গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে ওরা গুটিগুটি পায়ে হাজির হয় গাঙ্গুলিবাড়ির পিছনের পাঁচিলের কাছে। ওরা বলতে টুকাই, তোতোন, ডাম্পি, রিক আর তোজো। পাঁচ দস্যির টিম। গ্রীষ্মের ছুটিতে ওদের টিম ওয়ার্ক ভালোই চলে। সেই গল্পই বলতে এসেছি। গত পাঁচদিন ধরে পীতাম্বর গাঙ্গুলির বাগানের পেয়ারাগাছটাকে ওরা টার্গেট করেছে। পিছনের পাঁচিল সামনের পাঁচিলের তুলনায় উচ্চতায় অনেকটা বেশি। হলে কী হবে, তোতোনের সাইকেলটা পাঁচিলে ঠেস দিয়ে রেখে তোজো সাইকেলের সিটের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে, তারপর সজনে ডাঁটার মতন লিকলিকে টুকাই তোতোনের কাঁধে চড়ে পাঁচিলে উঠে পড়ে। ব্যস, হাতের নাগালে পেয়ারাগাছের ডাল। গাছভরতি পেয়ারা। ইয়া বড়ো বড়ো হালকা হলুদ-সবুজ পেয়ারা সূর্যের আলোয় চকচক করছে। টপাটপ তুলে নীচে ফেলতে থাকে। তলায় তোতোন, ডাম্পি, রিক এক হাতে ব্যালেন্স করে সাইকেল ধরে আর-এক হাতে পেয়ারা লোফে। মিনিট দুয়েকের মধ্যে সামনের ডাল সাফ।
ভাবছ পেয়ারা চুরি কী এমন হাতি-ঘোড়া টিম ওয়ার্ক? পেয়ারা চুরিটা খুব সহজ ব্যপার নয়। প্রথম যেদিন এসেছিল ওরা, সেদিন খালি মরতে মরতে বেঁচে ছিল। প্রথম পরিকল্পনার দিন টুকাই পাঁচিলে উঠে সবে পেয়ারা ডাল টেনে ধরেছে অমনি বিকট কুকুরের ডাক। প্রথম শুনেই পিলে চমকে যায়। ভিরমি খেয়ে তোজো সাইকেল থেকে উলটে পড়ে। বাকি তোতোন, ডাম্পি, রিক কুকুরের ডাক শুনে সাইকেল ছেড়ে দিয়ে মারে ছুট। ওদিকে পাঁচিলে টুকাই ভয়ের চোটে ঘাবড়ে গিয়ে পাঁচিল থেকে পড়তে পড়তে বাঁচলেও পাঁচিল ধরে ঝুলতে থাকে। নীচে পড়লেই বঁটিতে আঁশ কোটার মতো গাঙ্গুলিবাবুর পোষ্য অ্যালসেশিয়ান জিকো ছিঁড়ে ফেলবে। ভয়ের চোটে টুকাই তারস্বরে কাঁদতে থাকে—“তোজো, রিক আমায় বাঁচা! কুকুরটা আমায় ছিঁড়ে ফেলল রে, বাঁচা আমায়!”
তোজো পাঁচিলের এ-পার থেকে চেঁচাতে থাকে—“টুকাই আমাদের ফেলে ওরা পালিয়ে গেছে রে। তুই কি বাগানে পড়ে গেছিস? তোর বাড়ি গিয়ে কাকুকে ডেকে আনব রে?”
সমানে কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে চলেছে। মাঝে মাঝে ঘেউ ঘেউ থামিয়ে গরগর করছে—সেই সাউন্ডে আরও হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে। টুকাই কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে, “আমি ঝুলছি রে। কুকুরটা আমায় কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে দেবে রে। বাবাকে ডেকে আনলে বাবা তো কান ছিঁড়ে ফেলবে। মা গো বাঁচাও!”
“তাহলে কি কাকিমাকে ডেকে আনব?”
