গল্প-উড়ান -সরিতা আহমেদ-বসন্ত ২০২২

golpouraan

শিব মন্দিরের বাঁদিকের গলিতে ঢুকে বুড়ো বটের নীচে বসে নুর আলম হাঁপাতে লাগল। বসন্ত বিদায় নিয়েছে বেশ ক’দিন হল। গ্রীষ্মের আঁচ দিব্য টের পাওয়া যাচ্ছে বাতাসের হলকায়। আজ অনেকদিন বাদে অনেকক্ষণ দৌড়াতে হয়েছে তাকে। বটের নীচের বেদিটায় বসে বেশ কিছুক্ষণ দম নিয়ে খানিক আরাম পেল নুর। সামনেই টলটলে এক পীরপুকুর। গাঁয়ের এদিকটা বেশ নিরিবিলি। ও-পাশের মাজারটায় খুব বেশি ভিড় হয় না, তবু মেলা-টেলা হলে পুকুরটা নোংরা হয়ে যায়। সেই গেলবার মেলা ভেঙে যাওয়ার পরে একদিন নুর আপনমনে কোমর-ডোবা জলে দাঁড়িয়ে প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাপড়, ঠোঙা, আর কী কী সব নোংরা তুলে ডাঁই করছিল কচুবনের ধারে, তখনও সূর্য ডোবেনি পুরোপুরি—কোত্থেকে ছেলের দল এসে সুর করে ‘নুর পাগলা নাইতে নেমেছে’ বলে তার দিকে খামোকা ঢিল ছুড়তে লাগল। প্রথমটায় হকচকিয়ে গেলেও পরে মাথাটা টং করে গরম হয়ে গেছিল নুরেরও। সেও পালটা জল থেকে যা হাতে উঠে এল ছুড়ে দিল ছেলেদের দিকে। একটা সময় পরে ছেলেরা ক্ষান্ত দিলেও ‘নুর পাগলা’ নামটা কীভাবে যেন তার গায়ে পাকাপাকিভাবে সেঁটে গেল।

ঝিরঝিরে বাতাস তার ঘেমো গায়ে ঝাপটা মারছে। কিছুক্ষণ পরে লাল গামছাটাকে মাথার তলায় পুঁটুলি করে নুর শুয়ে পড়ল বটের ছায়ায়। পাশ ফিরতে টের পেল কনুইয়ের কাছটায় বেশ জ্বালা করছে। অনেকটা ছাল উঠে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে সেখান থেকে। দৌড়ানোর চোটে এতক্ষণ সে খেয়ালই করেনি। জিভ থেকে খানিকটা থুতু আঙুলে নিয়ে ক্ষতটায় বুলিয়ে দিল সে। কবে কে এসব টোটকা শিখিয়েছিল তাকে, সে-সব নুরের মনে পড়ে না। কিন্তু সে জানে কুকুর-বিড়ালের মতোই মানুষের লালাতেও জাদু আছে। চোট-ফোট লাগলে ও-জিনিস লাগিয়ে নিলে আপনিই সেরে যায়।

আরেকবার এদিক ওদিক তাকায় সে, ছেলের দলকে আর দেখা যাচ্ছে না। এমন তাড়া তো নতুন কিছু না, তবু বুকের ভেতরটা যেন একটু বেশিই মোচড় দিচ্ছে তার। বিশেষত গাঁয়ের মাথায় নীল রঙের বাড়িটার দিকে তাকালেই ক্ষতস্থানের জ্বলুনির সঙ্গে বুকের মোচড় যেন বেড়ে যাচ্ছে নুর পাগলার। পঞ্চুর কথা মনে করেই কি!

গত কার্তিক পুজোয় নুর তার সদ্য কেনা পাখির খাঁচার দরজা খুলে ‘হুউশ-হুউশ! উড় যা হুশ!’ বলে বদ্রিকাগুলোকে উড়িয়ে দিচ্ছিল, ঠিক সেইসময় পঞ্চুর সঙ্গে পরিচয়।

