আগের পর্বঃ টমাস ডান
সনে বিন-এর জীবন
ষোড়শ শতাব্দির স্কটল্যান্ডের নরখাদক সনে বিন পরিবারের কাহিনী বহুযুগ ধরে কৌতুহলী পাঠকের কাছে রোমাঞ্চের খোরাক হয়ে থেকেছে। আবার একই সঙ্গে তা ইন্ধন জুগিয়েছে ইতিহাসবিদ, সমাজতাত্বিক ও মনস্ততত্ত্ববিদদের হাজারো বিতর্কে।
১৭১৯ সালে প্রথম একটি প্যাম্ফলেটে এই ঘটনার ওপর একটা ছোটো রিপোর্টের দেখা মেলে। তারপর গোটা অষ্টাদশ শতাব্দি জুড়েই বিভিন্ন ছোটো ছোটো পুস্তিকাতে এই কাহিনী গ্রন্থিত হয়ে আসছিল বৃটেনে। এরপর নিউগেট ক্যালেন্ডারে তা স্থান করে নেয়। ১৮৪৩ সালে জন নিকলসন সনে বিনকে নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখলেন তাঁর ‘হিস্টোরিক্যাল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল টেলস কানেক্টেড উইথ দ্য সাউথ অব স্কটল্যান্ড’ বইতে। তারপর থেকে এ-নিয়ে তাত্বিক ও রসিক দুই মহলেই বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকে তো এমনও বলেছেন, গোটা বৃত্তান্তটাই স্কটদের ছোটো করবার জন্য বানানো গল্প। ওদিকে স্কটরা কিন্তু ট্যুরিজমের ভালো ব্যাবসা ফেঁদেছে তাদের নিজস্ব এই নরখাদককে নিয়ে। গ্যালোয়ে অঞ্চলে সমুদ্রের ধারে সনে বিন-এর গুহা এখন স্কটল্যান্ডের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট আকর্ষণ। সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এই কাহিনীর আক্ষরিক সত্যতা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যাচাই করবার উপায় না থাকলেও, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে স্কটল্যাণ্ডে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময়ে সেখানে নরখাদকবৃত্তি যে থাবা বসিয়েছিল সেটা মোটামুটি নিঃসন্দেহে ধরে নেয়া যায়। ফলে, বলা যায়, সনে বিন-এর কাহিনিতে সত্যতা কিছুটা আছে।
সনে বিন জন্মেছিল এডিনবার্গের আট মাইল পুবে, পূর্ব লোথিয়েনে। স্কটল্যান্ডে তখন ষষ্ঠ জেমসের রাজত্ব।গরিবের সংসার। বাবা লোকের বাড়ির নর্দমা, ঝোপঝাড় সাফ করে দিন গুজরান করতেন। ছেলেকেও সে-কাজে লাগাবার জন্য তৈরি করছিলেন তিনি।
কাজটা নোংরা বটে, তবে অধর্মের কিছু নয়। পরিশ্রম করে জীবনধারণের একটা উপায়। তবে এ-সব সৎকর্মে সনে বিন-এর মন মোটেই বসত না। একটু বড়ো হতেই তাই নিজের পছন্দের একজন বউ জোগাড় করে নিয়ে বাড়ি ছাড়ল সে।
বড়ো কুঁড়ে, হিংসুটে আর প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিল সনে বিন। তার বউও ছিল একেবারে তার যোগ্য সহচরী। কাজকর্মে মন নেই, তায় অমন কুচুটে দুই মানুষ। সমাজে তাদের আর তবে জায়গা হবে কেমন করে? অতএব গ্রামশহর ছেড়ে তারা দুজন গিয়ে আস্তানা গাড়ল গ্যালোয়ের নির্জন এলাকায়। সমুদ্রের ধারে একটা জুতসই গুহা বেছে নিয়ে তার মধ্যে সংসার পাতল নতুন দম্পতি।
প্রায় মাইলটাক গভীর ছিল গুহাটা। অজস্র ডালপালা তার ছড়িয়ে গেছে পাহাড়ের পেটের ভেতর দিয়ে। জোয়ারের সময় সমুদ্র উঠে এসে তার মুখটাকে একেবারে ঢেকে দিত। গুহামুখ থেকে প্রায় দুশো গজ অবধি জায়গা ডুবে যেত জলে। তাতে অবশ্য সনে বিনদের কোন অসুবিধেই হত না। তারা ঘরসংসার নিয়ে আস্তানা করেছিল সেই সুড়ঙ্গের জালের একেবারে দূরের প্রান্তে, পাহাড়ের অনেকটা গভীরে। সেখানে জোয়ারের জল পৌঁছোত না।
