আবার শীতকাল ঘুরে এল। এখনো মহামারীর প্রকোপ চলছেই। তবে সামনেই তার ওষুধ এসে গেলে এই মহামারী হয়তো থামবে কিন্তু আর একখানা গোপন মহামারী যে সারাবছর ধরে চলে তার প্রকোপ কিন্তু কমবে না। সে-মহামারী আবার শীতকালে বেড়ে যায়। সে হল দূষণ।
আসলে কলকারখানা, গাড়িঘোড়া তারপর ধরো গিয়ে গ্রামগঞ্জে ফসল তোলার পর যত শুকনো খড় পোড়ানো হয় তার থেকে যে বিষাক্ত জিনিসরা হাওয়ায় এসে মেশে, শীতের ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় ভর করে তা মাটির কাছাকাছি আরো গাঢ়ভাবে জমা হয়। পথেঘাটে বের হলে এ-সময় যে বেজায় সর্দিকাশি হয় তার অনেকটাই কিন্তু বেচারা ঠাণ্ডার দোষ নয়। দোষ ওই বাতাসে মিশে থাকা বিষাক্ত, অদৃশ্য শত্রুদের। ওরা শরীরকে দুর্বল কর। ওরা ধীরে ধীরে অনেক খারাপ অসুখ জড়ো করে শরীরে।
বড়োরা লোক সুবিধের নয় সে তো জানোই। তারা তো আর এসব বন্ধ করবে না খুব শিগগির! তাই বলি কি মহামারীর সময় পথেঘাটে যে মুখোশ ব্যবহার করছিলে, সেইটে কিন্তু ফেলে দিও না। পথেঘাটে বের হলে ওইটে পরেই বেরিও। মুখোশগুলো এই খারাপ জিনিসদের বেশ ভালোভাবেই আটকে দেয়। দেখবে বেশি সর্দিকাশি হবেই না আর।
কিন্তু তাই বলে কি সবই এমন খারাপ? হয় নাকি? ভালোও রয়েছে আমাদের চারপাশে অনেক কিছু। সেই ভালোটা হলাম আমরা, মানুষরাই। জয়ঢাকি বোল-এ সেই ভালোর কথা তোমাদের বললেন, তোমাদের আবু আফজাল সালেহ দাদাভাই। এই যে–
সবকিছুই সুন্দর, উজ্জ্বল
ছোট হোক, বড় হোক
ফুল বা পাখি, যা-ই হোক।
অট্টালিকার মানুষ
রাস্তার মানুষ
কালো-শাদা মানুষ, প্রণাম
হাঁটুগেড়ে প্রণাম তোমাদের।
মানুষের আগের বিশেষণগুলো বাদ দাও
মানুষের আগের শব্দাবলি বাদ দাও
এরপর কি থাকে?
– মানুষ?
আর যেতে পারবে না আদি ব্যবস্থায়!
একটি শব্দই টিকে থাকবে, যুগযুগ ধরে আছে
মানুষ, অব্যর্থ শব্দ
সবচেয়ে দামিও।
শীতকালে ভালো থেকো সবাই। জয়ঢাক পোড়ো, জয়ঢাক শুনো। তোমাদের জন্যে অনেক কথা বলা গল্প, কমিকস আর মুভিও রয়েছে কিন্তু ওতে।
ভালোবাসায়,
তোমাদের জয়ঢাকি দাদাদিদিরা।