১৮৭ ফুট লম্বা। যদিও দানোটা তিনি দেখেছিলেন প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে। তিনি বলেছিলেন ওই দানোটার কাছে তখন দুটো বিশাল আকারের স্টারজন ও বিল-ফিশ ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তিনি বলেছিলেন, ওই দানোটার তিনটে বিশাল দাঁত ছিল। গলার কাছে ছিল লাল রঙের মোটা দাগ ও কপালে একটা তারার মতো চিহ্ন ছিল।
১৮৮৩ সালে সেরিফ নাথান এইচ মুনে চামপ্লিন হ্রদের কিনারায় দাঁড়িয়ে চাম্পকে দেখেছেন বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অনেকটা সাপের মতো হিলহিলে গলার জন্তুটা পাড়ের এত কাছে এসে গেছিল যে ওর মুখের হাঁয়ের ভেতর দিয়ে মুখের ভেতর গোল গোল সাদা চাকা চাকা দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। জন্তুটা ২৫ থেকে ৩০ ফুট লম্বা বলে তিনি জানিয়েছিলেন। মুনের এই দাবির পর অনেকেই বললেন যে তাঁরাও এই জন্তুটা দেখেছেন। অনেকরকম বর্ণনা শোনা যেতে লাগল চাম্প সম্পর্কে।

মার্কিন লেখক তথা রাজনীতিবিদ তথা ব্যবসায়ী তথা ‘বারনুম অ্যান্ড বেইলে সার্কাস’-এর মালিক ফিনিএস টেলর বারনুম ঘোষণা করলেন, কেউ যদি চাম্পকে ধরে তাঁর কাছে নিয়ে আসে তবে অনেক অনেক আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে তাকে। কিন্তু চাম্পকে কেউ ধরতে পারেনি।
১৯৭৭ সালে সান্দ্রা মান্সি নামের এক পর্যটক তাঁর পরিবার নিয়ে চামপ্লিন লেকে বোটে করে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। সে-সময় তিনি দেখেন লেকের ধার ঘেঁষে জলের ভেতর থেকে কিছু একটা মাথা উঁচু করে সাঁতার কেটে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও বস্তুটির থেকে তাঁরা অনেক দূরে ছিলেন। সান্দ্রা জলের ওপর চলমান বস্তুটির অনেক ছবি তুলেছিলেন এবং সেই ছবি দেখিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁরা চামপ্লিন লেকের দানোকে দেখেছেন। কিন্তু তাঁর দাবি বিশেষজ্ঞরা সমর্থন করেননি। কারণ, চামপ্লিন লেকের যে খাঁড়িতে চাম্পকে দেখেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন মান্সি, সেখানে জলের গভীরতা ১৪ ফুটের মতো। মার্কিন লেখক তথা অনুসন্ধানী জো নিকেল এই দাবিকে নস্যাৎ করে বলেছিলেন, খাঁড়ির ওই সংকীর্ণ যায়গায় বিশালদেহী কোনও প্রাণী থাকা অসম্ভব। আর সে ওইখানে থাকলে আরও লোকের নজরে পড়ত। সান্দ্রারা সম্ভবত কোনও বড়ো ভাসমান গাছের ডাল বা কাঠের গুঁড়ি দেখেছিলেন।
১৯৮৪ সালের ২৬ জুলাই ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ এডওয়ার্ড এ গারগেন একটি ‘মনস্টার ড্রস টুরিস্ট অ্যান্ড ডাউটস’ প্রবন্ধে এক গাগ্নি পরিবারের চাম্প প্রত্যক্ষ দর্শনের বিবরণ লেখেন, ‘আমরা দূর থেকে ভেবেছিলাম লেকের জলে কোনও স্থানীয় মানুষের দল কিছু করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু অচিরেই ভুল ভেঙেছিল আমাদের। যদিও ঘটনাটা ঘটেছিল আমাদের থেকে প্রায় সিকি মাইল দূরে… জলের বুক বেয়ে ভেসে আসা আওয়াজটা ছিল গর্জনের মতো। ভীষণ ভীষণ জোরালো এবং ভীতিজনক।’
পরিবারের সদস্য আন্না গাগ্নি বাচ্চাদের প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের একটা ছবির বই দেখিয়ে বলেছিল, ‘জন্তুটা ছিল অনেকটা এরকম দেখতে…।’ আন্না প্লেসিওসরের ছবি দেখিয়েছিল। আন্না আরও বলেছিল, ‘কিন্তু জন্তুটার কোনও ফ্লিপার (পাখনা) দেখতে পাইনি আমরা।’
অনেক প্রত্যক্ষদর্শী আবার চাম্পকে লম্বা সিংহমুখো বিশাল সাপ বলে বর্ণনা দিয়েছেন।