“তুমি কি পাখি ওড়াও আঙ্কেল?” কচি গলাটা শুনে একেবারে চমকে গিয়েছিল সে। সেই বিকেলে ছেলেবুড়ো সব্বার যখন ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত থাকার কথা তখন এমন করে তাকে কে ডাকে! এমনিতে মানুষের ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলতেই ভালোবাসে নুর আলম। সভ্য মানুষেরা যেমন তার ছায়া এড়িয়ে চলতে ভালোবাসে, তেমনি। সে বরাবরই পাগলা, খ্যাপা, তারকাটা, মাথায় ছিট বলে পরিচিত আশেপাশের সব গাঁয়েই। তার ঠিকানা বলতে না পারা ভুলো মন, যত্রতত্র ভিক্ষা করা, এমনকি এক অন্ধ ভিখিরির কাছেও টাকা চাওয়া, পুকুরের জলে ছায়া দেখে বিড়বিড় করা, সঞ্চয়ের সামান্য তাগিদ নেই, উলটে ভিক্ষার টাকাকড়ি দিয়ে পাখির খাঁচা কিনে জলের ধারে খাঁচা খুলে ‘হুউশ হুশ’ করে উড়িয়ে দেওয়া, রাস্তার কুকুর-ছাগল-বিড়ালের সঙ্গে এক পঙক্তিতে মধ্যাহ্নভোজ ও ছেলেদের উপদ্রবে তাড়া খাওয়া, এমন অভ্যেস সভ্যদের অভিধানে সুস্থ মাথার পরিচয় দেয় না।

আচমকা এমন নিরালা জায়গায় উটকো স্বর তাকে বেশ বিব্রতই করেছিল। খামোকা আবার কী উপদ্রব এল ভেবে ঝটিতি একবার পেছনে, একবার বাঁদিকে, আর একবার ডানদিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করেও যখন কাউকে দেখা গেল না তখন সে পালাতেই যাচ্ছিল। এমন সময় আবারও ‘ও পাখি আঙ্কেল!’ বেশ জোরেই ডাকটা ভেসে এল। এবার ওপরের দিকে তাকিয়ে নুর দেখল সামনের বাড়ির দোতলার জানালা দিয়ে একটা খুদে মুখ। নুর আলম থতমত খেয়ে পালাবার তাল করছে, সেই সময় বেশ জোরে ধমকটা এল, “আহ্‌, দাঁড়াও! ভয় পাচ্ছ নাকি! কখন থেকে ডাকছি।”

একবার চারদিকে ভালো করে পরখ করে নুর আলম সোজা হয়ে কোমরে দু-হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে খ্যাসখ্যাসে গলায় গোল গোল চোখ শুধাল, “তুমি কে? খামোকা আমাকে ডাকো কেন? কী চাই?”

“আমার নাম পাঞ্চজন্য মিত্র। ডাকনাম পঞ্চু। এটা আমার মামাবাড়ি। কিচ্ছু চাই না তো। তুমি কী সুন্দর হুউশ করে উড়িয়ে দিচ্ছিলে ওদের। বেশ লাগছিল, তাই তো ডাকছিলাম। আচ্ছা, পাখিগুলোর নাম কী? তুমি কি রোজ এখানে আসো? কই, আগে দেখিনি তো!”

একসঙ্গে এতগুলো প্রশ্ন! তার মতো খ্যাপার কাছে মানুষের বাচ্চার এত জিজ্ঞাসা থাকতে পারে! নুর সোজা জানালার তলায় এসে মুখ উঁচিয়ে কথা বলল পঞ্চুর সঙ্গে। সে অনেক কথা। পাখির নাম, নুর কীভাবে চেয়েচিন্তে টাকা জমায় আর পাখি কেনে, তারপর কেন ওদের উড়িয়ে দেয়, শুধু পাখি নয়, পুকুরের নোংরা, মাজারের ধুলো অবধি কীভাবে সে পরিষ্কার করে—সবটুকু। এমনকি ছেলেরা ওকে এজন্য ‘নুর পাগলা’ বলে সেটা পর্যন্ত জানাতে ভুলল না।

কী আশ্চর্য! ছেলেটা বাকিদের মতো তাকে তাড়িয়ে দিল না, বরং খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করল প্রতিটা কাজের বিবরণ।

একসময় অস্থির হয়ে নুর আলম বলেই ফেলল, “এত কথা বলতে পারব না। ঘাড়ে ব্যথা করবে। নীচে নেমে এসে নিজেই দেখে নিও বাপু।”

“ওহ্‌, তোমার কষ্ট হচ্ছে বুঝি! কিন্তু আমি যে নামতে পারব না। আমি তো চলতেই পারি না, সারাদিন এই জানালার ধারে হুইল চেয়ারে বসে থাকি। এখন বাড়িতে সবাই ঘুমাচ্ছে, আমার ঘুমাতে ইচ্ছে করছে না। তোমাকে দেখে কথা বলতে ইচ্ছে হল তাই ডাকলাম।”

ছেলেটা বলে কী! চলতে পারে না! নুরের বুকের ভেতরটা ভিজে গেল হঠাৎ। নাক টেনে সে বলল, “আচ্ছা, তাহলে আমিই বরং এসে কথা বলে যাব’খন। এখন যাই। কেউ দেখে ফেললে ঢেলা মারবে।”

“সে কি! মারবে? কেন মারবে গো? কী করেছ তুমি?”

