ভারত ও বিশ্বের বৈজ্ঞানিক-সব লেখা একত্রে
আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দর্শনে মনে করা হত সৃষ্টির প্রধান উপাদান মূলত চারটি—বাতাস, মাটি, আগুন আর জল। এর পরবর্তী অধ্যায়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিকে অনেক অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিজ্ঞানের দিশারিরা মনে করতেন, বাতাস ধ্বংস করা যায় না বা সৃষ্টিও করা যায় না। কিন্তু ১৭৭৪ সালে ইংল্যান্ডের এক রসায়ন বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিস্টলে অক্সিজেন গ্যাস আবিষ্কার করে বিজ্ঞান মহলে আলোড়ন ফেলে দেন। তিনি তাঁর প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলেন, বাতাসে এই গ্যাস মিশে আছে এবং এই গ্যাসটিই হল জীবনধারণের অন্যতম আবশ্যিক পদার্থ। সেই সময় বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও বাতাসের উপাদান নিয়ে কোনও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়নি।
ইউরোপ ও বিভিন্ন উন্নত দেশে অ্যালকেমিস্টরা তখন নানা রাসায়নিক পদার্থ মিয়ে অদ্ভুত পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছেন। কেউ কেউ সোনা বানাবার কৃত্রিম উপায় বার করে বড়োলোক হবার চেষ্টাও করে চলেছেন। রসায়ন তখনও বিজ্ঞান হয়ে ওঠেনি, জাদুবিদ্যার দাস হয়ে ঘুমিয়ে ছিল। আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণ আর বলবিদ্যার সূত্র আবিষ্কার করে ভৌত বিজ্ঞানকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এর অনেক আগেই, কিন্তু রসায়ন বিজ্ঞানের তকমা পায়নি। সেই সময় কোনো-কোনো বিজ্ঞানী নিভৃতে বাতাসের উপাদান নিয়ে কাজ করে চলেছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জোসেফ প্রিস্টলে।
প্রিস্টলের হাতিয়ার ছিল একটা পারদের পাত্রে উলটো করে উপুড় করে রাখা একটা বেলজার। বেলজারে রাখা গ্যাস পারদের জন্য বাইরে বেরিয়ে যেতে পারত না। এর আগে নানা অ্যালকেমিস্ট বেলজারের মধ্যে নানারকম জায়গা থেকে বাতাস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখতেন সেই বাতাস জীবন বা গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে কি না—পারলেও কতক্ষণ জীবন বেঁচে থাকতে পারে।
প্রিস্টলের পরীক্ষা একটু অন্য ধরনের ছিল। তিনি একটা পাত্রে মোমবাতি রেখে জ্বালিয়ে দিলেন, তারপর তার উপর বেলজার চাপা দিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর মোমবাতি নিভে গেল। এবার তিনি একটা ইঁদুর ঢুকিয়ে দিলেন বেলজারে। ধড়ফড় করে অল্পসময় পর সেই নিরীহ প্রাণীটি মারা গেল। এবার তিনি সেই বেলজারের ভিতর একটা গাছ রেখে দিয়ে গোটা পরীক্ষণীয় ব্যবস্থা রেখে দিলেন সূর্যের আলোয়। তারপর একটা ইঁদুর বেলজারের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে দেখা গেল, সেটি দিব্যি বেঁচে আছে।
প্রিস্টলে তাঁর এই পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ থেকে অনুমান করলেন, কোনও জিনিস পুড়ে যাওয়ার পর একটি বিশেষ গ্যাস ফুরিয়ে যায়, যার অভাবে ইঁদুর শ্বাসকষ্ট পেয়ে মারা যায়। তিনি আরও বুঝেছিলেন যে, সেই একই গ্যাস গাছ থেকে সৃষ্টি হয়। আবিষ্কৃত অদৃশ্য গ্যাসটির তিনি নাম দিলেন ‘ডিফ্লজিসটিগেটেড গ্যাস’।
