এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান, মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার, দাঁতেরেনমি, রামপাস মার্জার কথা, মিস্টোফিলি, বাদশাহ ম্যাকাভিটি
গাস নামে থিয়েটারি বিল্লি
টি এস এলিয়ট।
ভাষান্তরঃ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
নাম তার গাস আর থিয়েটারে বাস তার
পুরো নাম বলা বড়ো সুকঠিন
লোকমুখে ডাকনাম হয়ে গেছে তাই তার
শুধু গাস শিরে ‘অ্যাসপারা’ হীন
মাটিমাখা লোম তার দেহ কঙ্কালসার
থাবা কাঁপে মৃগিরোগ-জরজর
যৌবনে কী বাহার কীবা তেজ ছিল তার
চুহাকূল ছিল ভয়ে থরথর
কী যে দশা আজ তার নেই কোনো কাজ তার
চুহারাও আর ভয় পায় না
টি-শপ-এর পিছে তার আড্ডাটি ছাড়া আর
অন্য কোথাও গাস যায় না
সেখানে ফুলিয়ে লেজ, বলে ছিল কত তেজ
যৌবনে সে কী আর বলি ভাই!
শুনে ট্যারা হবে আঁখি উড়ে যাবে প্রাণপাখি
শুধু দুটি মুখরুচি খানা চাই
একদা ছিলাম স্টার অ্যাক্টিং কার কার
পাশাপাশি করেছি তা বলে যাই
কাম্বার বেনেডিক, ম্যাকডার্মট রিক
মিয়া ফারো, জোলি কেউ বাদ নাই
কত নাম আছে আর কে রাখে খবর তার
তার মাঝে সেরা ছবি কোনটি?
অ্যাকশনে ভরপুর কীবা বুলি, কীবা সুর!
“হেলবয় ফিরোফর ব্রন্টি”
কিবা হিরো কি ভিলেন শয়তান, সাধু, জেন,
সব রোলে একোমেবদ্বিতীয়ম
সত্তরখানা ভাষা বলতাম ভারী খাসা
আর যদি ডায়ালগ হত কম,
শরীরের ভাষ্যে ভরাতাম হাস্যে
রামগরুড়ের ছোটো ছানাকেও
সাধনায় বুঁদ হয়ে জাদুমাখা অভিনয়ে
কাঁদাতাম বোবাকালাকানাকেও
দেখে সেই অভিনয় “আরো লিখি সাধ হয়”
বলেছিল এমিলিয়া ব্রন্টি
তবু, সেরা অভিনয়? আর কোনো ছবি নয়,
“হেলবয় ফিরোফর ব্রন্টি”
শেক্স্পিয়ারের প্লে-তে আমায় হয়েছে যেতে
রাজার বিড়াল রোল-এ কতবার
হোমস-এর ‘বাঘ’ রোলে (দেখাব সময় হলে)
শো করেছি! এক নয়, শতবার!
ভূত রোল-এ নাকিসুরে হাঁক দিলে কাছে দূরে
ভয় পেয়ে ফিট হত কেউ কেউ
আগুন লাগানো ঘরে চার পায়ে তার-এ চরে
দেখিয়েছি কচিখোকা রেসকিউ
আজকাল ছানাগুলো বোকা হাঁদা রাঙামুলো
চালবাজ! অতিশয় বিচ্ছু
“অ্যাকশন, রোল, কাট” বুলি ছাড়ে কী জমাট
অভিনয় শেখে না তো কিচ্ছু
আজকাল থিয়েটার আগের মতন আর
নেই তারা ভরে না রে মনটি
ছিল বটে একদিন সিনেমা তুলনাহীন
“হেলবয় ফিরোফর ব্রন্টি”