“আহ্‌! সে-সব তুমি বুঝবে না। আচ্ছা, এখন আমি পালাই। কাল আসব।”

কোনোমতে পালিয়ে বেঁচেছিল নুর। সেই রাত্রে নেড়ু আর মোতিয়ার ছানাদের সঙ্গে বিস্কুট ভাগ করে খেতে খেতে জমিয়ে গল্প করেছিল সে। এমনকি মোতিয়াটা যখন তিনটে বিস্কুট খেয়েও কুঁইকুঁই করে লেজ নেড়ে সামনে এসেছিল সে কোনও আপত্তি না করে আরও দুটো ছুড়ে দিয়েছিল। নিজেকে সেই প্রথমবার ‘সাহেব সাহেব’ লাগছিল তার। দালানবাড়ির এক নবাবপুত্তুর তাকে ‘আঙ্কেল’ বলে ডেকেছে, এ কি কম কথা!

তারপর মাত্র পাঁচ-ছয়দিন পঞ্চুর সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। এক রবিবারে মুনিয়ার খাঁচা নিয়ে সেই জানালার নীচে দাঁড়িয়ে দেখে সেটি বন্ধ। দরজার সামনে গিয়ে দেখে সেখান মস্ত এক তালা। নুর বুঝেছিল, তার একমাত্র বন্ধুটি চলে গেছে। আপনমনে মুনিয়ার খাঁচা খুলে সুর করে ‘হুউশ…’ গাইতে গিয়ে টের পেয়েছিল স্বরটা কেঁপে যাচ্ছে।

***

জলের মধ্যে গনগনে সূর্যের আলো চোখে ধাঁধা লাগায় জানালার পর্দার থেকে দৃষ্টি নামিয়ে পুকুরের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে থাকতে নুরের বেশ তেষ্টা পেল। নোংরা শার্টটাকে কেচে ছোটো ঝোপের ওপর মেলে জলে নামতেই প্রাণটা জুড়িয়ে গেল নুরের। মন খুলে অনেকক্ষণ ধরে সাঁতার কাটল। তারপর পেট ভরে জল খেয়ে পাড়ে উঠে বসল। উষ্ণ বাতাসও এখন ভেজা গায়ে আরাম দিচ্ছে। শার্টটা ইতিমধ্যেই শুকিয়ে এসেছে। হঠাৎ কী মনে হতে সে তাড়াতাড়ি শার্টের বুক-পকেটে হাত ভরল। জিনিসটা কী আস্ত আছে! ভাবতে ভাবতেই আঙুলে স্পর্শ পেল তার আকাঙ্ক্ষিত ধনের—একটা  ধূসর পালক।

পঞ্চু থাকাকালীন এক ঝোড়ো সন্ধেবেলা আহত বুলবুলিকে কুড়িয়ে পায় নুর। একগাদা ইলেকট্রিক তারের জালের নীচে পড়ে সেটা ছটফট করছিল। তখন ঝড়বৃষ্টি থেমে গেছে। কোনোমতে ছোট্ট প্রাণটাকে মুঠো-বন্দি করে বের করে আনতেই তার বুকের মৃদু ধুকপুক টের পেয়ছিল নুর। তালুর ওপর পাখিটা কেমন নেতিয়ে পড়েছিল। ওড়ার ক্ষমতা নেই এমন কোনোদিন সে পাখি ধরেনি। কিছু না ভেবে সে দ্রুত গিয়েছিল পঞ্চুর সেই জানালার নীচে। তার হাঁকডাকে আর পঞ্চুর বায়নায় ওর মামি দরজা খুলে দিতেই ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকে পড়েছিল পাগলাটা। খুব ধৈর্য নিয়ে পঞ্চু একটু একটু করে সারিয়ে তুলছিল পাখিটাকে। একটা ভাঙা মোড়ার নীচে জুটেছিল আশ্রয়। কাগজের ওপর মুড়ি, চালের খুদ, বিস্কুটের গুঁড়ো—যা পেত নুর নিয়ে আসত। দুই পাগলের কাণ্ড দেখে পঞ্চুর মামা খুব হেসেছিল। “ও মাল বেশি দিন বাঁচবে না। ডানা ভেঙে গেলে কি আর পাখি বাঁচে!”

মামার কথা শুনে পঞ্চুর সে কী কান্না!

পাখিটা কিন্তু দিব্যি বেঁচে গিয়েছিল। ভাঙা ডানাটা একদিকে ঝুলে থাকায় উড়তে পারত না ঠিকই, তবে জোড়া পায়ে টুপটুপ করে লাফাত। মোড়াটুকুই ছিল ওর গণ্ডি। জালির ফুটো দিয়ে পাখিটার নড়াচড়া দেখেই পঞ্চু আনন্দে আটখানা!

