রোয়াল্ড ডাহ্ল্ এর আরো ছড়া———————————————————————– করাতদেঁতো । ছাগলে কী না খায় । পক্ষিরাজ গোরু । সিংহমামা । পারিশ্রমিক, টেলিভিশন
কাঁকড়াবিছে
Roald Dahl-এর লেখা The Scorpion ছড়া অবলম্বনে কৌশিক ভট্টাচার্য
মার্জারপুরুষেরা দিতে পারে খেঁচিয়ে
“হুলো” বলে পথেঘাটে ডাকো যদি চেঁচিয়ে।
হুল নেই, তবু কেন “হুলো” বলে খোঁচানো?
“হুলো” নাম তারই সাজে হুল যার ওঁচানো,
হাজারো প্রাণীর মাঝে সেরা হুলখানি যার।
কাঁকড়াবিছেরই তাই হুলো নামে অধিকার।
বাস তার ফাটলেতে, দেয়ালের খাঁজেতে
ঘোরাফেরা করে না সে শহরের মাঝেতে।
সাবধান! গ্রামে বাড়ি? মেটে ঘর? পাকা নয়?
দেখে চলো, বিছে ঘোরে বিছানাতে, বাড়িময়!
দুঃখ পেলে কি ভেবে “কাছে কেন এলো না?”
বন্ধু সে নয় কারো, ভালোবেসে ফেলো না!
দেখেছো কি চেহারাটা? যত হোক পুঁচকে,
খুনে-রাঙা চোখদুটো, জোড়াভুরু কুঁচকে,
মিশকালো রং — যেন কালি শুষে তৈরী
বিছেদের রাজা তিনি, মানুষের বৈরী!
মারামারি? হানাহানি? এক ডাকে খাড়া সে!
লম্বাটে ল্যাজ যদি করে শুরু নাড়া সে,
ভাগো! ভাগো! কেটে পড়ো! লাফ দাও পালিয়ে
যত পারো দূরে সরো বেগে দু’পা চালিয়ে।
কেন জানো? ল্যাজে থাকা হুল যদি নড়েছে
মনে রেখো, এক শুধু ধান্ধা সে করেছে —
গাম্বু লাফেতে উড়ে শমনের বেশেতে
হুলটি বিঁধোবে কারো পশ্চাদ্দেশেতে!
*****
“কি হয়েছে বাবুসোনা? মুখ দেখি শুকিয়ে,
ভয় কেন? বলো, কেন চেপে রাখো লুকিয়ে?”
“ও মা, শোনো, গুটিপায়ে কেউ যেন আসছে
চাদরের নীচে ঢুকে হি হি হি হি হাসছে!
পায়ে লাগে সুড়সুড়ি — এসেছে না-জানি-কি!
পৃথিবীতে নামা কোনো ভিনগ্রহী প্রাণী কি?”
“এই শোন, মাঝরাতে ফের শুরু ঠাট্টা?
শুয়ে পড় তাড়াতাড়ি! দেব দুই গাঁট্টা!”
“না না না না, ঠাট্টা না, গেছে হাঁটু ছাড়িয়ে,
না না, আরো উপরেতে, কোমরেতে দাঁড়িয়ে।
গুঁড়ি মেরে চুপিচুপি বসেছে সে পাছাতে।
গেছি! গেছি! প্রাণে গেছি! এসো কেউ বাঁচাতে!!”
শূল হয়ে নামে ঐ বড় হুল-টা
ওরে বাবা! ওরে বাবা! ওঃ! উঃ! আঃ!
জয়ঢাকের ছড়া সংগ্রহ