যে-বাতাস প্রাণকে বাচিয়ে রাখতে পারে না, সপ্তদশ শতাব্দীর অ্যালকেমিস্টরা তার নাম দিয়েছিলেন ‘ফ্লজিসটিগেটেড গ্যাস’। তাই প্রিস্টলে প্রাণদায়ী গ্যাসের নাম দিলেন ডিফ্লজিসটিগেটেড গ্যাস—যে-গ্যাস প্রাণের স্পন্দনকে ধরে রাখতে পারে। এরপর তিনি আরেক দুর্দান্ত পরীক্ষা করে তাঁর আবিষ্কারকে প্রতিষ্ঠা করেন। একটা উপুড় করা বেলজারের মধ্যে রেড মারকিউরিক অক্সাইড রেখে দেওয়া হল। তারপর একটা আতস কাচের সাহায্যে সূর্যের আলো ফোকাস করে বেলজারের ভিতরে রাখা মারকিউরিক অক্সাইড পুড়িয়ে দিলেন জোসেফ। এবার সেই বেলজারে জ্বলন্ত মোমবাতি রেখে দিয়ে দেখলেন মোমবাতির শিখা খোলা বাতাসে রেখে দিলে যতক্ষণ জ্বলে, তার চাইতে অনেক বেশি সময় ধরে জ্বলছে। একটা জ্যান্ত ইঁদুর সেই বেলজারে রেখে দেখা গেল, প্রায় চার-পাঁচ গুণ পরে ইঁদুরটার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অর্থাৎ, মারকিউরিক অক্সাইড পুড়িয়ে আরও বিশুদ্ধ ডিফ্লজিসটিগেটেড গ্যাস পাওয়া যায়।
প্রাণদায়ী সেই গ্যাস আসলে অক্সিজেন গ্যাস। যদিও কিছু বছর পর এই গ্যাসের ‘অক্সিজেন’ নামকরণ করেন বিজ্ঞানী আন্তন ল্যাভোসিয়ার, যাঁকে রসায়ন বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। তিনি বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্যাসকে পৃথক করতে পেরেছিলেন।
পরীক্ষালব্ধ অভিজ্ঞতা লিখে রেখে জোসেফ প্রিস্টলে বলেন, এই যে নতুন এক গ্যাসের সন্ধান আমি পেয়েছি, সেই গ্যাসই বাতাস থেকে আমার ফুসফুসে ঢুকে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে পরীক্ষাগারে যে-গ্যাস আমার হাতে এসেছে, সেটি অনেক বিশুদ্ধ। সেই গ্যাস বুকে ভরে আমি অনেক হালকা বোধ করেছি—শুধু আমি, আর দুটো ইঁদুর এই পৃথিবীতে তার ঐশ্বরিক স্বাদ পেয়েছে মাত্র।
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার শহরে ১৭৩৩ সালে জন্ম হয় জোসেফ প্রিস্টলের। পশমের তৈরি পোশাক বানানোর পারিবারিক ব্যাবসা ছিল তাঁদের। পরিবারটি ছিল খ্রিস্টান প্রটেস্টান্ট ধর্মের পূজারী। কিশোর জোসেফ তাঁর মাসির কাছে মানুষ হয়েছিলেন, কারণ তাঁর মা খুব কম বয়সে মারা যান। জোসেফ পড়াশুনোতে খুব চৌকস ছিলেন। তাই স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি বিভিন্ন ভাষা শিখে নেন। ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি, জার্মান ও ইতালিয় ভাষা শিখে ফেলার ফলে তিনি প্রাচীন ও তৎকালীন বিজ্ঞান বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেন, যা তাঁকে কর্মজীবনে সঠিক গবেষণা করতে সাহায্য করে। অঙ্ক ও দর্শনেও তাঁর সমান আগ্রহ ছিল। কিন্তু প্রটেস্টান্ট হওয়ার কারণে, ভালো ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজের মতো উঁচু শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। ডাভেন্ট্রি অ্যাকাডেমিতে মেধাবী ছাত্র হবার সুবাদে এক ক্লাস উঁচুতে জোসেফকে ভর্তি করা হয়।
লেখাপড়া শেষ করে জোসেফ শিক্ষকতা আর ধর্মপ্রচার করে নিজের খরচ চালাতে শুরু করেন। কিন্তু শিক্ষক হিসাবে তিনি খুব জনপ্রিয়তা পাননি, তার কারণ তাঁর কণ্ঠস্বর মধুর ছিল না আর সামান্য তোতলাও ছিলেন। তবুও পড়ানো ছিল তাঁর প্রিয় পেশা।
বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন সেই সময় লন্ডনের প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। জোসেফের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ফ্র্যাঙ্কলিন স্থির তড়িতের উপর অনেক চমকপ্রদ কাজ করেছিলেন। তিনি জোসেফের গ্যাসের উপর গবেষণার কথা জানতে পেরে তাঁকে একটা বই লিখতে বলেন। যার ফসল হল— ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড প্রেসেন্ট স্টেট অফ ইলেক্ট্রিসিটি’। বইটিতে তড়িৎ শক্তির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ইতিহাস ও বিবর্তন লেখা হয়। সেই সময় প্রিস্টলে ইলেক্ট্রিক কারেন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাও করেন। চারকোল যে তড়িৎ প্রবাহী, প্রিস্টলে তাঁর পরীক্ষাগারে সেই আবিষ্কার করেন। তড়িৎ প্রবাহের ফলে কোনও দ্রবণে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়, সে-কথাও তিনি জানিয়ে দেন। প্রিস্টলের লেখা এই বইটির প্রচার পায় এবং তাঁকে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো পদে সম্মানিত করা হয়। বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের সঙ্গে জোসেফ প্রিস্টলের আজীবন বন্ধুত্ব বজায় ছিল।
রয়্যাল সোসাইটির স্বীকৃতি পাওয়ার পর লন্ডনের বিজ্ঞানী মহলে জোসেফের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্যাপ্টেন জেমস কুক দ্বিতীয়বার পৃথিবী পরিভ্রমণের তোড়জোড় শুরু করলে জোসেফ প্রিস্টলেকে সেই অভিযানে যোগ দিয়ে তাঁর বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আবার চার্চের বিরোধিতায় তাঁকে বর্জন করতে বাধ্য হন ক্যাপ্টেন কুক।
আরেক অভিযাত্রী লর্ড শেলবার্ন ইউরোপ যাত্রায় জোসেফকে সঙ্গী করেন। ফ্রান্সে পৌঁছে আন্তন ল্যাভোসিয়ারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। ল্যাভোসিয়ার নানারকম গ্যাস নিয়ে তখন পরীক্ষা করলেও অক্সিজেন আলাদা করতে পারেননি। জোসেফ তাঁর গবেষণার কথা ল্যাভোসিয়ারের সঙ্গে আলোচনা করেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও পান। ল্যাভোসিয়ার জোসেফকে বই লেখায় উৎসাহ দেন। পরবর্তীকালে জোসেফ প্রিস্টলে ছয় খণ্ডে বই লেখেন – ‘এক্সপেরিমেন্টস অ্যান্ড অবসারভেশনস অন ডিফারেন্ট কাইন্ড অফ এয়ার’।
প্রিস্টলে লন্ডনে ফিরে আসার কয়েক বছর পর ল্যাভোসিয়ার অক্সিজেন গ্যাস তৈরি করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি আরও দেখান যে, কোনও বস্তু পোড়ালে এই গ্যাস নিঃশেষ হয়ে যায়, বিনিময়ে উৎপন্ন হয় অন্য গ্যাস—যা তখনও পর্যন্ত ফ্লজিসটন গ্যাস বলা হত। যেহেতু এই গ্যাসকে জোসেফ প্রিস্টলে শনাক্ত করেছিলেন, তাই তাঁকে দেওয়া হল অক্সিজেন গ্যাস আবিষ্কারের কৃতিত্ব।
জোসেফ প্রিস্টলে তাঁর গবেষণাগারে অনেক গ্যাস আবিষ্কার করেছিলেন। নাইট্রাস অক্সাইড, যাকে লাফিং গ্যাস বলা হয়, সেই গ্যাসের আবিষ্কর্তা তিনিই। এছাড়াও নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া ও সালফার-ডাই-অক্সাইডের শনাক্তকরণ জোসেফের হাতেই হয়। যদিও এইসব গ্যাসের বৈজ্ঞানিক নামকরণ অনেক পরে হয়।
ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকাতে বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠল। শুরু হল ইতিহাসখ্যাত আমেরিকান রেভলিউশন। ব্রিটেনের রাজার সরাসরি বিরোধিতা করে আমেরিকায় শুরু হল যুদ্ধ। উদার ধর্মমত ও প্রগতিশীল মানসিকতার অধিকারী জোসেফ প্রিস্টলে আমেরিকান রেভলিউশনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করলেন। ফলে তাঁকে লন্ডন ছাড়তে হল। তিনি বারমিংহামে আশ্রয় নিলেন। শাপে বর হল। সেখানে তখন সবেমাত্র জেমস ওয়াট স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কার পুরোনো সমাজকে এক ধাক্কায় বহুদূর নিয়ে গিয়েছিল। জেমস ওয়াটের সঙ্গে প্রিস্টলে দেখা করেন। তাঁর কাজ নিয়ে আলোচনাও করেন। বারমিংহামে তখন একদল উদারমনা বিজ্ঞানী এক অদ্ভুত সভা করতেন। সেই সভার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘লুনার সোসাইটি’। প্রতি পূর্ণিমার রাতে বিজ্ঞানীরা মিলিত হয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা আর কাজে কথা আলোচনা করতেন। প্রগতিশীল লুনার সোসাইটিতে যোগ দিয়ে জোসেফ মনের মতো সঙ্গী পেলেন। ধর্ম বিষয়ে তাঁর দর্শনের কথা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল না। ফরাসি বিদ্রোহ শুরু হলে জোসেফ সেই বিদ্রোহকেও সমর্থন করলেন।
অক্সিজেন গ্যাস যে বাতাসে পাওয়া যায়, সেই নব আবিষ্কার করে বাইবেল বিরোধিতার জন্য ধর্মান্ধ মানুষের রোষের শিকার হলেন জোসেফ প্রিস্টলে। প্রটেস্টান্টরা ইংল্যান্ডের রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিরোধী ছিল এবং চার্চ চলত রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। চার্চ বাইবেলে লেখা সৃষ্টির উদ্দেশ্য আর মতামতের বাইরে যাওয়া একেবারেই পছন্দ করত না। জোসেফ চার্চ ও বাইবেলে লেখা সৃষ্টির উপাদানের দর্শনকে আঘাত করা শুরু করেছিলেন তাঁর আবিষ্কারের মাধ্যমে। বিবাদ বাড়তে বাড়তে ভয়ংকর আকার নিল। জোসেফের ল্যাবরেটরি আর বাড়ি দুই-ই ভেঙে চুরমার করে দিল গুণ্ডার দল। ভাগ্যক্রমে জোসেফ সপরিবারে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। প্রথমে তারা লন্ডনে আশ্রয় খোঁজেন। কিন্তু সেখানে প্রাণসংশয়ের ভয়ে বাধ্য হয়ে চলে যান আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায়।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রিস্টলেকে অধ্যাপক নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু ভাগ্যতাড়িত জোসেফ আর পড়ানোর কাজে উৎসাহ পাননি। তিনি গ্রামে এক ঘর বানিয়ে বসবাস করেন তাঁর দুই পুত্র ও স্ত্রীকে নিয়ে। সেখানে তিনি নিজের আলাদা গবেষণাগার তৈরি করে আবার বাতসের উপর পরীক্ষা করতে থাকেন।
১৮০০ সালে থমাস জেফারসন আমেরিকার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন জোসেফ প্রিস্টলের খুব কাছের বন্ধু। এর উত্তরকালে জোসেফ যতদিন বেঁচে ছিলেন, তিনি আমেরিকার একজন সম্মানীয় বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন কাটান বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নত দার্শনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে লেখালেখি করে। ১৮০৪ সালে মৃত্যুশয্যায় শুয়েও জোসেফ প্রিস্টলে তাঁর বিজ্ঞানাগার সহায়ক পুত্রকে গবেষণার তথ্য লিখে রাখার নির্দেশ দেন এবং সঠিক হলে তবেই নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যান। সেই ঘুম তাঁকে না ফেরার দেশে নিয়ে যায়। তাঁর মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন বলেন, “মানব সমাজের মুষ্টিমেয় ক’টি মূল্যবান প্রাণের একজনকে আমরা আজ হারালাম।”
তথ্যসূত্র – The 100 Most Influential Scientists of all time – Britannica Educational Publishing, Edited by Kara Rogers, 2010.
জয়ঢাকের বৈজ্ঞানিকের দপ্তর