গল্প-ভুতুড়ে শহরের খোঁজে -সবিতা বিশ্বাস-বসন্ত ২০২১

সবিতা বিশ্বাসের আগের গল্প- চিকু

পার্থ খুব উত্তেজিত হয়ে দৃপ্তকে বলল, “ইয়ার্কির একটা সীমা থাকে, বুঝলি দৃপ্ত? তুই যা বলবি তাই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? মানছি তোর ছোটকা ট্রাভেলার, অনেক দেশ ঘুরেছে। তাই বলে রামায়ণের সীতাকে দেখেছেন এটা হতেই পারে না। এটা আজগুবি।”

সুমিত পার্থকে বলল, “ছাড় না পার্থ। দৃপ্ত ওর ছোটকার কাছে যা শুনেছে তাই বলেছে। চল আমরা বরং দৃপ্তর সঙ্গে ওদের বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দৃপ্তর ছোটকার মুখ থেকেই পুরো গল্পটা শুনি। আমার তো কাকুর গল্প শুনতে দারুণ লাগে। আর ছোটকাতো আমাদের নিয়ে যেতেই বলেছে, তাই না রে দৃপ্ত?”

দৃপ্ত বললো, “সে-কথা তো আমি মাঠে এসেই বলেছি তোদের। ছোটকা বলল, ‘দীপু, আজ খেলার শেষে তোর বন্ধুদের নিয়ে আসিস। জমিয়ে গল্প করব।’ কাল রবিবার, অতএব পড়ার চাপও নেই। মাও বলেছে আজ সন্ধেবেলা আমাদের জন্য মাংসের শিঙাড়া বানাবে। তোরা এক কাজ কর, বাড়িতে জানিয়ে আমাদের বাড়ি চলে আয়।”

দৃপ্ত বাড়ি ঢুকতেই হো হো হাসির শব্দ শুনতে পেল। ওর আর বুঝতে বাকি রইল না দিদিয়া ওর বন্ধুদের নেমন্তন্ন করেছে। দিদিয়ার বন্ধুগুলো দিদিয়ার মতোই। কথায় কথায় হেসে গড়িয়ে পড়ছে। কী জানি বাবা, এত হাসি কোথায় পায় ওরা। আর দীপুকে দেখলে সবাই মিলে ওর গাল টিপে দেবে, না-হয় চুল ঘেঁটে দেবে। আর ওই রমিতাদি হামি খাবে, আর দিদিয়াকে বলবে, ‘দীপু কতটা লম্বা হয়ে গেছে রে!’

আচ্ছা, দীপু কি চিরকাল ছোটো থাকবে নাকি? না-হয় ওরা কলেজে পড়ে, তাই বলে দীপুও ছোটো নেই। এখন ও ক্লাস সেভেনে পড়ে। আজ যদি রমিদি অমন করে ও বলে দেবে, এসব ওর পছন্দ নয়। কিন্তু দীপু যা ভাবছিল আজকে সেসব কিছুই হল না। সবাই আজ ছোটকাকে ঘিরে কলকল করছে।

ছোটকা বলল, “কী ব্যাপার দীপুবাবু, তুমি গোমড়া মুখে অত দূরে বসে আছ কেন? বন্ধুরা আসেনি বলে মনখারাপ? এসো এসো, আমার পাশে বসো। চিন্তা নেই, সব্বাই এসে যাবে।”

বলতে বলতেই সব্বাই এসে পড়ল। এমনকি দীপুর বাবা পর্যন্ত। অফিস থেকে ফিরে যোগ দিল গল্পের আসরে।

ছোটকা শুরু করতে যাবে, দীপুর মা ট্রে ভর্তি করে গরম গরম শিঙাড়া নিয়ে হাজির হল। ছোটকা বলল, “ওহ্‌ বৌদি, কী খুশবু! কী স্বাদ!”

মা হেসে বলল, “তোমার সীতা মাঈয়ের হাতের ইডলি-সাম্বরের থেকেও বেশি?” তারপর হাসতে হাসতে চা আনতে চলে গেল।

সিনথি মানে দীপুর দিদিয়া আর ধৈর্য ধরতে পারছে না। দীপুও। তবে মুখে প্রকাশ করছে না। ছোটকা সবার মুখের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে বলল, “না না, আর দেরি নয়। এক্ষুনি শুরু করব।”

ছোটকা বলতে শুরু করল, “তোরা তো জানিসই একা একা ঘোরা আমার অভ্যাস। ওই দলবল নিয়ে ঘোরা আমার পোষায় না। এবার বেরিয়ে পড়েছিলাম পরিত্যক্ত শহর বা বলা চলে ভূতুড়ে শহরের উদ্দেশ্যে। আটটি ভূতুড়ে শহর দেখে বাড়ি চলে আসছিলাম। হঠাৎ মনে হল কবিগুরুর ওই দুটো লাইন—‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশির বিন্দু’।”

দীপুর বাবা বলল, “ছোটু, কোথায় কোথায় গিয়েছিলি?”