এইখানে আস্তানা করে তারা ডাকাতি শুরু করল। সমুদ্রের ধার বেয়ে নির্জন পাহাড়ি পথের নিঃসঙ্গ পথিকরা ছিল তাদের শিকার। অপরাধের কোন প্রমাণ রেখে যেত না সনে বিনরা। ডাকাতির পর শিকারকে প্রাণে বাঁচতে দেয়া তাদের আইনের বাইরে ছিল। সে-ব্যাপারে বাচ্চাবুড়ো নারীপুরুষে কোন ভেদ রাখত না তারা।
তারপর দেশে দুর্ভিক্ষ এল। শহরবাজারের লোকজনই খেতে পাচ্ছে না তো সেই জনশূন্য পাহাড়ি গুহায় আর কত খাবার জুটবে তাদের? বেশ কিছুদিন এমন চলবার পর সমস্যাটার সমাধান করল তারা একেবারে অমানুষিক একটা রাস্তায়। ডাকাতির শিকার মানুষদেরই তারা খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দিল। তাছাড়া খেয়ে ফেললে তো আর মৃতদেহ লুকিয়ে রাখবার ল্যাঠাও থাকে না!
কাজেই, সেই দুর্ভিক্ষের বছরগুলোতে শুরু হল তাদের নতুন জীবন। শিকারকে মারবার পর স্বামী স্ত্রীতে মিলে তাকে বয়ে নিয়ে যেত তাদের গুহার ভেতরে। সেখানে শরীরটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে চামড়াটামড়া ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে শুকিয়ে রেখে দিত খাবার জন্য।
আস্তে আস্তে সংসার বড়ো হচ্ছিল তাদের। একে একে আটটা ছেলে আর ছটা মেয়ে হয়েছে। বাইরের দুনিয়ার নজরের আড়ালে অন্ধকার গুহারাজ্যে তাদের সে এক প্রেতের সংসার। পরিবারের বাইরের আর সমস্ত মানুষই তাদের খাবার। কাজেই নিজেদের মধ্যেই বিয়েশাদি, পরিবার। সেই করে বছরে বছরে বাড়তে লাগল সনে বিন-এর সংসার। জন্মাল আঠারোজন নাতি আর চোদ্দজন নাতনী।
একবার মানুষ খেতে শুরু করে দেবার পর খাবারের অভাব আর কখনো হয়নি তাদের। সনে বিন-এর বিরাট পরিবার এখন দলবদ্ধ হয়ে শিকারে বের হয়। পরিবারের বাচ্চা-বুড়ো, যার যেমন সামর্থ্য শিকারে সাহায্য করে। কেবল একা পথিক নয়। এখন প্রয়োজনে চার থেকে ছ’জন মানুষের দলকেও আক্রমণ করে তারা। তবে ঘোড়সওয়ার হলে অবশ্য আলাদা কথা। একসঙ্গে একজনের বেশি ঘোড়সওয়ার থাকলে তাদের কখন আক্রমণ করে না মানুষশিকারীর দল।
তাদের আক্রমণের পদ্ধতি ছিল বেশ পেশাদার। গুহার সামনে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া পাহাড়ি পথের আশপাশে ছড়িয়েছিটিয়ে লুকিয়ে থাকত গোটা পরিবার। প্রথম আক্রমণটা শানাত তাদের একটা ছোটো দল। যদি কোন শিকার তাদের হাত থেকে বেঁচে পালাতে পারত, তখন দলটার বাকি সদস্যরা লুকোনো জায়গা থেকে বের হয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ত পলাতক শিকারের ওপর।
একেক সময় তো এইভাবে দল বেঁধে কাজ করে এত শিকার মিলে যেত যে বেশ কিছু শুঁটকি করে রাখা মাংস সমুদ্রের জলে ফেলে দিতে হত তাদের। বিসর্জনের ঘটনাটা অবশ্য ঘটানো হত খুব সাবধানে, রাতের অন্ধকারে, তাদের আস্তানা ছাড়িয়ে অনেক দূরের কোন এলাকায় গিয়ে।
