অরূপ দাসের আগের গল্প- পথের পথিক, নিয়তি, মিন্টু যখন গোয়েন্দা, প্রফেসর মানবেশের ফর্মুলা
ঘুম আসছে না দেবুর। এদিক সেদিক চেয়ে চেয়ে কত কী ভাবছে! কিছুই ভালো লাগছে না। মায়ের অসুখ। দেবু পাশ ফিরে মায়ের কপালে আলতো করে হাত রাখে। এখন আর মায়ের জ্বর নেই। মা বেহুঁশের মতো ঘুমোচ্ছে। এই সময় বাবা কাছে থাকলে কত ভালো হত। বাবার কথা দেবুর খুব মনে পড়ছে। বাবা গত হয়েছে দু-বছর হতে যায়।
দেবু উঠে বসল। সে দেখল সবাই যে-যার স্থানে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। কুকুর কালুও কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে। প্রথমে দেবু ভাবল কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকবে। কিন্তু পুলিশের গাড়ি টহল দিতে দেখে সে ভয়ে ঝটপট চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল। কয়েক সেকেন্ড যেতেই সামান্য চাদর তুলে রাস্তার দিকে সে চেয়ে দেখল। কাউকেই দেখা গেল না। তবে কিছু একটা ঘটেছে। ওই আবার পুলিশের গাড়ি টহল দিল।
এরপর প্রায় মিনিট দশেক ধরে দেবু রাস্তার দিকে চেয়ে রইল। আর কোনও পুলিশের গাড়ি এ-মুখো হল না। দেবু উঠে বসল। তার কপালে চিন্তার ভাঁজ। কোনও ঝামেলার রেশ যদি তাদের এই রাস্তায় এসে পড়ে, তখন মাকে নিয়ে সে কেমন করে পালাবে! মা এতটাই দুর্বল যে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছে না। যদিও ব্যাকুল হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। এমন কোনও সঙ্কটময় পরিস্থিতি প্রকট হলে পাশে শুয়ে থাকা বন্ধুদের মায়েরা ঠিক তার মাকে ধরাধরি করে অন্য কোথাও নিয়ে যাবে। বন্ধুদের মায়েরাই তো এই কয়েকদিন ধরে মাকে দেখভাল করছে। রান্না করে দিচ্ছে।
ওদিকে জামরুল গাছের সামনে গিয়ে কালু ঘেউ ঘেউ চিৎকার করতে লাগল। কালু কখন ঘুম থেকে উঠেছে তা দেবু জানে না। এই রে, কালুর চিৎকারে মায়ের না আবার ঘুম ভেঙে যায়!
দেবু একটা লাঠি নিয়ে জামরুল গাছের দিকে ছুটে গেল। লাঠি নিয়ে দেবুকে ছুটে আসতে দেখে কালু পালিয়ে গেল। একটা জিনিস দেবু খেয়াল করেছে, কালু জামরুল গাছের ডালপালার দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ করছিল। নিশ্চয়ই কালু কিছু একটা দেখেছে। এই কথা মাথায় আসামাত্র দেবু জামরুল গাছের দিকে তাকাল। তাকাতেই সে আঁতকে উঠল। গাছের ডালে গুটিশুটি মেরে একটা লোক বসে আছে। লোকটার মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা। শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে।
মুহূর্তের মধ্যে লোকটা গাছ থেকে নীচে নেমে এল। এরপর দেবুর মুখ চেপে ধরে লোকটা বলল, “দোহাই, চিৎকার করবে না।” এই বলে দেবুর মুখ থেকে লোকটা হাত সরিয়ে নিল।
ভয় পেয়ে যেন দেবু কাঠ হয়ে গেছে। ঢোঁক গিলে নিম্ন স্বরে দেবু বলল, “তুমি কে? আমার কোনও ক্ষতি করবে না তো?”
দেবুর সহজ সরল কথা শুনে লোকটা খিকখিক করে হাসল। লোকটা বলল, “ভিতুর ডিম একটা। তোমার ক্ষতি করতে চাইলে গাছে বসেই তা করে ফেলতাম।”
“না মানে…”
“ছাড়ো এসব কথা। এত রাতে জেগে আছ যে?”
“ঘুম আসছে না। মায়ের অসুখ হয়েছে কিনা।”
“কী হয়েছে তোমার মায়ের?”