“ও মা গো, কী গাধার পাল্লায় পড়লাম! মাকে কেন ডাকবি? মা তো জানলে পিঠের ছাল তুলে দেবে। ভ্যা-অ্যা-অ্যা…”
তোজো পাঁচিলের তলা থেকে আশ্বাস দেয়—“আরে কাঁদিস না, ঝুলতে ঝুলতে পা ব্যালেন্স করে উঠে আয়। তুই আমার বন্ধু, তোকে ছেড়ে আমি যাব না রে।”
এতক্ষণে কুকুরের চিৎকারে গাঙ্গুলিবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। টুকাইকে পাঁচিলে ঝুলতে দেখে বেজায় চটে গিয়ে গাল পাড়তে থাকেন—“বাঁদর ছেলে, পাজি হতচ্ছাড়া, ভালো স্কুলে পড়ে আমার বাগানে চুরি করতে এসেছে! বেয়াদব ছেলে, মা-বাবার কোনও শিক্ষা-দীক্ষা নেই! বুনো বাঁদর! হাতের কাছে পেলে ঠ্যাং ভেঙে দেব। দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।”
গাঙ্গুলিবাবু গাল পাড়তে গিয়ে তেড়ে যেতে ভুলে গেছেন। কুকুরটাও সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে। টুকাই কোনোরকমে ডিগবিগ ডিগবিগ করতে করতে পা ব্যালেন্স করে পাঁচিলে উঠে পড়ে বসে হাঁপাতে থাকে। পাঁচিলে উঠে বসতে পেরে টুকাইয়ের বুকে বল আসে। হাঁপাতে হাঁপাতে এবার টুকাই বড্ড চটে যায়। চেঁচিয়ে ওঠে—“এত চেঁচাও কেন দাদু? কুকুর চেঁচাচ্ছে, তুমি চেঁচাচ্ছ। বাচ্চা ছেলেটা পড়ে গেলে কী হত?”
“দেখো কী বেয়াদব ছেলে, মুখে মুখে তর্ক করছে! আবার নিজেকে বাচ্চা ছেলে বলছে! অ্যাই ছোকরা, তোর বাবার নাম কী রে? কোন বাড়িতে থাকিস? দাঁড়া, তোর বাবাকে রিপোর্ট করব আমি।”
“বাবার নাম জানালে তো রিপোর্ট করবে? এত কিপটে কেন তুমি? দুটো পেয়ারা পাড়লে কী হয়?”
“হতচ্ছাড়া! পেয়ারা পাড়বি মানে? এটা কি তোর বাবার গাছ? আয় তোর ঠ্যাং ভাঙছি।”
“বাবার গাছের পেয়ারা আমি এমনি এমনি খাই। বু-ড়ো!”
টুকাই গাঙ্গুলিবাবুকে জিভ ভেংচে তোজোর কাঁধে পা দিয়ে পাঁচিল থেকে নেমে আসে। তারপর সাইকেল নিয়ে দৌড়।
কালকের ঘটনার পর টুকাই-তোজোর জেদ চেপে যায়। গাঙ্গুলিবাবুর বাগানের পেয়ারা তারা খাবেই। পরেরদিন দুপুরবেলায় আবার আসে পাঁচ দস্যি। আসার আগে গতদিন পালিয়ে যাবার অপরাধে তোতোন, ডাম্পি, রিককে কুড়ি বার ওঠবোস করিয়ে এনেছে। তোতোন, ডাম্পি, রিক দিব্যি করেছে যত যাই হোক আর ছেড়ে যাবে না। আজ সাবধানে টুকাই পাঁচিলে উঠে বসেছে। পেয়ারাগাছের ডাল টেনে ধরতেই গাঙ্গুলিবাবুর কুকুর জিকো ঘেউ ঘেউ করতে করতে ছুটে আসে। টুকাই পাঁচিলে বসে জিকোকে ভেংচি কাটে—“ধুর, তোকে আমি ভয় পাই না। আমাকে ধরতে পারলে তবেই না কামড়াবি?”
টুকাই হাত বাড়িয়ে পেয়ারা পাড়ে। গুনে গুনে পাঁচটা পেয়ারা পেড়ে নেমে পড়ে। নেমে পড়ার সময়ই গাঙ্গুলিবাবু টুকাইকে দেখে ফেলেন। আবারও গাল পাড়তে থাকেন—বাঁদর ছেলে, পাজি হতচ্ছাড়া, ভালো স্কুলে পড়ে আমার বাগানে চুরি করতে এসেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। জিকোও বীর কুকুরের মতো সমানে ঘেউ ঘেউ করে চেঁচাতে থাকে।
ইয়া বড়ো বড়ো পেয়ারা, গোল হয়ে ফুলে রসে রঙে টইটুম্বর। কী যে মিষ্টি! একবার খেলে বারে বারে খেতে মন চায়। অতএব যথারীতি আবারও পেয়ারা চুরি ও দাঁতখিঁচুনি পর্ব চলতে থাকে ক্রমান্বয়ে। টুকাই পেয়ারা চুরিতে সততা বজায় রাখার চেষ্টা করে—পাঁচটা পেয়ারা দরকার তো পাঁচটাই পাড়ে। বন্ধুরা আরও পাড়তে বলে। টুকাই বলে, “কষ্টি পেয়ারা পেড়ে কী হবে? খাওয়া তো যাবে না, তার থেকে বরং পুরুষ্টু হোক। আমরা তো আছিই।” হিহিহি করে হেসে ওঠে।
পাঁচ দিনের দিন টুকাই পাঁচিলে উঠে লক্ষ করল জিকো বাড়ি থেকে বেরোয়নি।—“ওই তোজো, কী ব্যাপার বল তো? জিকো বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না, দাদুও বেরোল না। তবে কি দাদু বাড়ি নেই?”