তবে কোনো শিকার বেঁচে ফিরে এসে খবর দিতে না পারলেও, গোটা অঞ্চলটায় একটা অজানা ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছিল তখন। হঠাৎ হঠাৎ করেই কিছু কিছু মানুষ যেন হাওয়ায় উবে যাচ্ছে কোন চিহ্ন না রেখে। আর তারপর যখন মাঝেমধ্যে সমুদ্রের জলে মানুষের শুঁটকি করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভেসে আসা শুরু হল তখন ঠিক হল রহস্যটার একটা নিষ্পত্তি করা দরকার।
খোঁজারুর দল বের হল চারপাশে। আশপাশের বনজঙ্গল তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হল। কোথাও কিছু পাওয়া গেল না। খুঁজতে খুঁজতে বহুবারই অনেকে সেই গুহামুখটার সামনে দিয়েও গেছে। তার জলে ভেজা স্যাঁতসেঁতে মুখটা দেখেই বোঝা যায় সমুদ্রের জল ঢুকে তাকে বোঝাই করে দেয় দিনে দুবার। ফলে ওর মধ্যে যে এমন একটা প্রেতের সংসার থাকতে পারে সে-কথা কেউ ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ করেনি।
ওদিকে লোকজনের হারিয়ে যাবার কোন বিরামও ছিল না এই সময়টা। শেষমেষ লোকজনের সন্দেহ গিয়ে পড়ল পথের পাশের সরাইখানাগুলোর ওপরে। কোন পথিক হারিয়ে গেলে প্রথমে খোঁজ করা হত শেষ কোন সরাইখানায় রাত কাটাতে দেখা গেছে তাকে। সন্দেহটা গিয়ে পড়ত সেই সরাইওয়ালার ওপরে। মানুষ তখন ভয় পেয়ে রেগে রয়েছে খুব। ওসব বিচারটিচার বা সাক্ষিসাবুদের ধার তারা আর ধারছে না মোটেই। সন্দেহ হলেই সটান খুন করা হচ্ছিল সেইসব সরাইওয়ালাকে।
এইভাবে জনরোষের মুখে বেশ কিছু নিরীহ মানুষ খুন হবার পর সে-অঞ্চলের সরাইওয়ালারা একে একে ব্যাবসা গুটিয়ে চম্পট দিতে শুরু করে দিল। ফলে দুর্দশার অন্ত রইল না পথচলতি মানুষের।
এইভাবে দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে সনে বিন আর তার পরিবার মিলে নরখাদকবৃত্তি চালিয়ে গিয়েছিল সেই এলাকায়।
তারপর একদিন তারা ধরা পড়ে গেল নিতান্তই হঠাৎ করে। এক সন্ধেয় পাশের গ্রামের মেলা থেকে ফেরবার পথে এক দম্পতি সনে বিনের খুনেদের পাল্লায় পড়েছিল। একটাই ঘোড়ার পিঠে ফিরছিল তারা দুজন। আক্রমণের শুরুতে পেছনে বসা স্ত্রীকে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে গেল একটা দল। তারপর তাকে মাটিতে ফেলে পেট চিরে তার নাড়িভুঁড়িগুলো ছুঁড়ে ফেলতে লাগল চারপাশে।
ঘোড়ায় সওয়ার মহিলার স্বামীকে তখন ঘিরে ধরেছে অন্য একটা খুনের দল। ঘোড়ার পিঠে বসেই প্রাণপণে তিনি লড়াই দিচ্ছিলেন তাদের সঙ্গে। তবে সেই অসম লড়াইয়ের শেষে তাঁকেও হয়ত খাদ্যই হয়ে যেতে হত, কিন্তু ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল। হঠাৎ পথের মোড়ে দেখা দিল মেলাফেরৎ জনাত্রিশেক মানুষের একটা দল। ফলে ঘোড়োসওয়ারকে জ্যান্ত ফেলে পালাতে বাধ্য হল নরখাদক শিকারীরা। পাশের জঙ্গলে ঢুকে একেবারে যেন জাদুমন্ত্রে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল তারা।
নিহত মহিলার শরীর নিয়ে গোটা দলটা তখন হাজির হল গ্লাসগো শহরে। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়া হল। এবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে খবর গেল রাজদরবারে। কয়েকদিনের মধ্যে রাজা জেমস নিজেই চলে এলেন নরখাদক শিকারে। সঙ্গে চারশো সৈন্যের একটা দল, আর বেশ কিছু সুশিক্ষিত ব্লাডহাউন্ড। শিকারীদের গাইড হলেন সেই বেঁচে যাওয়া ঘোড়সওয়ার।
