লুচি কেস
অমিতাভ প্রামাণিক
বালুচিস্তানে লুচির বাগানে একদিন করে হামলা
লুচি তাজা তাজা ও বেগুনভাজা সাঁটিয়েছি কয় গামলা।
পেটভরে খেয়ে হাতটাত চেটে
আর গোটাকয় ভরে দু পকেটে
বাড়ি ফিরে শুনি,ক্রুদ্ধ-বেগুনি,কে করে দিয়েছে মামলা।
আদালত থেকে বলে গেল হেঁকে,রুজু হয়ে গেল নোটিশও।
ব্যাটাদের রুচি নেই,যেন লুচি খেয়েছি লক্ষ-কোটি শো!
কিন্তু এরা তো কথা শুনছে না।
আদালত,সেও অজানা-অচেনা।
দিনক্ষণ দেখে শুনানির শুরু,উকিল চড়ালো শামলা।
জাজখানা ভারি খোট্টা-বিহারী,তবে মোটে কুৎসিৎ না।
বলে সব শুনে,চোরি কিয়া তুনে? লুচি? কব? কিঁউ? কিৎনা?
প্ল্যানমতো বলি,জজসাব,জানো,
লুচি কোথা? নেই ময়দা,ময়ানও।
ও তো পুরি,যদি লুচি বলো,তবে আমি সরকারী আমলা।
লুচির মতো না ছিলো না দ্যোতনা; না টেস্টে,নয় সাইজে।
যারা বড়ো লোভী,রাধাবল্লভী খায়,পুরাণের রায় যে!
আরো বড়ো যারা,মা বলে,খা তোরা
ছোলে দিয়ে,তারা হচ্ছে বাটোরা।
ছোট ছোটগুলো ফুচকা,লুচি না। জাজ ভাবে,ঠ্যালা সামলা!
বর্ণনা দিতে জাজ ইঙ্গিতে থাপ্পড় মেরে জঙ্ঘায়
বলে,ওহে বাদী,এই খাদ্যাদি পড়ে না লুচির সংজ্ঞায়।
আমি ভাবি,তবে ডিসমিস কেস।
জাজ তার রায় করলেন পেশ;
বললেন,বেটা,ঘর যা,বাপকো পুছকে জরা সা দাম লা।