টুকাইয়ের কথা শুনে তোতোন উৎসাহিত হয়ে বলে, “চল তাহলে মওকাতে ছক্কা মারি। বাগানে ঢুকে পেয়ারা পাড়ি। দাদু টের পাবে না।”
তোজো সাইকেলের সিটে দাঁড়িয়ে তোতোনকে বকা দেয়—“তোকে পাকামো করতে হবে না। দাদু যদি বাগানে ঘাপটি মেরে থাকে তখন কী হবে? চেলা কাঠ দিয়ে পিঠের ছাল তুলবে। টুকাই, তাড়াতাড়ি যা হাতের কাছে আছে পেড়ে নেমে আয়।”
সেদিনের মতো পাঁচ দস্যি পেয়ারা খেতে খেতে মাঠে খেলতে চলে যায়।
পরেরদিন দুপুরে যেই টুকাই পাঁচিলে উঠেছে অমনি জিকো বাড়ি থেকে ছুটে এসে পাঁচিলের তলায় কুঁই কুঁই করতে থাকে। যে কুকুর দেখামাত্রই ঘেউ ঘেউ করে বিশাল চিৎকার করে কান ঝালাপালা করে দিত, সে এখন শীতের রাতের পথ কুকুরদের মতো কুঁই কুঁই করে কাঁদছে। বার দুয়েক ছুটে বাড়ির দরজার কাছে যায়, সেখানে গিয়ে ঘেউ ঘেউ করে, আবারও পাঁচিলের কাছে ফিরে এসে কুঁই কুঁই করতে থাকে। জিকোর এহেন আচরণ টুকাইকে বেশ অবাক করে দেয়। টুকাই বড়ো বড়ো চোখ করে জিকোর কাণ্ডকারখানা লক্ষ করে।—“ওই তোরা শুনছিস, জিকো কাঁদছে? বারে বারে বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছে। কিছু বলতে চাইছে যেন। দাদুকে কাল থেকে দেখছি না, দাদুর কিছু হল না তো রে?”
তোতোন বিজ্ঞের মতো বলে, “আমার সিক্সথ সেন্স বলছে কিছু হয়েছে। আমি কালকেও তোদের বলেছিলাম, পাত্তা দিলি না। তোজোটা বেশি পাকা। চল ভিতরে গিয়ে দেখি আমরা।”
পাঁচটা এগারো-বারো বছরের ছেলে মজা করে পেয়ারা পেড়ে খেতে এসে ভীষণ কঠিন অবস্থায় পড়ে গেল। একদিকে অ্যালসেশিয়ান কুকুর, আর-একদিকে বুড়ো মানুষটার জন্য চিন্তা। পাড়ায় সবাই জানে গাঙ্গুলিবাবু বিপত্নীক, দুই ছেলে বিদেশে থাকে। সত্তরোর্ধ্ব মানুষটা কুকুর সঙ্গে নিয়ে থাকেন। খিটখিটে স্বভাবের জন্য গাঙ্গুলিবাবুর বাড়িতে কেউ কাজ করতে চায় না, গাঙ্গুলিবাবু নিজের কাজ নিজেই করেন।
পাঁচ দস্যি গুটিগুটি পায়ে গেটের কাছে আসে। গেটে তালা মারা। অগত্যা পাঁচ দস্যি গ্রিলের গেট বেয়ে উঠে পড়ে গেট টপকে বাগানে ঢোকে। অন্য সময় গেটে টুং করে আওয়াজ হলেই জিকো ছুটে এসে পিলে চমকিয়ে চিৎকার করে ডাকতে থাকে; এখন সেই কুকুর কুঁই কুঁই করছে। পাঁচ দস্যি বাগানে নেমে দুরু দুরু বুকে বাড়ির দিকে এগোয়। জিকো দৌড়ে ঘরে ঢুকে যায়। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে দেখে সামনের ঘরেই তক্তপোশে গাঙ্গুলিবাবু চিত হয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন—খালি গা, মশার দংশনে সারা গা লাল হয়ে ফুলে আছে, বাঁ পা হাঁটু থেকে ফুলে কলাগাছ। গাঙ্গুলিবাবুর অবস্থা দেখে পঞ্চপাণ্ডব ভয়ে জড়সড়।
তোতোন ভয়ার্ত স্বরে বলে, “দাদু কি মারা গেছে রে?”
