এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান
মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার ছিল দুই কুখ্যাত বিল্লি
দড়িহাঁটা জিমন্যাস্ট সার্কাসি দুটি ভাঁড় ম্যাও সুরে করে কত খিল্লি
দুটোই বদের ধাড়ি, গড়েছিল তারা বাড়ি গাছে ঢাকা ভিকটোরি পার্কে
তবে সেই ঠিকানায় তারা শুধু চিঠি পায়। ঘরে থাকা? ধারে তার ধার কে?
লনসেস্টন প্লেস-এ, কনওয়াল এলাকায়, কেনসিংটনে যারা থাকত
দুই বেড়ালের ভয়ে জানালায় দরজায় দিনরাত খিল এঁটে রাখত
তবু যদি জানালাটা খুলে যেত রাত্রে
তছনচ খেলা হত রান্নার পাত্রে
ছাদে যদি টালিগুলো একদুটি সরত
ফাঁক বেয়ে ঘরময় বৃষ্টিরা ঝরত
টেবিলের ড্রয়ারেরা নিজেনিজে খুলত
আলনার মোটা কোট কার্নিশে ঝুলত
রাত্রের খাওয়া শেষে যদি মিস বুল্টি
হাঁক দিত খোয়া গেছে মুক্তোর দুলটি
ফ্রিজ থেকে উবে যেত মাছ রাখা ভাণ্ড,
“সবই সেই বজ্জাত বেড়ালের কাণ্ড”
এই বলে সকলেই খুঁজে যেত দোষ কার?
মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার?
মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার জাদুকরী সুরে তারা গাইত
থাবা মেরে ভেঙেচূরে তার ছিঁড়ে জাল ফুঁড়ে যা পেত তা মুখে নিয়ে ধাইত
ভিকটোরি পার্কের এক কোণে ছিল বাসা ঘুরেফিরে থাকে মহা রঙ্গে
কখনো সুযোগ পেলে ল্যাজ তুলে গোঁফ মেলে কথা বলে পুলিশের সঙ্গে
রবিবারের রাত্রে যখন সবাই মিলে ডিনার খায়
মাংস কখন আসবে বলে কিচেনমুখো জুজুল চায়
তখন হঠাৎ কাজের ছোঁড়া মুখটা করে করুণ তার
বলবে এসে আজ আলু খান মাংস হবে কালকে সার
উনুন থেকে কাবাবগাঁথা শিকগুলো সব উধাও আজ
অমনি সবাই হাঁকার দিত, “চারপেয়ে সেই পাজির কাজ”
মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার জোট বেঁধে কাজ করে কী দারুণ
কখনো কপালজোর কখনো থাবার জোর যদিও সদাই ফল নিদারুণ
ম্যাঁও সুরে গায় ধুন ধায় যেন টাইফুন থাবা মেরে উবে যায় পলকে
মঙ্গনজেরি নাকি রামপালটাইগার চিনে নেবে তাকে তুমি বল কে?
ঝনঝন রবে যদি কেঁপে ওঠে বাড়িটা
রান্নার ঘরে ভাঙে মাছ রাখা হাঁড়িটা
পড়বার ঘরে যদি ভাঙে এইমাত্র
লাল রঙা মহাদামি মিংযুগী পাত্র
অমনি সবাই মিলে খুঁজে যাবে দোষ কার?
মঙ্গনজেরি নাকি রামপালটাইগার?
দুজনার একটার কাজ হতে বাধ্য
কিন্তু সে কোনজন বোঝে কার সাধ্য?