জবর প্যাঁচ
অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
কালকা মেল-এ হাওড়া নেমে বেভুল হয়ে কালকে,
মুশকিলে খুব পড়তে হল বংশীভূষণ পালকে।
কুলির মাথায় চাপিয়ে বোঝা হঠাৎ ভিড়ের ধাক্কায়,
খেই হারিয়ে বংশীভূষণ, ঘুড়ির মতো পাক খায়।
সেই ফাঁকে তার কাগেজ হাওয়া, কুলিও দিল লম্বা,
তাতেই ছিল দশটি হাজার, হয়ত কিছু কম বা।
মেয়ের কেনা উলের পোশাক, সব যে হল ফর্সা,
গিনি হারান শালের চাদর, তাঁর চোখেতেও বর্ষা।
সিমলা থেকে সরস আপেল, সব ছিল ওই বাক্সে,
সেই কুলিটাই সব হাতালো, উদর পুরে খাক সে।
হরেকরকম মশলা ছিল, পাথর বসা গয়না,
এক নিমেষে সব হারাল, কষ্ট যে আর সয় না।
ডুকরে কেঁদে উঠল মেয়ে, চেঁচিয়ে ওঠে পুত্র,
লোকটা পাজি খুব সেয়ানা, পালিয়ে গেল কুত্র।
এতক্ষণে মুচকি হেসে বংশী বলেন দূর দূর,
তালার চাবি আমার কাছেই, ও-লোক যাবে কদ্দূর।
খানিক বাদেই ফিরতে হবে চাবিটা চাই পাক্কা,
পাকড়ে তখন ধরব সবাই, থাক না ভিড়ের ধাক্কা।
জয়ঢাকের ছড়া লাইব্রেরি