মফস্সলের বাসিন্দা বিপিনবাবু পেশায় কেরানি আর নেশায় লেখক। মফস্সল হলেও তা একটু গ্রাম ঘেঁষাই। এই মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও সেখানে বাঁশঝাড়, গাছপালা, পুকুর, কচুরিপানা, দুর্গা মন্দির, হাট, মেঠো রাস্তা, ধেনো জমি—সবই আছে। মোট কথা, গ্রামে যা যা পাওয়া যায়, তার সবই এখানে আছে। বিপিনবাবুরও এই জায়গাটা বড়ো পছন্দের। তাঁর পেশাও এই মফস্সলে আর নেশার কাজও এখান থেকে হয়ে যায়। তবে পেশার থেকে নেশার টান তাঁর বেশি। নেশার টান অনেক মানুষেরই থাকে, কিন্তু বিপিনবাবুর তাঁর এই নেশার প্রতি টানটা একটু অন্যরকম। লিখে কিছু রোজগার তো তিনি করেনই, কিন্তু শুধু টাকা রোজগারের জন্যই তাঁর লেখার প্রতি টান নয়। এর পেছনে আবার অন্য একটি নেশা আছে। বিপিনবাবু লেখেন ভূতের গল্প। যদিও ভূত এবং ভগবান দুটোই তিনি বিশ্বাস করেন না। তাঁর পরিষ্কার কথা, ভগবানে বিশ্বাস করলে তাঁকে ভূতে বিশ্বাস করতে হবে, কারণ একজন থাকলে আরেকজনও অবশ্যই আছে। তাই তিনি একটিতেও বিশ্বাস করেন না। এহেন বিপিনবাবুর লেখা সব চরিত্রগুলো কিন্তু বাস্তবে কোনও না কোনও সময় ছিল, কিন্তু এখন আর তারা ইহজগতে নেই। বিপিনবাবু খুঁজে খুঁজে এইরকম লোকদের নামধাম এবং গুষ্টির খবর নিয়ে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখেন। তবে শর্ত দুটো—তাদের কারও বেঁচে থাকা চলবে না এবং তাদের মরার পেছনে একটা রহস্যময় কারণ থাকতে হবে। এইরকম খবর জোগাড় করার জন্য পুলিশের মতো বিপিনবাবুরও দু-তিনজন খবরী আছে। কিছু টাকার বিনিময়ে তারা বিপিনবাবুকে এইসব খবর সরবরাহ করে। বিপিনবাবুও সেই খবরের ওপর রঙের ওপর রঙ চাপিয়ে পাঠককে পরিবেশন করেন। তাঁর এই রঙ চড়ানোতে যে কেউ বা কারা কোনোদিন আপত্তি তুলতে পারে, তা কিন্তু তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি।
এইরকমভাবে বেশ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন একটা ঘটনা ঘটল। ছুটির দিন। শীতের সকাল। সকাল সকাল মর্নিং ওয়াক সেরে এসে বিপিনবাবু এক কাপ আদা দেওয়া গরম চা নিয়ে বসেছিলেন। কাঁচা মিঠে রোদ, একটা পুজো পুজো ভাব, বাড়ির সামনের গাছে শিউলি ফুল—এইসব দেখে সকালটা বেশ লাগছিল বিপিনবাবুর। বাড়ির ভেতর থেকে লুচি আর বেগুনভাজার গন্ধ আসছে। কাল তিনি নলেনগুড় কিনে এনেছেন বাজার থেকে। নলেনগুড় দিয়ে লুচি বিপিনবাবুর ভারি পছন্দের। আয়েশ করে সবে চায়ে চুমুক দিয়েছেন, এমন সময়, “ব্যোম ভোলে!”
হঠাৎ এই আওয়াজে খানিকটা চা চলকে বিপিনবাবুর চাদরে পড়ে গেল। হাতে ত্রিশূল, কপালে ত্রিপুণ্ড্র আঁকা জটাজুটধারী এক সাধু।—“ভগওয়ান তেরা হর ইচ্ছা পুরী করে বেটা।”
বিপিনবাবুর একবার মনে হল বলেন যে তিনি ভগবানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু কথা না তিনি হাত নেড়ে সাধুকে এগিয়ে যাওয়ার ইশারা করলেন। তিনি ঠিক বুঝেছেন যে, এইসব সাধুর বেশে এসে ভুলভাল কিছু কথা বলে ভয় দেখিয়ে কিছু আদায় করার চেষ্টা।
বিপিনবাবুর হাতনাড়া দেখে সাধু এবার বাংলায় বললেন, “সাধুকে ভাগানোর চেষ্টা করছিস?”