দিদিয়া রেগে গিয়ে বলল, “কী হচ্ছে বাবা, তুমি বেলাইনে যাচ্ছ কেন?”

ছোটকা হেসে বলল, “আরে না, ঠিক লাইনেই গাড়ি চলছে। দাঁড়া বলছি। দাদার কথার উত্তর দিয়ে নিই। জাপানের হাসিমা দ্বীপ…”

বাবা থামিয়ে দিয়ে বলল, “না না, এখন বলতে হবে না। পরে শুনব। যা বলছিলি সেটাই বল।

ছোটকা সবার মুখে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল, “তোমরা সবাই ধনুষ্কোটির নাম শুনেছ তো?”

দীপু হাত তুলল। সঙ্গে সঙ্গে দিদিয়া বলল, “দীপু, হাত তুললেই হল? আমি জানি না, আর তুই জানিস?”

ছোটকা বলল, “থাম থাম, আমি বলছি। শোন, তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে কুড়ি কিমি দূরে এই ধনুষ্কোটি। এখান থেকে আরো পাঁচ কিলোমিটার গেলে সেতুবন্ধ। রামায়ণে আছে, বানর সেনারা সীতাকে উদ্ধারের জন্য এখানে পাথরের সেতু নির্মাণ করেছিল। এটা হল ভারতের শেষ ভূখণ্ড। এখান থেকে জলপথে মাত্র আঠারো মাইল দূরে শ্রীলঙ্কার তলাইমান্নার। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল ধনুষ্কোটি দেখব। কী করে মাত্র কয়েক মুহূর্তে একটা শহর পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল সেটাই নিজের চোখে দেখব বলে গিয়েছিলাম। দেখে বড্ড মনখারাপ হয়ে গেল। সব আছে, শুধু প্রাণ নেই। একসময় পর্যটন শিল্পেও খুব নাম করেছিল জায়গাটা।

“১৯৬৪ সালের বাইশে ডিসেম্বর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় একটা গোটা ট্রেনকে নিয়ে ডুবে গিয়েছিল সমুদ্রে। ১১০ জন যাত্রী ও ৫ জন রেলকর্মীর কেউই বেঁচে ছিল না। ধ্বংস করেছিল রেল স্টেশন, পুলিস স্টেশন, চার্চ, স্কুল সহ ৬০০ বাড়ি। প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ১৮০০ লোকের। শহরের দক্ষিণদিকটা পাঁচ মিটার জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল। তারপরেই ভারত সরকার ওই শহরকে বসবাসের অনুপযুক্ত ঘোষণা করে।”

ছোটকা যখন এসব বলছে বাবা তো খুব মন দিয়ে শুনছে, কিন্তু দিদিয়ার বন্ধুরা ফিসফিস করছে, ‘কী রে, ছোটকা তো ইতিহাস পড়াচ্ছেন! গল্প কখন বলবেন?’

ওরা যত আস্তেই বলুক, ছোটকা ঠিক শুনে ফেলেছে। হেসে বলল, “গানে যেমন মুখড়া থাকে, এও তেমনি। বুঝলে ম্যাডাম?”

ছোটকা বলতে শুরু করল, “ধনুষ্কোটির ছবি তুলতে তুলতে আমার তো ঘড়ির দিকে খেয়ালই নেই। কিন্তু এখানে এলাম, সেতুবন্ধ দেখব না? আজ না দেখা হলে আবার কাল আসতে হবে।”

দীপু বলল, “তুমি ওখানে রাতে থেকে যেতে পরতে।”

ছোটকা হেসে বলল, “দীপুবাবু, ওটা ভূতের শহর। ওখানে শুধুমাত্র ভূতেরাই থাকে। মানুষ থাকবে কী করে? তারপর কী হল শোনো। জীবনে সমুদ্র আমি কম দেখিনি। কিন্তু এখানকার সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা আমি কোনোদিন ভুলব না। আমি সেই বর্ণনায় যাব না। তাহলে রমি ম্যাডাম বলবে ছোটকা ভূগোল পড়াচ্ছেন।”