“জ্বর হয়েছে। মা তিনদিন ধরে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেনি। এখন জ্বরটা কমেছে বলে মা বেহুঁশের মতো ঘুমিয়ে আছে। ঘুম ভেঙে গেলে মায়ের যদি কিছু দরকার পড়ে, তাই জেগে আছি।”
“বাহ্, শুনে খুব ভালো লাগল।”
দূরে একটা আলো দেখা যাচ্ছে। মানিককাকুর সাইকেলের লাইটের আলো। প্রতিদিন এই সময় মানিককাকু স্টেশন থেকে খবর কাগজ আনতে যায়। মানিককাকু লোকেদের বাড়ি বাড়ি খবর কাগজ দেয়। লাইটের আলো দেখতে পেয়ে লোকটার উদ্দেশে দেবু বলে ওঠে, “মানিককাকু আসছে। তুমি ওই চায়ের দোকানের আড়ালে লুকিয়ে পড়ো।”
লোকটা চায়ের দোকানের আড়ালে গিয়ে গা-ঢাকা দিল। এদিকে মানিককাকু কাছে এসে বলে উঠল, “কী রে দেবু, এত রাতে তুই দাঁড়িয়ে আছিস?”
দেবু উত্তর দিল, “ও কিছু না। বাথরুম করতে উঠেছিলাম।”
মানিককাকু বলে, “আচ্ছা। এখন চলি বুঝলি। বেলায় কথা হবে।” এই বলে মানিককাকু সাইকেল চালিয়ে চলে গেল।
আড়াল থেকে লোকটা বেরিয়ে এসে বলল, “আমাকে তোমার ভয় করছে না তো?”
দেবু অম্লান হেসে বলল, “একদম নয়। এখন কেন যেন মনে হচ্ছে তুমি আমার খুব কাছের।”
“গাছের ডালে বসে তখন থেকে দেখছিলাম শুয়ে শুয়ে কিছু একটা ভাবছিলে। কী ভাবছিলে?”
“অনেক কিছুই তো ভাবছিলাম। যেমন, আমাদের যদি একটা ঘর থাকত, কত ভালো হত। ওই যে উঁচু উঁচু বিল্ডিংগুলো দেখা যাচ্ছে, ওখানে নাকি অনেকে ঘর কিনে ফেলে রেখেছে। আমি মাঝে মাঝে সেদিকে চেয়ে ভাবি কেউ হয়তো একদিন এসে বলবে, আজ থেকে বিল্ডিংয়ের খালি পড়ে থাকা ঘরগুলো তোমাদের দিয়ে দিলাম! এমন হলে ভারি মজা হত। ফুটপাতে সবসময় বসতে পারি না। শুতে পারি না। রাতে দোকানগুলোর বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়। বর্ষাকালে রাতে ফুটপাতে শোওয়া যায় না। বৃষ্টি পড়লে গোটা রাত দোকানগুলোর ছাউনির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শীতকালে তাও প্লাস্টিক বা মোটা কাঁথা জড়িয়ে ফুটপাতে শুতে পারি। সবচেয়ে গ্রীষ্মকাল আমার খুব প্রিয়।”
“আর কী ভাবছিলে?”
“ভাবছিলাম, যদি আমি ইশকুলে যেতে পারতাম! সবাইকে ইশকুল যেতে দেখে আমার বুকের মধ্যে চিনচিনিয়ে ব্যথা করে। যেন মনে হয় ছুটে গিয় তাদের কাঁধ থেকে ইশকুল ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়ে আমি ইশকুল যাই।”
“হুম, বুঝলাম।”
“আচ্ছা, তোমায় একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে খুব ইচ্ছে করছে।”
“কী?”
“দেখলাম পুলিশ টহল দিচ্ছে। নিশ্চয়ই তোমাকে খুঁজছে! তোমাকে পুলিশ খুঁজছে কেন?”