টুকাই এগিয়ে এসে গাঙ্গুলিবাবুকে নাড়া দেয়—“ও দাদু, ওঠো। দাদু, ওঠো গো! তোমার কী হয়েছে?”
তোতোন আবারও বলে, “দাদু মরে গেছে রে।”
“বেশি পণ্ডিত! সব জেনে গেছিস? থামবি তুই? এরপর একটা কথা বললে তোর কান মুলে দেব। যা জল নিয়ে আয়।” টুকাই ধমকে ওঠে।
রিক দৌড়ে গিয়ে টেবিলের উপর রাখা জলের ফিল্টার থেকে এক গ্লাস জল এনে টুকাইয়ের হাতে দেয়। টুকাই জলের ছিটে দিয়ে ডাকতে থাকে—“দাদু ওঠো, দাদু ওঠো।”
বিস্তর ডাকাডাকির পর গাঙ্গুলিবাবু একপলক তাকিয়ে আবারও চোখ বন্ধ করে ফেলেন। ঠোঁট নাড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছু বলতে পারেন না। ততক্ষণে রিক, তোজো ঘর থেকে বেরিয়ে পাড়ার লোকজন ও ডাক্তার ডাকতে ছুটেছে।
মিনিট দশেকের ভিতর পাড়ার লোক ডাক্তার এনে হাজির। তার আগে পাড়ার লোকে গেটের তালা ভেঙেছে। আধঘণ্টার মধ্যে পাড়ার লোকেরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে গাঙ্গুলিবাবুকে তুলে নার্সিং-হোমে নিয়ে যায়।
দু-দিন হল গাঙ্গুলিবাবু এখনও আই.সি.ইউ-তে ভর্তি। তাঁর ছেলেদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আজকের ভিতর চলে আসবে। ডাক্তার বলেছেন, আর ঘণ্টা খানেক দেরি করলে গাঙ্গুলিবাবুকে বাঁচানো যেত না। ভদ্রলোক পড়ে গিয়ে পা ভেঙেছেন, সেই অবস্থায় কোনোরকমে বিছানায় এসে সেন্সলেস হয়ে যান। তারপর দু-দিন ওইভাবে পড়েছিলেন। জল, খাবার, ওষুধপত্র কিছুই পড়েনি। দেহের পটাসিয়াম-সোডিয়ামের লেভেল নীচে নেমে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়ে যায়, প্রেশারও লো ছিল। এ-যাত্রায় পাঁচ দস্যি ও জিকোর টিম ওয়ার্কে গাঙ্গুলিবাবু প্রাণে বেঁচে গেলেন।
এরপরও পাঁচ দস্যি গাঙ্গুলিবাবুর বাড়ি গিয়েছিল। না না, ভুল ভাবছ। গাঙ্গুলিবাবু বাড়ি নেই বলে মওকা দেখে ছক্কা হাঁকাতে যায়নি। বাচ্চারা দুষ্টু হতে পারে, কিন্তু ওদের ভিতর ঈশ্বরের বাস, তাই ওদের বুকের ভিতর বিবেক মনুষ্যত্ব সবসময় জেগে থাকে। গাঙ্গুলিবাবুর গেটের কাছে এখন পাঁচ দস্যি দাঁড়িয়ে। ওরা ওদের পকেটমানি দিয়ে পাড়ার দোকান থেকে বন্ড পাউরুটি আর দুধের প্যাকেট কিনে এনেছে। টুকাই জিকোর মাথায় হাত বোলাচ্ছে; ডাম্পি মাটির ভাঁড়ে দুধ ঢেলে দিয়েছে; জিকো জিভ দিয়ে চেটে চেটে খাচ্ছে।
“আরে খালি দুধ খেলেই চলবে? রুটি দিচ্ছি, খা খা। দু-দিন তো কিছু খাসনি। ভালো করে খা।” তোতোন বন্ড পাউরুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে জিকোর মুখের কাছে দেয়। রিক-তোজো পরম স্নেহে তাকিয়ে জিকোর খাওয়া দেখে।
খুব খুব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। বাচ্চারা সত্যিই ইশ্বর। গোটা সমাজটা যদি এমন হতো! খুব ভালো একটা বার্তা বহন করছে এই গল্পটা। লেখককে ধন্যবাদ।
LikeLike