“আজ থেকে ওর নাম টুসু।”

নুর আলমের ভাঙা দাঁতের ফাঁকেও খিলখিল করছিল অন্যরকমের খুশি। এই প্রথম তার মতো একজন ‘পাগলা’ গাঁয়ের একমাত্র দালানবাড়িতে ঢুকতে পেরেছে। শান বাঁধানো মেঝেয় বসে গল্প করতে পেরেছে। এ কি কম কথা!

সেই থেকে টুসু সিঁড়ি-ঘরের ভাঙা মোড়াতেই থেকে গিয়েছিল।

কলকাতা ফিরে যাওয়ার আগে পঞ্চু নুরকে দায়িত্ব দিয়েছিল টুসুর খেয়াল রাখার। খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারত ছেলেটা। “তুমি-আমি ছাড়া ওর তো বন্ধু নেই কোনও। আমি যেখানেই থাকি ও যেন জানে ওর জন্য এক বন্ধু অপেক্ষা করছে। সামনের মাসে আবার যখন আসব, তখন আমি একে খাঁচায় করে কলকাতা নিয়ে যাব। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে, ওর ডানা ঠিক করে একদিন আমাদের ছাদ থেকে একে হুউশ করে উড়িয়ে দেব, ঠিক তোমার মতন। জয়নগরের বুলবুলি কলকাতার আকাশে উড়বে, কেমন মজা হবে, তাই না!”

নুর কিছু না ভেবেই হাততালি দিয়ে বলে উঠেছিল, “খুব মজা হবে। খুউব।”

পঞ্চু জানত না ছোটোদের আর পাগলদের কথা বড়োরা মনে রাখে না। নুর পাগলা তারপর থেকে ও-বাড়িতে ঢুকতে পারেনি কোনোদিন। কিন্তু বন্ধুকে দেওয়া কথা রাখতেই মাঝে মাঝে ওই নির্দিষ্ট জানালার নীচে ঘোরাঘুরি করত সে।

আজও গিয়েছিল। তখনই দেখেছিল, ভাঙা মোড়াটা উলটে আছে রাস্তার ধারে। দৌড়ে সেটার কাছে যেতেই বুকের ভেতরটা ভয়ে ঢিপঢিপ করে উঠেছিল নুরের। টুসু নেই কোত্থাও! এদিক ওদিক তাকিয়ে খোঁজ করতেই চোখে পড়েছিল তিনটে ধূসর পালক আর ছিবড়ে হয়ে যাওয়া একটা ছোট্ট মণ্ড। কীভাবে কে করল এ কাজ, ভাবার মতো অবস্থা ছিল না তার। চোখ দুটো ঘন ঘন ঝাপসা হচ্ছিল, আর মাথায় ঘুরছিল দুটো শব্দ—পঞ্চু ও বন্ধু ! কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে একটা পালক তুলে পকেটে ভরে নিয়েছিল। তারপর টুসুর দেহাংশকে মুঠোয় নিয়ে হাঁটা দিয়েছিল মাজারের পেছন দিকে।

“এক জা’গায় বাস আরেক জা’গায় নাশ—তা কি হয় পঞ্চু! ও এখানকারই। এখানেই থাকুক।” গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে বিড়বিড় থামছিল না তার।

ঠিক সেই সময়ই একটা ইটের টুকরো কোত্থেকে ছিটকে লেগেছিল তার কনুইয়ে। প্রচণ্ড ব্যথায় কঁকিয়ে উঠতেই ছেলের দল হো হো করে চেঁচিয়ে উঠেছিল, “কী রে পাগলা! গুপ্তধন পুঁতছিস নাকি রে!”

বেলা অনেকটা পড়ে এসেছে। পুকুরপাড়ে বসে থাকতে থাকতে এখন নুরের হঠাৎ খেয়াল হল, আচ্ছা, টুসু বেঁচে নেই, খবরটা জানলে পঞ্চু কি আর কোনোদিন জয়নগরে ফিরবে? ভাবনাটাকে ঢেকে দিয়ে পরক্ষণেই খেয়াল হল, ‘যাহ্‌, টুসু কি তার একমাত্তর বন্ধু নাকি!’

তারপর ডুবন্ত সূর্যের দিকে বড়ো বড়ো চোখ মেলে তাকিয়ে কে জানে কার উদ্দেশে সে বলল, “পঞ্চুকে বলো ও যেখানেই থাকুক ও যেন ভুলে না যায় জয়নগরে ওর একটা বন্ধু এখনও আছে।”

টের পেল জলের ওপর নিস্তেজ আলোর মতোই তার স্বরটাও তিরতির করে কাঁপছে।

ছবি- মৌসুমী

জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি এই লিংকে

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s