২০০৫ সালে ডিক অ্যাফোলটার নামের এক জেলে ও তাঁর ছেলে পেট, চামপ্লিন লেকে বহুদূর থেকে তোলা চাম্পের স্বল্প সময়ের ভিডিও জনসমক্ষে আনলেন। জলের ওপর মাথা তুলে খানিক মুখ হাঁ করে তারপর বন্ধ করে জলের নিচে ডুব দেওয়া ওই প্রাণীর ছবি পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা বললেন, লম্বা গলাওয়ালা প্রাণীটা বহুবছর আগে পৃথিবী থেকে লুপ্ত বলে ধরে নেওয়া মেসোজিক যুগের সামুদ্রিক সরীসৃপ প্লেসিওসরাস সদৃশ। আবার ওটা বিশালাকৃতি কোনও ইলের মাথাও হতে পারে। ওই বর্ধিত অস্পষ্ট ছবি দেখে নিশ্চিন্ত করে কিছু বলা ঠিক নয়। মার্কিন ফেডারাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশানের দুই অবসরপ্রাপ্ত ফরেন্সিক ছবি বিশ্লেষক ওই ভিডিও টেপ পরীক্ষা করে বলেছিলেন, ‘এই ভিডিও টেপে কোনও কারচুপি করা নেই। ছবি যে বিষয়েরই হোক, ছবিটা খাঁটি।’
২০০৩ সালে ২—১০ জুন ‘ডিসকভারি চ্যানেল’-এর হয়ে ফাওনা রিসার্চ ইন্সটিটিউট চামপ্লিন লেকে আট দিনের ‘শব্দ-অভিযান’ চালিয়েছিল। এই কাজের জন্য গবেষকদের দলটি চারটে ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করেছিল। এর দুটোতে বিশেষ শব্দ বিশ্লেষণ সফটওয়্যার লাগানো ছিল। ছিল ডেটা-লগার। কম্পিউটারে ছিল গ্লোবাল পজিসনিং সফটওয়্যার, যাতে নির্দিষ্ট অঞ্চল চিহ্নিত করা যেত। এছাড়াও তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন ডিজিটাল অডিও রেকর্ডার, শব্দবর্ধক অ্যামপ্লিফায়ার যন্ত্র, ভিক্টর সেন্সর (এতে শব্দ স্পন্দন মাপা যায়)। এছাড়াও ছিল হাইড্রোফোন নামে জলের তলায় ব্যবহারের মাইক্রোফোন সহ অনেক যন্ত্রপাতি।
দলটি সেই জায়গায় অভিযান চালাচ্ছিলেন যেখানে সবচাইতে বেশি চাম্পকে দেখা গেছে বলে জানা গেছে। এই লেকে ঠাণ্ডা জল ও গরম জলের স্তর আছে। যেখানে এই দুটো স্তর একে অপরের সাথে মিলিত হয় তাকে বলে থার্মোক্লাইন। থার্মোক্লাইন স্তরের বেধ বা ঘনত্ব দিনের বিভিন্ন সময়ে বা মরশুমের সাথে সাথে বদলায় জলের তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য। এই থার্মোক্লাইনের জন্য জলের নিচের অনেকদূর পর্যন্ত শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
বিশেষজ্ঞ দলটি এই কাজে শব্দক্ষেপণ যন্ত্র ‘সোনার’ ব্যবহার করেনি। জলের তলায় দূরত্ব মাপতে বা কোনও কিছুর অবস্থান বের করতে ‘সোনার’ তরঙ্গ-সংকেত ব্যবহার করা হয়। কারণ, সোনার যন্ত্র থেকে নিক্ষিপ্ত অপরিচিত শব্দ-তরঙ্গের অনুভূতি চাম্পকে ভয় পাইয়ে সরিয়ে দিতে পারে। তিমি বা ডলফিন জাতীয় জলজ প্রাণীও উচ্চ তরঙ্গের ‘সোনার’ ব্যবহার করে খাবার খুঁজে বের করতে। জলজ প্রাণী সৃষ্ট এই তরঙ্গকে বলে ‘বায়ো-সোনার’। প্রাণী সৃষ্ট এই তরঙ্গ কতক্ষণে তাদের কাছে ফিরে আসছে তা দেখে বায়ো-সোনার সৃষ্টিকারী প্রাণী বুঝে যায় সম্ভাব্য শিকারের অবস্থান বা ধরন। প্রাণী সৃষ্ট এই শব্দ-তরঙ্গ পদ্ধতি ইকো-লোকেশন নামে পরিচিত। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরাও অনেক সময় সোনার যন্ত্র বা ফিশ-ফাইন্ডার ব্যবহার করে মাছের ঝাঁক খুঁজে বের করতে। কিন্তু দু’লক্ষ হার্জ (প্রতি সেকেন্ডে শব্দের আবর্তন) কম্পাঙ্কের এই শব্দ-তরঙ্গ গ্রহণে মানুষের কান অক্ষম। মানুষের কান কুড়ি হাজার হার্জ শব্দ গ্রহণে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞ দলটি একেকদিন একেকটি অঞ্চলে সমস্ত যন্ত্র-জাল বিছিয়ে সমস্তরকম শব্দ ধরে রাখছিল। এতরকম যন্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল, একটা যন্ত্র ব্যর্থ হলে আরেকটা কাজ করবে। সমস্ত শব্দ-তথ্য গিয়ে জড়ো হচ্ছিল ডিজিটাল অডিও রেকর্ডারে। সেই তথ্য প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর চলে যেত ন্যাশনাল ইন্সট্রুমেন্টের এক বিশেষজ্ঞ সফটওয়্যার দলের কাছে।
