একঘেয়ে জীবনের মাঝে এক সপ্তাহান্তে যদি আপনার সামনে সুযোগ এসে হাজির হয় আপনার ছোটোবেলার কোনো পড়া চরিত্রকে ছুঁয়ে দেখার, তবে কেমন হয়? ঠিক যেমন দিল্লির অলিগলিতে আপনার জানা, না জানা ইতিহাসের গল্প আছে, ঠিক তেমনি ইতিহাসের গল্পের গন্ধমাখা আরেক জায়গা রাজস্থান। যদিও আপামর বাঙালি রাজস্থান মাত্রই থর মরুভূমি আর লালমোহনবাবুর উটে আরোহণের কথা প্রথমে মনে করেন। তবু এর সঙ্গে অবন ঠাকুরের ‘রাজকাহিনী’র টগবগে ঘোড়া এগিয়ে যায় নিজের গতিতে।
আমার এবারের সফর যাত্রার গল্পে সেই অবন ঠাকুরের ‘রাজকাহিনী’র রাজা হাম্বির স্বয়ং হাজির। হাম্বিরের ভগ্ন প্রাসাদ দেখতে গেলে আপনি সোজাসুজি দিল্লি থেকে রণথম্ভোর গেলেই হবে। হ্যাঁ, সেই রণথম্ভোর যা কিনা পর্যটকদের কাছে রাজস্থানের অন্যতম পুরোনো এক কেল্লার থেকেও বেশি পরিচিত অভয়ারণ্য বা স্যাংচুয়ারির জন্য, সেই রণথম্ভোরের জঙ্গলেই আছে রাজা হাম্বিরের কেল্লা যা রণথম্ভোর কেল্লা নামে পরিচিত। যদিও আমি সোজা দিল্লি থেকে না গিয়ে জয়পুর হয়ে গেছিলাম আর তাই রাস্তার মাঝে দেখা হল রাজস্থানের সবথেকে বড়ো আর অন্যতম প্রধান নদী ‘বানাস’-এর সঙ্গে। জয়পুর থেকে রণথম্ভোর যাওয়ার পথে মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে ডাক দিয়ে যায় আরাবল্লী, যদিও সারা রাজস্থান তারই রাজত্ব।
রণথম্ভোর ফোর্ট বা স্যাংচুয়ারি হলেও জায়গাটির আসল নাম সোয়াই মাধোপুর। এর সোয়াই নামকরণের পেছনেও আছে এক ছোট্ট গল্প। ভারত সম্রাট আকবরের সভার নবরত্নের অন্যতম রাজপুত জয়সিংকে আকবর সোয়াই উপাধি দেন তাঁর অসাধারণ বুদ্ধির জন্য। ‘সোয়াই’ অর্থে একশো শতাংশ বুদ্ধির থেকে আরো সোয়া শতাংশ বেশি বুদ্ধি।
এ তো গেল সোয়াই-মাধোপুরের নামকরণের নাম। তবে আমাদের বর্তমান গন্তব্য এই নামকরণের অনেক আগে হাম্বির বা হটি হাম্বিরের কেল্লা, যে কেল্লা আরাবল্লীর দুর্গম পথে জঙ্গলের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। সুরক্ষার জন্য প্রাকৃতিক এই বর্ম ছাড়াও কেল্লা নির্মাণের জন্য এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করা হয়। সাতমহলা এই কেল্লার সবথেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য এই যে এই কেল্লাকে কিন্তু দূর থেকে দেখলে কেল্লা বলে মনে হবে না, এমনকি কোনো কেল্লা আছে তাও কেউ বুঝতে পারবনে না। মনে হবে আরাবল্লী পর্বতমালার কোন এক শৃঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে। আদতে আরাবল্লী কেটে মানে পাহাড় কেটে তৈরি হলেও এই কেল্লার সাতমহল পাহাড়ের বাইরে বা ওপরে