কাকুর বলার ভঙ্গিতে সবাই হেসে উঠল। শুধু রমিদি মুখটা গোমড়া করে বসে রইল। কাকু বলল, “আরে, এটা তো মজা করে বললাম। আসলে সমুদ্রের রূপ কি আর বলে বোঝানো যায়? তোমরা গিয়ে দেখো।”

ছোটকা আবার গল্পে ফিরল। “আমি সেতুবন্ধে গিয়ে ছবি তুলতে তুলতে অন্য লোকজনদের থেকে একটু দূরে চলে গিয়েছিলাম। পুলিস হুইসেল বাজিয়ে সবাইকে তাড়া দিয়ে নিয়ে গেছে টেরই পাইনি। পুলিসও হয়তো আমাকে খেয়াল করেনি। আমার যখন খেয়াল হল, চারপাশে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। আমার তিনদিকে সমুদ্র। কিন্তু এখন এই সন্ধ্যায় সমুদ্রের দিকে তাকাতে ভয় করছে। দিনের বেলা দেখা নীল জল এখন মিশমিশে কালো। বড়ো বড়ো ঢেউ আছড়ে পড়ছে পায়ের ওপরে। আমি কি পালাব? কিন্তু কোথায় যাব? চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢাকা। মনে হচ্ছে আমার চারদিকেই সমুদ্র, আমাকে ঘিরে ধরেছে। ওহ্‌, কী ভয়ংকর গর্জন! আমি ছুটতেও পারছি না, বালিতে আমার পা ডুবে যাচ্ছে। ভয় কাকে বলে আমি জানি না, কিন্তু তখন ভয়ে আমার বোধশক্তি লোপ পেয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের আঘাতে কয়েকবার পড়েও গেলাম। জলে আমার শরীর ভিজে গেল। ক্যামেরাটা বোধ হয় নষ্ট হয়ে গেল। যখন আমি সব আশা ছেড়ে দিয়েছি, সেই সময় কে যেন শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরে আমাকে একরকম টানতে টানতে নিয়ে ছুটে চলল। তার স্পর্শে বুঝলাম, সে নারী।

“সে বলতে লাগল, ‘লপটু পুয়াল ভারাট্টাম’, ‘পুয়াল ভারাইভিল ভারুম’—‘চলো, এখনই ঝড় আসবে’, ‘তাড়াতাড়ি! এখনই ঝড় আসবে’। আমি বলতে পারব না ঠিক কতক্ষণ বা কতটা রাস্তা আমি পেরিয়েছিলাম। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, এ পথ কি শেষ হবে না! পিছনে ঝড় দানবের মতো চিৎকার করছিল। মনে হচ্ছিল হাতের নাগালে পেলে এক্ষুনি আমার গলা টিপে ধরবে। কখন যে সে-পথ শেষ হল তাও আমি জানি না। যখন জানলাম দেখি আমি একটা পালঙ্কে শুয়ে আছি। দুধসাদা বিছানা। সবথেকে অবাক লাগল, আমি জামা-প্যান্ট পরে নেই। তামিলনাড়ুর পোশাক সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি পরে আছি।

“আমাকে উঠে বসতে দেখে একজন সুন্দরী মহিলা এগিয়ে এল। তাকে দেখতে একদম রামায়ণের সীতার মতো। কিন্তু তা কী করে হবে? তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম তামিল ভাষায়, ‘আন পেয়ার এনা’—তোমার নাম কী?’

“সে বলল, ‘এন পেয়ার সীতা—আমার নাম সীতা।’

“তারপর সে আমাকে খুব যত্ন করে ইডলি, সাম্বর, নারকেলের চাটনি খাওয়াল। খেতে খেতে আমার চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসছিল। আমি কোনোরকমে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘রাম-লক্ষ্মণ কোথায়?’ কিন্তু কী যে উত্তর দিয়েছিল ঠিক মনে নেই। আসলে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তবে সীতা মাঈ আমাকে একটা জিনিস দিয়েছিল। সকালবেলা দেখি সেটা আমার মুঠোর মধ্যে।”

আমরা সবাই এতক্ষণ দম বন্ধ করে শুনছিলাম। পার্থ প্রথম কথা বলল, “ছোটকা, সে জিনিসটা কী? দেখাও না।”

ছোটকা বলল, “নিশ্চয়।” তারপর পকেট থেকে অসম্ভব সুন্দর একটা হার বের করল।

দিদিয়া আর ওর বন্ধুরা ঝাঁপিয়ে পড়ল। ছোটকা একটু লজ্জা লজ্জা মুখ করে বলল, “সীতা মাঈ বলেছিল এটা আমার বৌকে দিতে। কিন্তু আমি তো বিয়েই করব না। তাই এটা আমি সিনথিকে দিলাম।”

দীপু বলল, “ছোটকা এসব কী হচ্ছে? গল্প তো এখনো শেষ হয়নি!”