“আমাকে দলের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই এই প্রশ্নের উত্তর এখন আমি দিতে পারব না।” এই বলে লোকটা কোমরের বেল্টের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যাগ থেকে কাগজ আর কলম বের করে কিছু একটা লিখে কাগজটা ভালো করে ভাঁজ করল। এরপর ভাঁজ করা কাগজটা দেবুর হাতে ধরিয়ে লোকটা আবারও বলল, “আমি কে তার উত্তর এই কাগজে রয়েছে। এখন কাগজটা খুলবে না। যত্ন করে রেখে দাও। এবার যে আমায় যেতে হবে। সূর্য উদয় হওয়ার সময় হয়েছে। আলো ছড়িয়ে পড়বে কিছুক্ষণ পরেই, তার আগে বহুদূর যেতে হবে আমাদের। আর হ্যাঁ, তুমি কিন্তু এখন শুয়ে পড়বে কেমন? নইলে তোমাকে কেউ দাঁড়াতে দেখলে সন্দেহ করবে।”
লোকটা বাঁহাতে পরে থাকা ঘড়ির বোতাম টিপতেই ঘড়ির স্ক্রিনে হলুদ লাইট জ্বলে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনা-আপনি হলুদ লাইট নিভে গেল।
দেবু কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই একটা বাইক প্রচণ্ড গতিতে ছুটে এসে দেবুদের সামনে দাঁড়াল। বাইক আরোহী এবার লোকটার দিকে হেলমেট বাড়িয়ে দিল। লোকটা হেলমেট পরে বাইকের পেছনে বসল। বাইক ছুটিয়ে তারা প্রচণ্ড গতিতে চলে গেল।
দেবু কাগজটা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখল। সে ভাবছে, লোকটা নির্ঘাত চোর। তা না হলে পুলিশ পেছনে পড়তে যাবে কেন?
২
গুঞ্জন ভেসে আসছে কানে। প্রথমে ঘুম হালকা হল। এরপর ঘুম ভেঙে গেল দেবুর। চোখ খুলে দেবু দেখে সব ফুটপাতিরা এক জায়গায় ভিড় করে দাঁড়িয়ে। মায়ের কথা দেবুর মনে পড়ল। পাশ ফিরতেই সে দেখল, মা পাশে নেই। সে শিউরে উঠল। এমন সময় দূর থেকে মায়ের কণ্ঠস্বর ভেসে এল, “কী হয়েছে বাবা? আমি এখানে।”
মা দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে। মাকে দেখে যেন দেবুর প্রাণে জল এল। আজ দেবুর ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। চোখ ডলতে ডলতে সে উঠে বসল। তাকে উঠে বসতে দেখে বন্ধুরা ছুটে এল। সবার আগে খবরটা দিতে হবে এমন একটা তাড়না নিয়ে রাকেশ বলে ওঠে, “আমাদের ঘর হবে।”
বিশু প্রথমে বলতে না পারলেও হাল ছাড়ল না। সেও আরেকটা নতুন খরব শোনাল, “আমরা ইশকুল যাব।”
ভেবেচিন্তে দেবু কিছু একটা বলতে যাবে, কিন্তু কাকে বলবে! সব বন্ধুরা যে ভিড়ের দিকে ছুটল। দেবু আর কুমড়োপটাশের মতো বসে থাকল না। একরাশ কৌতূহল নিয়ে সেও ভিড়ের দিকে হাঁটা ধরেছে। সে ভিড়ের সামনে গিয়ে দেখল, দারোগাবাবু ডায়েরিতে কিছু একটা লিখছেন। আর পাশে চার্চের ফাদার বসে আছেন। লেখা শেষ হলে ডায়েরি বন্ধ করে দারোগাবাবু বলে উঠলেন, “আপনারা ঠিক শুনেছেন। এই ফুটপাতটাতে যে-সমস্ত পরিবার রয়েছে, তাদের একটা করে ঘর দেওয়া হবে। আর তাদের ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা প্রথমে ফাদারের মুখ থেকেই শোনা যাক।”
রাস্তার দক্ষিণদিক ধরে কিছুটা হেঁটে গেলে ডানপাশে বিরাট বড়ো চার্চ পড়ে। সেই চার্চেরই ফাদার বসে আছেন। ফাদার বলতে শুরু করলেন, “আজ সকালে শয়নকক্ষের দরজা খুলে দেখি টাকা আর সোনা-গহনা ভর্তি তিনটে বড়ো বড়ো ব্যাগ। সঙ্গে একটা চিঠি।” এই বলে তিনি চিঠি বের করে পড়তে লাগলেন—
‘শ্রীচরণেষু ফাদার,
