সূর্যমুখীর গল্প->রাকা দাশগুপ্ত
একটা ছোট ফুল
ঘুম ভেঙে সে যেই উঠেছে, অমনি হুলুস্থুল!
রোদ দিয়ে দাঁত ব্রাশ,
মধুর ওপর শিশির ঢেলে দিব্যি প্রাতঃরাশ।
তারপরে হই চই
“এবার আমায় সাজাও। আমার হলদে রিবন কই?”
হলদে রিবন খুঁজতে গিয়ে বাতাস গেল দূর
সে এক অচিনপুর।
সেইখানে সব পুঁতির নদী, চুমকি গাঁথা চর,
সুতোয় বোনা ঘর।
রংবেরং-এর নকশি কাঁথায় বিছিয়ে থাকা মাঠ
ইচ্ছেদীঘির ঘাট।
তার পাশে এক বাড়ি
আলোর সঙ্গে ভাব ছিল তার, মেঘের সাথে আড়ি।
জানলা নিপাট খোলা,
সকাল বিকেল দস্যি হাওয়ার উড়ন্ত চৌদোলা।
নীলচে রঙের ছাদ
টবের গাছে হলদে রিবন, তাদের কী আহ্লাদ!
একটা রিবন উড়িয়ে নিয়ে বাতাস এল ফিরে,
গাছগাছালির ভিড়ে।
হলদে রিবন পরিয়ে দিল ছোট্ট ফুলের চুলে।
ফুর্তিতে খুব দুলে
উঠল তখন ফুলকুমারী, রোদের দিকে চেয়ে
ঝলমলে গান গেয়ে।
সূর্যমুখীর ওড়না
সেদিন থেকেই হলদে রঙের। রিবনখানা ওর না?