এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান, মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার, দাঁতেরেনমি, রামপাস মার্জার কথা
মিস্টোফিলি
টি এস এলিয়ট
অনুবাদঃ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
মিস্টোফিলিকে চেন? প্রফেসর ফিল্লি!
সন্দেহ নাই তিনি দুনিয়ায় আজিকার
একোমেবদ্বিতীয়ম জাদুকর বিল্লি
তাঁর হেন জাদুকরী এ-জগতে মেলা ভার
এ শহরে পথেঘাটে নাই দুটি মার্জার
কৌশলে তার কাছে হয় নাই হার যার
তাঁর গড়া মহা জাদু চোখে ধুলা সেরা ট্রিক
ধন্দের মায়াজালে বশ মানে দশদিক
খোলা রাখো চোখগুলো
তল্লাশি নাও তার
থাবাজাদু, চোখে ধুলো
আবারও মানাবে হার
হুডিনি কি পিসিএস, জাদুকরবিশ্ব
হতে পারে ফিল্লির অনুগত শিষ্য
ভানুমতী জয় জয়
এ জাদু সহজ নয়
ফেমাস জগতময়
উহু পারি না গো ভাই
ডেকে তাই বলে যাই
দুনিয়ায় দুটি নাই
তার হেন বিল্লি
জাদুকর ফিল্লি
ছোটোখাটো চেহারাটি মাথা থেকে লেজ তার
মিশকালো রাত যেন, ঘনঘোর কী আঁধার
ফুটো পেলে মুঠোমাপ, নিঃসাড়ে গলে যায়
সুতো বেয়ে গটগট সোজা হেঁটে চলে যায়
তাসের জাদুর রাজা তিরিদুরিটেক্কায়
বলে বলে থাবা চলে পাশাখেলা ছক্কায়
অথচ দু’চোখ তার কী সরল, মায়াময়
দেখে মনে হবে শুধু ইঁদুরেই খুশি রয়
বাটি ঘটি ছুরিকাঁটা
নিয়ে দেবে সোজা হাঁটা
মাছে ভরা চামচে
দু’থাবায় খামচে
সব বাধা পেরিয়ে
সব চোখ এড়িয়ে
উধাও জানালা বেয়ে
যদি তুমি থাকো চেয়ে
তাও টের পাবে না
ধরা তাকে যাবে না।
উহু পারি না গো ভাই
ডেকে তাই বলে যাই
দুনিয়ায় দুটি নাই
তার হেন বিল্লি
জাদুকর ফিল্লি
থাকে ভারী চুপচাপ, উদাসীন মুখ তার
লাজুকলতাটি যেন, শয়নেই সুখ তার?
তথাপি, যখন সুখে উনুনের পাশে চিৎ
দেখে এলে, শোনা যাবে ছাদে তার সঙ্গীত
অথবা যখন ছাদে চলে পায়চারি তার
উনুনের কাছে ওঠে ম্যাও ম্যাও হুঙ্কার
এতেই প্রমাণ মেলে প্রফেসর ফিল্লি
হেঁজিপেজি জীব নয়! জাদুকর বিল্লি!!
নিজের দু’চোখে দেখা!! এইদিকে দেয় ঘুম
ওইদিকে ঘরে ফেরে সেরে মাঠে বাথরুম।
এই তো সেদিন ভোরে প্রফেসর ফিল্লি
হাওয়া থেকে নিয়ে এল সাত খুদে বিল্লি
উহু পারি না গো ভাই
ডেকে তাই বলে যাই
দুনিয়ায় দুটি নাই
তার হেন বিল্লি
জাদুকর ফিল্লি