নয়, ভেতর দিয়ে তৈরি হয়েছে যাতে শত্রু বুঝতে না পারে যে এখানে কেল্লা আছে বা কেল্লার সঠিক অবস্থান কোথায়। অসাধারণ এই আর্কিটেকচারের মধ্যে শুধু একটি ভুল করে বসেন হাম্বির—পাথরের সঙ্গে লোহার ব্যবহার। আর তাই আজ হাম্বিরের নিজের প্রাসাদের ভেতরে ঢোকা যায় না, কারণ বহুবছরের লোহা মরচে পড়তে পড়তে পাহাড়ের ভেতরে ক্ষয়ে গেছে। তবে রক্ষে, আরাবল্লীর পাথর বলে সেইসব অংশ এখনো আছে দেখা যায়।
রণথম্ভোর জঙ্গলের আর ফোর্টের মধ্যে যাওয়া আর বেরোনোর রাস্তা একই। আপনি ফোর্টে যেতে চাইলেও আপনাকে গেটে এন্ট্রি করতে হবে আপনার গাড়ির নাম্বার সহ। গেটের সামনের দেওয়ালে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছবি দেখেও তখনো জানতাম না যে সে না হলেও তার নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে। সে গল্প একটু পরে।
এই গেট থেকে সোজা এগিয়ে যেতে থাকলে ধীরে ধীরে আরাবল্লী আর বন্য অরণ্যের এক অপরূপ রূপ দেখা যাবে যা একসঙ্গে রুক্ষতার রূপের সঙ্গে বন্য অরণ্যের রূপ আর ইতিহাসের গন্ধমাখা এক অবর্ণনীয় রূপ যা না দেখলে বলে বোঝানো যায় না। এই পথের বাঁদিকে আছে এক জলা জায়গা। নদী না হলেও নালার বড়ো রূপ এখানে। রাতে ও বিশেষ সময়ে অনেক সময়েই বন্য পশু জল খেতে আসে আর আমরা সেখানে উলটোদিকের চরায় কাঠের গুঁড়ির মাঝে নিদ্রারত কুমিরের দেখা পেয়েছি। এখানে ক্যামেরার সঙ্গে দূরবীন নিয়ে আসা বেশি দরকারি।
এই পথ সোজা এগোলেই ধীরে ধীরে দূরের সেই আরাবল্লী একদম পাশে এসে যাবে আর দেখা যাবে যে সে আদতে একটি কেল্লার পাঁচিল, নীচে কার পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে এগিয়ে চলা হাম্বিরের তৈরি এই কেল্লার দিকে। আর পাঁচটা কেল্লা আর তাঁর পাঁচিলের মতনই এর পাঁচিল কিন্তু একটু উপরে উঠলে দেখা যাবে চারদিকের বেশ কিছু জলাধার। এইসব জলাধারের কিছু নাম আছে। এগুলিই সেই সময়ে রাজা ও কেল্লাবাসীর জলের সোর্স ছিল তা বোঝা যায়। এর সঙ্গে এও বলে রাখা ভালো যে বলা হয়, ভারতের অন্যতম সুরক্ষিত ফোর্ট এটি। তা যে শুধুই এর গঠনশৈলীর জন্য তা নয়। এরকম দুর্গম পাহাড় আর জঙ্গল ও জংলি পশুও যে এর অন্যতম প্রধান কারণ তা বেশ বোঝা যায়।
হাম্বিরের গল্প শুরু করার আগে এই ফোর্ট বিষয়ে আরো একটু পুরোনো গল্প যা কিনা ফোর্ট ঢোকার মুখে লেখা ফলকে পাওয়া যায়, তা বলে নেওয়া যাক। বলা হয়, এই ফোর্টটি চামান্না রাজত্বের অন্তর্গত ছিল যা মহারাজা জয়ন্ত পঞ্চম শতকে তৈরি শুরু করেন আর পরবর্তীকালে যাদবরা এখানে বসবাস করেন ও বিংশ শতকে পৃথ্বীরাজ চৌহান এই ফোর্ট জেতেন। আর এঁদের সবথেকে জনপ্রিয় রাজা ছিলেন এই অঞ্চলের। পরবর্তীতে হাতবদল হয়ে দিল্লির সুলতানদের হাতে আসে ফোর্ট আর সঙ্গে ইতিহাসের একাধিক গল্পের সাক্ষী হয়ে আজ দাঁড়িয়ে আছে রণথম্ভোর কেল্লা।