সাধুর মুখে ‘তুই’ সম্বোধন শুনে বিপিনবাবু গেলেন চটে।
“ওইসব সাধুসন্ন্যাসী, ভগবান, ভূতপ্রেত আমি কিচ্ছু মানি না।” প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললেন বিপিনবাবু।
“কিন্তু তুই তো ভূতেদের নিয়ে গল্প লিখিস। কী, তাই তো?” মিটিমিটি হেসে সাধু জিজ্ঞেস করলেন।
বিপিনবাবু কিছুক্ষণের জন্য একটু থতমত খেয়ে গেলেন। এই সাধু কী করে জানলেন যে তিনি ভূতের গল্প লেখেন? এই সাধুকে আগে এ তল্লাটে দেখেছেন বলে তিনি মনে করতে পারলেন না। এই তল্লাটের লোক হলে তবুও লেখক হিসেবে বিপিনবাবুর মোটামুটি একটা পরিচিতি আছে সবার কাছে। তাহলে কি আস্তে আস্তে বাইরেও তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ছে? কথাটা ভেবেই মনে মনে ভীষণ আনন্দ পেলেন বিপিনবাবু। কিন্তু মুখে তার ভাব প্রকাশ করলেন না।
“সে তো গল্প, তারা কোনোদিন সত্যি হবে না। ভূত বলে যখন কিছু নেই, তখন তাদের সত্যি হয়ে ওঠারও কোনও প্রশ্ন নেই। ও যারা মানে তারা ভিতু আর বোকা। সত্যিই যদি ভূত বলে কিছু থাকত, তাহলে এত গল্প লিখছি, একদিনও তারা বেঁচে উঠে আমার সঙ্গে দেখা করত না?”
“তাঁর ইচ্ছে হলেই হবে।” মুচকি হেসে সাধু আবার পা বাড়ান।
“যতসব। ভূত নাকি আবার বেঁচে উঠবে; যত বুজরুকি।” গজগজ করতে করতে বাড়ির ভেতর ঢুকে বউকে লুচি দিতে বললেন বিপিনবাবু। কিন্তু খেতে বসে ঠিক যেন স্বাদ পেলেন না।
সারাদিন নানা কাজে আর সাধুর কথা বিপিনবাবুর মনেও থাকল না। প্রত্যেকদিনের মতো সেদিনও বিপিনবাবু রাতের খাওয়া সেরে লিখতে বসলেন। বাড়ির সবাই শুয়ে পড়েন, আর বিপিনবাবু তাঁর যতক্ষণ ইচ্ছে হয়, লিখে যান। বিপিনবাবুর যে-কয়েকটি বই বেরিয়েছে সবই তাঁর লেখার টেবিলের সামনে তাকে রাখা। কী মনে করে তিনি লেখা শুরু না করে পুরোনো বইগুলো নামিয়ে টেবিলে রাখলেন। ওপরেই যে বইটা তাঁর নজরে এল, তার নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘হারু নাপিতের ভূতের ভয়’। হারু নামে সত্যিই এক নাপিত ছিল। হঠাৎ একদিন তাকে বিশাল বেলগাছের নীচে তার দোকানে মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে নাকি যে চেয়ারে লোককে বসিয়ে চুল-দাড়ি কাটত, সেই চেয়ারেই তাকে মরে পড়ে থাকতে দেখা গেছিল। বিপিনবাবুর খবরী তাঁকে এই খবরও দিয়েছিল যে হারুর নাকি মাথার একদিকের চুল আর গালের একদিকের দাড়িও কামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লোকে বলে এটা নাকি যারা হারুকে মেরেছিল, তারাই হারুর ওপর রাগে করেছিল। যাই হোক, বিপিনবাবু আর অত ভেবে দেখেননি যে, হারুকে যদি কেউ খুনই করে থাকে, তাহলে সে আবার অর্ধেক চুল-দাড়ি কেন কাটতে যাবে। বিপিনবাবু এইরকমই গল্পের প্লট করেছিলেন যে হারু নাপিতের হাতের কাজ ছিল চমৎকার। শুধু তার গ্রাম নয়, আশেপাশের গ্রামের মানুষও তার কাছে আসত চুল কাটাতে। হারুর হাতের কাজ দেখে সেই গ্রামের ভূতেদেরও শখ হয় তার কাছে চুল কাটাবার। তবে ভূতেদের চুল-দাড়ি হয় কি না এই নিয়ে বিপিনবাবুর প্রথমদিকে একটু কিন্তু কিন্তু ছিল। তারপর তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি যখন ভূতে বিশ্বাসই