ছোটকা বলল, “ঠিক, একদম ঠিক। অ্যাই, তোমরা সবাই চুপ করো। সকালবেলা সূর্যের আলো চোখে পড়তে আমার ঘুম ভাঙল।”

দিদিয়া বলল, “ছোটকা, সকালে ব্রেকফাস্টে কী খেলে? ধোসা?”

ছোটকা খুব বড়ো একটা শ্বাস ফেলে বলল, “তাহলে তো খুব মজাই হত রে সিনথি। জানিস তো, তোর মতো আমিও ধোসা খেতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু তা আর হল কই?”

কে যেন বলল, “কেন, হল না কেন?”

ছোটকা খুব হতাশ ভঙ্গিমায় বলল, “হল না। মানে আমি চোখ খুলে দেখলাম আমি একটা ভাঙা ঘরের মধ্যে বালির ওপরে শুয়ে আছি। সারা শরীর, জামা-প্যান্ট তখনো ভিজে।”

সবাই একসঙ্গে বলে উঠলাম, “মানে! সীতা মাঈয়ের বাড়ি কোথায় গেল?”

ছোটকা বলল, “আমিও তো তাই ভাবছি রে, বাড়িটা কোথায় গেল! সারাদিন ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রাসাদ তো দূরের কথা, একটা আস্ত বাড়িও দেখলাম না। আগেরদিনের দেখা সেই ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয় জেলেদের বলতে তারা আমাকে পাগল বলল। ভুল হয়েছে কী জানিস? ছবি তোলা হয়নি। আসলে ক্যামেরাটা তখন কাজ করছিল না। তবে আগের ছবিগুলো নষ্ট হয়নি। ওগুলো সব আছে, এটাই যা সান্ত্বনা।”

দিদিয়া বলল, “তাহলে এই হার? এটা কি তুমি কিনে এনেছ?”

ছোটকা বলল, “আরে দোকানে পাওয়া গেলে তবে তো কিনব! আমি পরদিন রামেশ্বরমে অনেক দোকানে এটা দেখিয়েছি। সবাই চমকে উঠেছে। বলেছে এত দামি জিনিস তাদের দোকানে নেই। আর এ-জিনিস তারা এই প্রথম দেখছে। আবার আমাকে সাবধান করে দিয়েছে, এটা যেন সবাইকে না দেখাই। তাহলে চুরি হয়ে যেতে পারে। সিনথি, তুইও খুব সাবধানে রাখবি।”

দিদিয়া বলল, “এমা, আমি ভাবলাম সোমবারে কলেজে পরে যাব। সবাইকে দেখাব।”

মা ঘরে ঢুকতে ঢুকতে কথাটা শুনে বলল, “এখনই পর সিনথি, আমরা দেখি।” তারপর মুখ টিপে হাসতে হাসতে চলে গেল। আর বলে গেল, “সবাই রাতের ডিনার করে যাবে। চিকেন বিরিয়ানি করেছি।”

সুমিত দীপুর কানে কানে বলল, “জানিস দৃপ্ত, আমি অনেকক্ষণ থেকে বিরিয়ানি রান্নার গন্ধ পাচ্ছিলাম।”

পার্থ ঠিক শুনে ফেলেছে কথাটা। বলল, “তা তো পাবেই। খেয়ে খেয়ে গণেশের মতো ভুঁড়ি বাগিয়েছ!”

সুমিত রেগে গিয়ে বলল, “আমি চললাম দৃপ্ত, আমি খাব না।”

দিদিয়া ওর হাত চেপে ধরে বলল, “খাবি না মানে? তুই আমার পাশে বসে খাবি।”

রমিদি বলল, “তুই আমার আর সিনথির মাঝখানে বসবি। দেখি কেমন না খাস।”

তারপর সবার কী হাসি!

কিন্তু দৃপ্তর মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটা অবশ্য সবার সামনে করা যাবে না। তাহলে দিদিয়া উলটোপালটা বলবে। তার থেকে কাল দুপুরে ছোটকা যখন একা থাকবে তখন জেনে নিলেই হবে। ধনুষ্কোটি যদি ভূতের শহর হয়, তাহলে ছোটকা কী করে ওখানে রাত কাটাল?

অলঙ্করণ-অংশুমান

জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s