আমরা হ্যাকার দল। নেট দুনিয়াতে আমাদের দল মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে বেড়ায়। এক ডার্ক সাইট হ্যাক করে জানলাম, এই এলাকায় সঞ্জীব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি থাকে। সঞ্জীব মণ্ডল বিভিন্ন অসাধু কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই যেমন শিশু চুরি করে অন্যের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা, ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের কিডন্যাপ করে মুক্তিপণ চাওয়া, আরও অনেক অসাধু ব্যাবসা সঞ্জীব মণ্ডলরা চুটিয়ে করে চলেছে। সঞ্জীব মণ্ডলদের এই অসাধু কাজকর্মের জাল গোটা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও ক্রেতাদের সঙ্গে লেনদেন ডার্ক ওয়েবসাইটে করে থাকে। আমরা পুলিশকে সঞ্জীব মণ্ডলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাচ্ছি। আপনি যতক্ষণে চিঠি পাবেন, সঞ্জীব মণ্ডলকে ততক্ষণে জেল হেপাজতে নেওয়াও হয়ে যাবে। সঞ্জীব মণ্ডলের বাড়িতে যা টাকা আর সোনা-গহনা ছিল আপনার কাছে দিয়ে গেলাম। আপনি এই টাকা আর সোনা-গহনাগুলো পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। সেখান থেকে যা কমিশন পাবেন তা দিয়ে আপনার এই পাড়ার ফুটপাতে যারা থাকে তাদের জন্য ঘর কিনে দেবেন। আর তাদের বাচ্চাদের ইশকুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দেবেন। আপনার কাছে আমাদের এই অনুরোধ রইল।
ইতি –
ডট ডট ডট’
“চিঠি পড়া মাত্রই দারোগাবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।”
কথা শেষ হতে না হতেই দারোগাবাবু বলেন, “মধ্যরাতে পুলিশ স্টেশনে হ্যাকারদের তরফ থেকে ফোন আসে। সঞ্জীব মণ্ডলের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাল। তার সঙ্গে সঞ্জীব মণ্ডলের বাড়ির ঠিকানা আর সঞ্জীব মণ্ডলের গোপন ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ডও দিল। আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যে সঞ্জীব মণ্ডলের বাড়ি পৌঁছলাম। গিয়ে দেখি হ্যাকারের দল সঞ্জীব মণ্ডল সহ পরিবারের সবাইকে মুখ-হাত-পা বেঁধে রেখে গেছে। যেন কেউ পালাতে না পারে। হ্যাকারের দেওয়া পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সঞ্জীব মণ্ডলের সাইট খুলতেই এই চক্রের সমস্ত সদস্যের হদিস পাওয়া গেল। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে সদস্যদের আটক করা হচ্ছে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, হ্যাকারদের করা ফোনের নম্বর যাচাই করলে জানা যায়, এমন কোনও নম্বরই নেই।”
দেবু যেন কোনও স্বপ্ন দেখছে। দেবু তার মায়ের দিকে, সতীর্থদের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগল। সবাই আনন্দে আত্মহারা। এই আনন্দ মুহূর্তটা যে এতটা সুন্দর হবে, কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেনি। দেবু বুঝতে পারছে এসব সেই লোকটারই কাজ।
হঠাৎ দেবুর কাগজটার কথা মনে পড়ল। লোকটার থেকে কাগজটা নেওয়ার পর একবারও দেবু খুলে দেখেনি। পকেট থেকে কাগজটা বের করে সে দেখল কিছু একটা শব্দ লেখা আছে। কিন্তু সে তো পড়তে লিখতে পারে না। তাই কিছুটা এগিয়ে গিয়ে পাশের দোকানের এক কর্মচারীকে কাগজটা দেখিয়ে সে জানতে পারল কাগজে যে শব্দটি লেখা আছে তা হচ্ছে, কল্পতরু। সেই দোকানের কর্মচারী কল্পতরুর মানেও বলে দিল—কল্পতরু মানে হচ্ছে অত্যন্ত উদার ও দানশীল ব্যক্তি যিনি সহজেই অন্যের ইচ্ছা পূরণ করেন।
এদিকে আরও অনেকে এসে জড়ো হতে থাকায় ভিড় জমে উঠেছে। সবার মুখেই হ্যাকার দল নিয়ে আলোচনা। ফার্নিচার দোকানের মালিক তপন গাঙ্গুলী তো কয়েকটা হ্যাকার দলের নাম বলতে শুরু করে দিল। যদিও এসব শুনতে মোটেই আগ্রহী নয় দেবু। কারণ, দেবু শুধুমাত্র লোকটা অর্থাৎ কল্পতরুর সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত সারাজীবন মনের চিলেকোঠায় তুলে রাখতে চায়। বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়ে গা ভাসানোর আগে দেবু অবশ্যই কাগজটা মুখে পুরে গিলে নিল।
দারুন
LikeLike