তবে ফলকে লেখা এইসব কথার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় হাম্বির সম্বন্ধে প্রচলিত মিথ ও গল্পগুলি। এর মধ্যে একটি গল্প এই যে, একসময়ে রাজা হাম্বির ফিরে আসছেন যুদ্ধ থেকে। কেল্লা পর্যন্ত এসে গেছেন, কিন্তু ভেতরে যেতে পারছেন না। শত্রুপক্ষ আটকে আছে তাঁকে। কিন্তু চণ্ডীর উপাসক রাজা হাম্বিরের ঘোড়া বাঁচিয়ে দিল তাঁকে। কেল্লার পথ থেকে দেওয়ালে এক পা রেখে এক লাফে সে ঘোড়া রাজাকে মূল কেল্লাতে পৌঁছে দেয়। কেল্লার যেদিকে ঘোড়া পা রেখেছিল, সেখানে আজও নাকি সেই ঘোড়ার পায়ের ছাপ আছে, যদিও আমার মতন অনেকেই সেই ছাপ দেখতে পায় না। বাস্তবে এতদিন ধরে ঘোড়ার নালের সে ছাপ থাকার কথাও নয়। তবে হ্যাঁ, প্রভু হাম্বিরের মতন সেও যে আজও মানুষের মনে নিজেকে রাখতে পেরেছে সেই বা কম কী?
এর পরে কেল্লার পথ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে আরো এগিয়ে গেলে মূল ফটক দেখা যাবে। তবে এই পাহাড়ের গায়ে এই সিঁড়ি চড়াটা একটু কষ্টের আর এর সঙ্গে কিন্তু হনুমান সর্বত্র। তবে তারা মানুষে এতই অভ্যস্ত যে মানুষের নকল সেলফি পোজ পর্যন্ত করতে পারে। তা সে যাক, এবার ফোর্টে ঢুকে কিছু দূর গিয়ে দু-দিকে দুটি পথ, একটি পথ গেলে বাদল মহল আর সদরুদ্দিনের মাজারের দিকে, অন্যটি হাম্বিরের প্রাসাদের দিকে।
আপাতত গন্তব্য হাম্বিরের প্রাসাদ, যদিও প্রাসাদে ঢোকার আগে একটি ৬৪ খাম্বাওয়ালা টাওয়ার টাইপ যা স্থানীয় ভাষায় ‘ছত্রী’ নামে পরিচিত। এর বৈশিষ্ট্য এই যে আপনি এই ছত্রীতে উঠলে চারদিকের জায়গা যেমন যেমন দেখতে পারবেন, তেমনি এই খাম্বা উলির প্রত্যেকটি এমনভাবে গঠন করা হয়েছে যে প্রতিটি খাম্বা থেকে সমানভাবে সবক’টি দেখা যায় আর তার পেছনে লুকিয়ে থাকা মানুষদেরও প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর এই নিদর্শন মনোমুগ্ধকর। আর এখন এই ছত্রীর নীচে যে ছোটো ঘর আছে, তাতে এই কেল্লা অঞ্চলের খোঁড়াখুঁড়ি থেকে নির্গত এক প্রাচীন শিবলিঙ্গ রাখা আছে। সঙ্গে আছেন মহাদেবের বাহনও। অক্ষত অবস্থায় থাকায় পূজা হলেও তা মাত্রাতিরিক্ত নয়।
আর এবার এই ছত্রী থেকে নেমে একটু পেছনের দিকে হাঁটলেই হাম্বিরের প্রাসাদ যা এখন প্রবেশ নিষেধ। কেন? বলা হয়, আর্কিওলজিকাল সার্ভে এখানে কাজ করছে, আর অনেকে বলেন এখানে পাওয়া গেছে অনেক দুর্মূল্য জিনিস। কী বা কেন জানি না, এই হাম্বিরের না প্রবেশ করতে পারা প্রাসাদের এক দুর্নিবার আকর্ষণ আছে।
