অফিসের চুল ও শপিং ও আইপিএল
সংগ্রহ: সুবীর ব্যানার্জি
বড়োকর্তা : কী ব্যাপার? আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন ?
কেরানি : চুল কাটাতে গিয়েছিলাম।
বড়োকর্তা : ( একটু রেগে) কী! আপনি অফিস টাইমে চুল কাটাতে গিয়েছিলেন?
কেরানি : তাতে কী হয়েছে? চুলটাও তো অফিস টাইমে বড়ো হয়েছিল।
বড়োকর্তা : সেটা তো বাড়ি থাকাকালিনও বড়ো হয়েছে।
কেরানি : সেইজন্যই তো একেবারেই নেড়া হয়ে যাইনি। যতটুকু অফিসে বড়ো হয়েছিল ততটুকু কেটেছি।
২।
এক মহিলা কেনাকাটা করে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে ব্যাগ খুলতেই ……
ক্যাশিয়ারের নজরে এল সেখানে একটা টিভির রিমোট।
ক্যাশিয়ারঃ ব্যাগে রিমোট কেন?
মহিলাঃ আজ আমার কর্তা আই পি এল ফাইনাল দেখবে বলে শপিং-এ এল না।তাই জব্দ করতে রিমোট আমার ব্যাগে।
এই বলে মহিলা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ক্যাশিয়ারের দিকে এগিয়ে দিলেন। ক্যাশিয়ার কার্ড পাঞ্চ করে সেটা বের করে নিয়ে বলে
ক্যাশিয়ারঃ ক্যাশ দিন।
মহিলাঃ কেন?
ক্যাশিয়ারঃ আপনার কার্ডটা খানিক আগে ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
মহিলাঃ (বেজায় রেগে) ও। রিমোট নিয়ে এসেছি বলে আমার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে। ঠিক হৈ। ভাগ্যিস আমি কর্তার কার্ড আর ফোনও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম যাতে একলা একলা বাড়িতে জোমাটো থেকে খাবারের অর্ডার না দিতে পারে।
এই বলে তিনি কর্তার কার্ড বের করে ক্যাশিয়ারকে দিলেন। কর্তার ফোনে ওটিপি এল। কেনাকাটা শেষ হল।
বাড়ি ফিরে দেখা গেল গ্যারাজে গাড়ি নেই। দরজায় স্টিকারে লেখা-
“বন্ধুর বাড়ি খেলা দেখতে যাচ্ছি। ও জোমাটোয় খাবারের অর্ডার দিয়েছে। এক্সেল সাইজ পিজা উইথ রাশিয়ান স্যালাড টপিং। খেয়েদেয়ে ফিরব। চাবি লাগিয়ে গেলাম। ফিরতে রাত হবে। তুমি আগে ফিরে এলে আমার মোবাইলে ফোন কোরো।”