প্রতিদিন লেকের জলে ভাসমান অস্থায়ী গবেষণাগারের যন্ত্রের সামনে বসে অভিযাত্রীরা টের পেতেন জলের নিচের প্রকৃতি। টের পেতেন মাছেদের আনাগোনা, কচ্ছপের গতিবিধি। এমনকি ৫০০ মিটার দূরে মৎস্য শিকারির জলে টোপ ফেলার শব্দও ধরা পড়ত ভিক্টর সেন্সরে।
শব্দ-অভিযাত্রী দলের কাছে সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা ছিল চাম্পলিনে উৎক্ষিপ্ত একলক্ষ চল্লিশ হাজার হার্জের। এই কম্পাঙ্কের শব্দ সাধারণত বেলুগা জাতের তিমি সৃষ্টি করে। কিন্তু এই লেকে কোনও তিমি বা ডলফিনের অস্তিত্ব নেই। অভিযাত্রীরা নিশ্চিন্ত ছিলেন এ শব্দ জলের তলায় কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়নি। চাম্প নিয়ে যেহেতু প্রচারের কোনও অভাব নেই, তাই চাম্প নিয়ে ধাপ্পাবাজির সম্ভাবনাও অভিযাত্রীদের মাথায় ছিল। সে কারণে অভিযাত্রীরা কখনওই তাঁদের প্রতিদিনকার গন্তব্য আগে কাউকে জানতে দেয়নি। এমনকি, জলযানের ক্যাপ্টেনকেও নয়। জলের নিচে কৃত্রিম শব্দ-তরঙ্গ তৈরি করা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু দলের অন্যতম সদস্য নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সাউন্ড অ্যান্ড ভাইব্রেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ডক্টর জোসেফ গ্রেগরির মতে, ‘শব্দটা ছিল একদম অন্য চরিত্রের এবং নিশ্চিত এটা ছিল ইকো-লোকেশন(echo location)।’
শব্দ-বিজ্ঞানীরা বললেন এই শব্দ কুমির জাতীয় কোনও প্রাণীর। যা দেখা যায় চামপ্লিন লেকের কাছাকাছি অঞ্চলে। ক্রিপ্টোজুওলজিস্ট কেটি এলিজাবেথ ও ডেনিশ হাল ২০১৬ সালে এক প্রবন্ধে বলেছেন চাম্প কুমির জাতীয় কোনও প্রাণীর নিকট আত্মীয় হবার সম্ভাবনাই বেশি। গবেষক স্কট মারডিস, ফাওনা রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অভিযাত্রীদের সংগ্রহ করা শব্দ শুনে বলেছেন, এই শব্দ বিশাল কচ্ছপের কোনও কিছু কামড়ানোর ফলে উদ্ভুত হতে পারে। আবার লং-নোজ গার বা স্টারজেন মাছ সৃষ্ট হতে পারে।
চাম্পের উপকথাকে কাজে লাগিয়ে আয়ের পথ সুগম করেছেন অনেক সংস্থা। যেমন নিউইয়র্কের পোর্ট-হেনরি অঞ্চলে চাম্পের এক বিশাল কাল্পনিক মডেল আছে। সেখানে প্রতিবছর অগাস্ট মাসের প্রথম শনিবার চাম্প-ডে উদযাপিত হয়। ভারমন্টের এক বেসবল দলের প্রতীক হল চাম্প। চাম্পের ছবিসহ টি-শার্ট, কফি মগ, কী-চেন বিক্রি হয় বেসবল খেলাকে ঘিরে। এমনকি, সি-ফুড বার্গার বিক্রি হয় ‘চাম্প বার্গার’ নামে।
একমাত্র অশেষ ধৈর্য আর অনুসন্ধিৎসাই চাম্পের রহস্যে যবনিকা টানতে পারে।
চ্যাম্পলিন লেকে সত্যি কোন অজানা জন্তু আছে কী নেই সেই উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। কিন্তু ২২ আগস্ট ২০১৯ নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে যে এক দম্পতি এই লেকে মাছ ধরতে গিয়ে একটি দু’মুখ ওয়ালা মাছ ধরেছিল। বেশ কয়েকটা ছবি তুলে অবশ্য তারা এই অদ্ভুত মাছটা জলে ছেড়ে দেয়। মাছের দু’মুখ হবার পেছনে লেকের জল দূষণ অন্যতম কারন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে ছবির সততা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। এই  লিঙ্কে রইল খবরের সূত্র।

বিচিত্র দুনিয়া র সমস্ত লেখা

Leave a comment