এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান, মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার, দাঁতেরেনমি
রামপাস মার্জার কথা
টি এস এলিয়ট
অনুবাদঃ আবু হোসেন
কে না চেনে তাহাদের? পিকিনিজ, পলিকল
মহাতেজ খাড়া লেজ শত্রুতা অবিচল
সদাই রণং দেহি যদি মেলে দুই দল
পাগ, পম সারমেয় চায় না তো যুদ্ধ
তবু পেকে-পলিকলি রণে উদ্বুদ্ধ
দল বেঁধে ছুটে আসে হাঁক ছাড়ে ক্রুদ্ধ
রব তোলে
ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ
সেই ডাক শোনা যায় সারা গলিশুদ্ধ
এভাবেই গোলমাল লেগে থাকে রাতদিন
সেবারে হোলির আগে, একেবারে সাতদিন
নেই কোন গোলমাল গোটা পাড়া সাড়াহীন
পুলিশের কালু ডগ ছুটি নিয়ে হোলিতে
গলির টহল ছেড়ে হাওয়া দিল সেইদিন
(লোকে বলে খানা খেতে গিয়েছিল ক্যানটিন)
নিঝুম দুপুরে সেই রঙমাখা গলিতে
মুখোমুখি হয়ে গেল পেকে আর পলিতে
এগোলো না, পিছোলো না, মুখোমুখি, ক্রুদ্ধ
তর্জনে গর্জনে শব্দের যুদ্ধ
হাঁক দিল সবে মিলে
ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ
সেই ডাক শোনা গেল সারা গলিশুদ্ধ
পিকিনিজ গোরা নয়। ভিনদেশি। চৈনিক।
সবে মিলে ভাই ভাই কাঁধে কাঁধ সৈনিক
হাঁক শুনে পাড়াজোড়া যত ছিল পেকে রে
ঘর খুলে দোর খুলে সব ওঠে ডেকে রে
গোটা বারো…না না, কুড়ি…কুড়িখানা পিকিনিজ
হাঁক ছাড়ে কেঁউ কিঁউ কিঁচিমিঁচি চাইনিজ
শুনে ডাক ছাড়ে হাঁক যত ছিল পলিকল
ইয়র্কশায়ারি তারা সংগ্রামে অবিচল
পাগ আর পমপমও থাকল না পিছিয়ে
ঘর ছেড়ে নেমে এল চোখা দাঁত বিছিয়ে
তর্জনে গর্জনে বেধে গেল যুদ্ধ
ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ ঘৌ
সেই ডাক শোনা গেল সারা গলিশুদ্ধ
গরগর ঘৌ ঘৌ কেঁউকিঁচ শব্দ
থেমে গেছে গাড়িঘোড়া মেট্রোও স্তব্ধ
দরজায় খিল এঁটে ভয়ে কাঁপে লোকজন
কেউ কাঁদে কেউ করে দমকলে টেলিফোন
সেইকালে ফাঁক গলে ছোটো এক দরজার
রাস্তায় নেমে এল রামকেল মার্জার
হাঁড়িমুখ ভাঁটাচোখ রাগে জ্বলে ধ্বকধ্বক
মুখভরা শূলপানা দাঁতগুলি চকচক
দাঁত খুলে হাই তোলে রামকেল মার্জার
দেখে তাই যোদ্ধারা মুখ বোঁজে যার যার
লাফ মেরে এইবারে যেই এল বাইরে
পেকে, পলি লেজ তুলি বলে, “আজ যাই রে!”
পুলিশের কালু ডগ সে কী সবই জানত?
ছুটি থেকে ফিরে এসে দেখে, সব শান্ত।
জয়ঢাকের ছড়া লাইব্রেরি