করেন না, তখন চুল-দাড়ি আছে কি নেই, সে ভাবারও দরকার নেই। যাই হোক, এরপর বিপিনবাবু এরকম লেখেন যে, একদিন ভূতেরা হারুকে দেখা দিয়ে তাদের ইচ্ছার কথা জানায়। কিন্তু ভয় পাওয়া তো দূরের কথা, হারু কিছুতেই ভূতেদের চুল কাটতে রাজি হয় না। না রাজি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভূতের হাতেই মারা পড়ে হারু। ওই এলাকার লোক বিপিনবাবুর এই গল্প পড়ে মোটামুটি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে হারুকে ভূতেই মেরেছে।
বইটার পাতা ওলটাতে ওলটাতে বিপিনবাবু এইসব ভাবছিলেন। হঠাৎ তাঁর মনে হল লেখাগুলো কেমন পিঁপড়ের মতো চলছে। চোখের ভুল মনে করে তিনি বইটা বন্ধ করে দিলেন। বইটা বন্ধ করেই তাঁর চোখে পড়ল, ঘরের কোণে কে একটা বসে আছে যেন। শুধু টেবিল-ল্যাম্প জ্বলছে বলে আবছা অন্ধকারে তিনি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারলেন না যে কে। এত রাতে বন্ধ ঘরে লোক আসবেই-বা কী করে? চোর নয় তো? বিপিনবাবু বুঝতে পারলেন, এই শীতের রাতেও তিনি অল্প অল্প ঘামতে শুরু করেছেন।
“কে?” সাহস করে বিপিনবাবু গলা থেকে আওয়াজ বের করলেন। কিন্তু তাঁর নিজের গলার আওয়াজ তাঁর নিজের কাছেই অচেনা লাগল।
“আমি… আমি হারু।”
“হারু? কে হারু?”
“আপনি তো আচ্ছা লোক মশাই! আমাকে নিয়ে গল্প লিখে আপনি বই করে ফেললেন, আর এখন আমাকেই চিনতে পারছেন না?”
“হারু? মানে নাপিত হারু? তুমি তো…” মুখের কথা মুখেই আটকে যায় বিপিনবাবুর।
“হ্যাঁ, আমি অনেকদিন আগেই মরে ভূত হয়ে গেছি। তবেই তো আপনি আমাকে নিয়ে ওইসব হাবিজাবি লিখছেন।”
হারুর ভূত এবার বিপিনবাবুর সামনে এসে বসে। বিপিনবাবু চেয়ারে নিশ্চল হয়ে বসে থাকেন। শুধু বলার চেষ্টা করেন, “হাবিজাবি? কই, আমি তো হাবিজাবি কিছু লিখিনি। আমায় নগেন বলল তুমি নাকি দোকানেই… কেউ নাকি জানে না কী করে তুমি…” বিপিনবাবু আর ‘মরে গেছ’ কথাটা উচ্চারণ করেন না।
“কী করে আবার? আমার কি ‘হাটের’ ব্যামো হতে পারে না? তাই হয়েছিল বলে আমার এখন মনে হয়। খদ্দের গেল, বুকে কেমন একটা হালকা চিনচিন করে ব্যথা হচ্ছিল, চেয়ারটায় এসে বসলুম। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন হুঁশ এল, তখন দেখলাম সবাই আমার শরীরটা ঘিরে দাঁড়িয়ে জটলা করছে আর আমার শরীরটা চেয়ারের ওপর পড়ে আছে।”
হারুর মরার কথা মনে করে হারুর ভূত নিজেই আবার চোখ মুছল। ভূতের চোখে জল এই প্রথম দেখলেন বিপিনবাবু। বলা ভালো, ভূতও তিনি এই প্রথম দেখলেন।
হারুর ভূতের সঙ্গে কথা বলে বিপিনবাবুর মনে একটু সাহস হল।—“তা বলছি যে, আমি তো তোমায় নিয়ে খারাপ কিছু লিখিনি।” আমতা আমতা করতে থাকেন বিপিনবাবু।—“তুমি তো জানো আমি কীরকম লিখেছি।” জিজ্ঞাসার দৃষ্টি নিয়ে হারুর দিকে তাকালেন বিপিনবাবু। আর মনে মনে চিন্তা করতে থাকলেন যে ভূত কি ভূতের গল্প পড়ে?
“আজ্ঞে, সে জানি বলেই তো। আমি পড়িনি। কিন্তু শুনেছি। আপনার ওই লেখার জন্যই তো সবাই ভাবে ভূত এসে আমায় মেরেছে।” একটু রাগত স্বরে বলে হারুর ভূত।
“আহা, তুমি রাগ করছ কেন? ওটা তো গল্প। সত্যি সত্যি তো তোমায় মারেনি। তাহলে আর অসুবিধে কোথায়?”