প্রাসাদকে বাঁদিকে রেখে আমরা এগিয়ে গেলাম গণেশ মন্দিরের দিকে। এইদিকে যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন মানুষ পাথর দিয়ে বাড়ি বানিয়েছে। মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দিরের যাওয়ার পথে পাথরের বাড়ি বানালে নিজেদের বাড়ি হয়। আর এই পথেই পরে পদ্মিনী লেক। এই পদ্মিনী সেই পদ্মিনী না হলেও ইনিও জল জহর ব্রত পালন করে নিজের প্রাণ দেন এই ঝিলের জলে, তাই তাঁর নামেই ঝিলের নাম। কথিত আছে, হাম্বিরের স্ত্রী এই পদ্মিনী ঔরঙ্গজেবের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাপযুক্ত এই জলাতে জল জহর করেন।
এর পরে একটু এগিয়ে বাঁদিকে সেই গণেশ মন্দির। কথিত যে, কেল্লা তৈরির সময়ে এই গণেশ মূর্তি মাটি থেকে বেরিয়ে আসে আর সেই জায়গাতেই বর্তমান মন্দির তৈরি করা হয়। মূলত এই অঞ্চলটি কেল্লার মন্দির অঞ্চল আর এখান থেকে কেল্লার গঠনশৈলী বোঝা যায় যে কীভাবে সাতমহলা এ কেল্লা পাহাড়ের ভেতরে ভেতরে তৈরি করা হয়। আপনি ঈশ্বর বিশ্বাসী হোন বা না হোন, ঐতিহাসিক এই জায়গায় এলে সব জায়গা দেখে নেওয়া ভালো।
গণেশ মন্দিরটির বাইরে হনুমানের লাইন বেশ লম্বা। এখানে লাড্ডু কিনে মন্দিরে গিয়ে দেখলে দেখবেন পুরোনো একটি পাথর যা গণেশ হিসাবে পূজিত, যা থেকে প্রাচীন ভারতের পূজা ও তাদের ঈশ্বরের ধারকের বিষয়ে আরো একবার আন্দাজ পাওয়া যায়। তবে সে কথা অন্য কোথাও। মন্দিরে মাথায় টিকা দিয়ে বেরিয়ে যান, কেউ কোনো দক্ষিণা চায় না।
এই পুরো কেল্লা জুড়েই আছে জলসত্রর ব্যবস্থা। জলতেষ্টা পেলে সেখান থেকে নির্দ্বিধায় জল খান আর যদি নেহাতই বোতলের জল চান তবে তা এখানেই পাবেন, তবে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য দিতে হবে।
এবার এই মন্দির থেকে একটু অফ রুটে পাহাড়ের বা জঙ্গলের আরো একটু ভেতরে যাওয়া। তবে পর্যটক হলে না যাওয়াই ভালো, কারণ পথ হারাবার সম্ভবনা প্রবল। স্থানীয় মানুষ যে খুব ভালো করে জায়গাটি চেনে তার সঙ্গে এই মন্দির থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন গুপ্ত গঙ্গা দেখতে আদতে যা মাটির নীচের জলের সোর্স আর যা পাথরের ভেতর দিয়ে আসছে। প্রাকৃতিক এই সুন্দর জল সম্পদটি অবশ্য এখন মানুষের লোভে বেশ নোংরা হয়ে গেছে।
এই গুপ্ত গঙ্গা থেকে এগিয়ে আরো কিছুটা গেলে দেখতে পারবেন রাজাদের পুরোনো অস্ত্রাগারের ধ্বংস স্থান যার গায়ে আজও বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়। বলা হয় যে এই কেল্লা থেকে যে পরিমাণ বারুদ পাওয়া গেছিল তা অবর্ণনীয়।
