ও-পাড়ার শ্যামবাবু খোঁজে ভালো ডাক্তার,
ঠান্ডায় একেবারে বন্ধ যে নাক তার।
ঘেঁটে-ঘুটে খুঁজে-পেতে পেল এক বদ্যি,
বললে সে এ তো নয় সাধারণ ‘সদ্যি’।
নাড়ি গুনে, দাড়ি টেনে, নাকে নল ঢুকিয়ে
বলে রোগ শত শত, নেই লাভ লুকিয়ে।
রক্তে দুষ্টি আছে, পোকা আছে দাঁতে
হাড়-ভাঙা রোগও দেখি ছড়িয়েছে হাতে।
হাম আছে, হাঁপ আছে, আরও আছে যক্ষ্মা
গেছে দেখি কলজেও, পেতে পারো অক্কা।
কানে আছে কটকট, পেটে ব্যথা পিলেতে
রোগখানা সারে যদি যেতে পারো বিলেতে।
সব শুনে মাথা ধরে বসে পড়ে শ্যামা রায়,
বলে তবে এই বেলা কী যে মোর হবে হায়!
দোর দিয়ে খিল এঁটে চোখে শুধু কান্না,
ভয়ে গলা খটখটে খেতে কিছু চান না।
শেষকালে গিন্নিমা খাঁটি মধু আনিয়ে,
খাওয়ালেন চায়ে গুলে কিচ্ছু না জানিয়ে।
সপ্তাহ দুই পরে সর্দির নেই খোঁজ,
ভোরবেলা শ্যামবাবু দৌড়ান হর-রোজ।
জয়ঢাকের ছড়া লাইব্রেরি এই লিংকে