ঘন্টুচরণ সকালবেলায় দোকানটা তার খুলে
ঝাড়পোঁছ দেয় রীতিমতন ঝাঁপদরজা তুলে
নগেন্নামের কাজের ছেলে একটু পরেই আসে
এটা আনে ওটা আনে বিভিন্ন ফরমাশে
ঠাকুরপুজো করবে বলে গঙ্গানদীর কোলে
পুজোর জলটা ঘন্টু আনে নদীর থেকে তুলে
একটু দূরেই স্রোতস্বিনী, দোকান নদীর পাড়ে
জিনিসপত্র ভালোই রাখে, সবার নজর কাড়ে
সকালবেলায় ফেরার সময় দেখল একটা ছেলে
দোকান থেকে বেরিয়ে গেল নগেনকে কী বলে
বলল ডেকে ঘন্টু, ‘নগেন, কী বলল তোকে?
সকালবেলায় লক্ষ্মী গেলে কী বলবে লোকে?’
খদ্দেরই তো লক্ষ্মী আসল, এইটে জেনো ভাই
চাইবে যা সেই ইচ্ছে তোমার মিটিয়ে দেয়া চাই’
‘খুঁজছিল ও দোকান থেকে নাইলনেরই রশি
নাইলন শেষ আমার কাছে অন্য দড়িই বেশি।’
‘বললি না তুই, পাটের আছে? এই দড়ি নয় মন্দ?
নিয়েই দেখুন সবাই খুশি খুব হবে আনন্দ?’
******
পরের দিনও ঘন্টুচরণ আনতে গেল জল
ফিরেই দেখে তার দোকানে ভীষণ কোলাহল
একটা মানুষ কিল ঘুষি চড় মারছে যা তার খুশি
দেখছে সবাই করছে নাকো কিছুই প্রতিবেশী
দেখল চেয়ে কাঁদছে নগেন চোখের কোণে জল
‘কী কথা তুই বললি যে তার এমন প্রতিফল?’
‘চাইছিল ও টিস্যু পেপার লাগবে ঘরের কাজে
টিস্যু পেপার শেষ হয়েছে, যা আছে তা বাজে।
আমার কাছে ও জিনিসিস তো মিলবে নাকো আজ
শিরীষ কাগজ আছে, তাতেই চালিয়ে নিন কাজ’
ছবিঃ মধুশ্রী