আর এবার এর থেকে একটু এগিয়ে আরো একটি শিবমন্দির। তবে সেখানে কোলাহল বা পুজোর ব্যাপার নেই। এখানে দাঁড়িয়ে আরাবল্লীর রুক্ষ আর সুন্দর প্রকৃতির এক অবর্ণনীয় স্বাদ পাবেন। তবে ফেরার পথে সাবধান, পথ না হারায়। এই রাস্তায় পশুপাখির হাড়গোড় দেখা যেতে পারে, কারণ আদতে এটি অভয়ারণ্যের মধ্যেই। তাই অনেক বন্য পশুই আশেপাশে থাকে। তাই সাধু সাবধান। এই গুপ্ত গঙ্গা ও অন্য শিবমন্দির খুব দক্ষ ব্যক্তির সঙ্গে ছাড়া দেখতে না যাওয়াই ভালো।
ফেরার পথে গণেশ মন্দির থেকে একটু এগিয়ে দেখা যাবে চণ্ডী মন্দির। এই চণ্ডীর উপাসক ছিলেন রাজা হাম্বির আর কথিত আছে যে একবার সাধনা করতে করতে রাজা নিজের মাথাই বলি স্বরূপ চণ্ডীকে দান করেন আর দেবী রাজার সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে রাজার মস্তক আবার যথাস্থানে প্রতিস্থাপিত করেন।
এবার ফেরার পালা। আবার দীর্ঘ পথ হেঁটে ফেরার সময়ে সেই বাদল মহল আর সদরুদ্দিনের মাজার। বাদল মহলের একটি অংশে এখন আর যেতে দেয় না, কারণ সেখানে বাঘের আগমন হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে এখান থেকে জঙ্গল এলাকা ভালো করে দেখা যায়। আর এর পাশেই সদরুদ্দিনের মাজার। বাদল আর সদরুদ্দিন বন্ধু ছিলেন, আর ছিলেন হাম্বিরের ঘনিষ্ঠ। সদরুদ্দিন ছিলেন রাজার সেনা দলে। প্রাণ দেন সে রাজার জন্য, তাই তাঁর জন্য মাজার তৈরি হয় বন্ধু বাদলের বাড়ির কাছেই।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, যে এই ইতিহাসের সাক্ষী কেল্লার রক্ষক সদরুদ্দিন আর রাজা হাম্বির আজও আছেন এখানেই।
ফেরার সময়ে যদি আপনার মনে হয় যে ৬৪ খাম্বার ছত্রীর ওপরে দাঁড়িয়ে রাজা হাম্বির আপনার ফিরে যাওয়া দেখছেন, তবে তাতে অবাক হবেন না। সব গল্প, সব মিথ বাস্তব আর বর্তমান দিয়ে বিচার না করাই ভালো।
প্রকৃতির কোলে প্রাকৃতিক আর নিজের শক্তির সুরক্ষা দিয়ে তৈরি হওয়া এই কেল্লা জানা না জানা একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী যে আজও মধ্যরাতে হয়তো নিজের মতন করে জেগে ওঠে; হয়তো আজও সদরুদ্দিনের মাজারের সামনের আরো এক লেকের পাশে রোজ রাতে গল্প করেন দুই বন্ধু বাদল আর সদরুদ্দিন। ধর্ম আর হিংসা নয়, জিতে যায় প্রকৃতি আর মানবতা।
ফেরার সময়ে ইতিহাসের যে গন্ধ গায়ে মেখে ফেরা তা অনেক কিছু পাওয়া না পাওয়াকে ভুলিয়ে দেয়। আর মনে মনে বলতে হয় এভাবেই বেঁচে থাক ইতিহাস, গল্প আর মিথ।
Superb writing
LikeLike