হারুর ভূত এবার কটমটিয়ে তাকায় বিপিনবাবুর দিকে।—“তাইলে আপনি ওইসব লিখতে গেলেন কেন? জানেন এই জন্য এখনও আমায় ভূতেদের কেলাবে জায়গা দেয়নি!” শেষের লাইনে ভূতের গলায় আফসোসের সুর।
“কেলাবে? ও, মানে ক্লাবে? তা কেন জায়গা দিল না?” বোকার মতো জিজ্ঞেস করেন বিপিনবাবু।
“কেন দেবে?” ঝাঁজিয়ে ওঠে হারুর ভূত।—“আপনি যার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন, তাদের নামে যদি আপনার জন্যই দুর্নাম রটে, তাহলে হবে তারা আপনার বন্ধু?”
“তা বটে, তা বটে।” থতমত খেয়ে যান বিপিনবাবু।—“তবে কী জানো হারু, আমি তো জানতাম না যে এই লেখার জন্য ওরা তোমাকে ক্লাবে ঢুকতে দেবে না, তাই আর কি ওরকম লিখে ফেলেছি।” হাত কচলাতে কচলাতে বলতে থাকেন বিপিনবাবু।
“ভূত বলে কি আমাদের মান-ইজ্জত নাই?” হারুর ভূত হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
“আরে না না না, রাম রাম।” বলেই জিভ কাটেন বিপিনবাবু। তিনি রামনাম করে ফেলেছেন ভূতের সামনে। কিন্তু হারুর ভূত দিব্যি গ্যাঁট হয়ে বসে আছে। কোনও হেলদোল নেই।
বিপিনবাবুকে চুপ করে যেতে দেখে হারু মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।—“রামনাম করলেই কি আমি চলে যাব নাকি? জানেন না ভোলেবাবার আমরা সব সঙ্গী? আপনার ওই লেখার মতো এইগুলোও সব হাবিজাবি কথা।” মুখ বেঁকিয়ে বলে হারুর ভূত।
বিপিনবাবুর লেখাকে বার বার হারুর ভূত হাবিজাবি বলায় তিনি একটু রেগে যান, কিন্তু তাকে কিছু বলতে সাহস হয় না তাঁর। কিন্তু কীভাবে হারুর ভূতকে ভাগাবেন সেটাও ভেবে পান না।
হারুর ভূতই শেষ পর্যন্ত বলে, “ওইটে আপনারে ঠিক করতে হবে। ওই আমারে ভূতে মেরেছে বলা যাবে না।” মাথা নাড়ে হারু।
“সে কি! লেখা প্রকাশ হয়ে যাওয়া গল্প আমি আর কী করে বদলাব?”
“সে আমি জানি না। বানিয়ে বানিয়ে হাবিজাবি লেখার সময় মনে ছিল না?”
হারুর ভূতের মুখে আবার হাবিজাবি লেখা শুনে এবার রেগে যান বিপিনবাবু।—“দেখো হারু, তুমি কিন্তু ভূত বলে যা ইচ্ছে তাই আমার লেখা নিয়ে বলতে পারো না।”
“ভারি তো ওঁর লেখা! লেখা তো আমার, লেখা তো আমাকে নিয়ে। আমি মরে ভূত না হলে পারতেন আপনি আমাকে নিয়ে হাবিজাবি লিখতে?”
এবার হাল ছেড়ে দেন বিপিনবাবু। ভূতের এহেন বারংবার অপমান ওঁর আর সহ্য হচ্ছিল না। কিন্তু হারুকে বোঝানোর চেষ্টা বৃথা, তা তিনি বুঝতে পারেন।
এর মধ্যে হঠাৎ পুবের আকাশ ফর্সা হতে শুরু করে আর হারুর ভূত ‘আমি কাল আসব’ বলে হঠাৎ করে হালকা আবছা হতে হতে মিলিয়ে যায়।
পাখির ডাক কানে আসতে থাকে বিপিনবাবুর। হারুকে নিয়ে লেখা বইয়ের ওপর তিনি মাথা রেখে শুয়ে ছিলেন সারারাত। জেগে ছিলেন, না ঘুমিয়ে ছিলেন সেই নিয়ে বিপিনবাবুর মনে এখনও সন্দেহ আছে। হারুর ভূত ভূতেদের ক্লাবে জায়গা পেয়েছে কি না তা জানা বিপিনবাবুর পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও তারপর হারুর ভূত আর কোনোদিন আসেনি, তবে এরপর থেকে বিপিনবাবু ভূতেদের নিয়ে গল্প লেখা ছেড়ে দিয়েছেন। ভূতের ভয়ের থেকেও বিপিনবাবুর এখন ভয় যে যদি আবার কোনোদিন হারুর ভূত এসে বায়না করে তাকে নিয়ে লেখা গল্পটা বদলানোর জন্য, তাহলে তিনি কী করবেন।
খুব সুন্দর গল্পটা
LikeLike