গোটা এলাকাটা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অপরাধীদের কোন চিহ্ন মিলল না প্রথমে। তখনও বারংবার চোখে পড়তে থাকা গুহামুখটাকে দেখে সন্দেহ হয়নি কারো। কিন্তু শেষমেষ ব্লাডহাউন্ডদুটো সেই গুহার স্যাঁতসেঁতে মুখের ভেতরে ঢুকে এমন হাঁকডাক শুরু করে দিল যে বাধ্য হয়ে সেদিকে নজর দিতে হল শিকারীদের।
সৈন্যরা প্রথমে ভেবেছিল কুকুরগুলো ভুল করছে বুঝি। একটা ছোট্টো গুহামুখ, সমুদ্রের জলে ডুবে যায় বারবার, ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এর মধ্যে এতবড়ো একটা ডাকাতের দল লুকিয়ে থাকবে কেমন করে? কিন্তু কুকুররা তখন সে-জায়গা ছেড়ে যেতে একেবারেই নারাজ। শেকল ধরে ঘনঘন টান লাগাচ্ছে তারা অন্ধকার গুহামুখের ভেতরদিকে। তাদের এত উৎসাহ দেখে ঠিক করা হল গুহাটার ভেত্রটা যতই ছোট হোক সেখানটা একবার দেখে নেয়া দরকার।
বেশ কিছু মশাল জোগাড় করে নিয়ে একটা বড়ো দল কুকুরগুলোকে অনুসরণ করে এগিয়ে চলল গুহার ভেতর। গোলকধাঁধার পথ পেরিয়ে গভীর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে জালের মত পথ। কুকুররা গন্ধ শুঁকে শুঁকে তার মধ্যে দিয়ে রাস্তা খুঁজে এগোতে এগোতেই হঠাৎ একসময় তারা এসে হাজির হল, গুহারাজ্যের শেষপ্রান্তে সনে বিন-এর রাক্ষুসে পাতাল দুনিয়ায়।
মশালের দপদপে আলোয় দেখা গেল সে গুহার দেয়ালে মানুষের শুকিয়ে রাখা হাত পা, উরু, পাঁজরার টুকরো ঝুলছে সার দিয়ে। এক কোণে বিরাট পাত্রে নুনজলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে সদ্য মারা মানুষের বড়ো বড়ো টুকরো। ইতস্তত স্তূপ স্তূপ করে রাখা আছে সোনারূপোর মুদ্রা, গয়নাগাঁটি, ঘড়ি, পিস্তল, কাপড়চোপড়ের গাঁটরি। তাদের কিছু কিছু আবার দেয়ালে টাঙিয়ে ঘরের শোভাও বাড়াবার চেষ্টা করা হয়েছে।
এরপর গুহার গোটা নেটওয়ার্কে তল্লাশ চালিয়ে পুরো পরিবারটাকেই গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। সব মিলিয়ে পাওয়া গিয়েছিল সাতাশজন পুরুষ ও একুশজন মেয়েকে। নরমাংসগুলোকে এনে পুঁতে দেয়া হল সমুদ্রের ধারে। তারপর বন্দিদের শেকলে বেঁধে সঙ্গে নিয়ে রাজা ফিরে গেলেন রাজধানী এডিনবার্গে।
সেখানে কড়া পাহারায় সেই নরখাদক পিশাচের গোটা দলটাকে আটকে রাখা হল একটা বড়োসড়ো খাঁচায়। পরদিন সকালে লেইথ ওয়াক-এর বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। কোন বিচার করা হয়নি এদের। আসলে বিচার করবার মত কিছু খুঁজে পাননি তখনকার দণ্ডদাতারা।
দণ্ডিত আসামীদের শাস্তি দিতে গিয়ে কম নিষ্ঠুরতা দেখায়নি দণ্ডদাতারাও। পুরুষদের প্রথমে ধরে ধরে হাত-পাগুলো কেটে শরীরগুলোকে ফেলে রাখা হল,রক্তপাত হয়ে ধীরে ধীরে মরবার জন্য। তারপর মেয়ে ও শিশুদের জীবন্ত অগ্নিকুণ্ডে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
নরখাদকদের দলটার একজনের মুখেও শোনা যায়নি ক্ষমা চেয়ে কোন আর্তি। শোনা যায়নি কোন প্রার্থনা বা অনুশোচনার শব্দ। যতক্ষণ বেঁচে ছিল তারা, প্রাণপণে শুধু গালিগালাজ করেছে আর অভিশাপ দিয়ে গেছে মানুষের গোটা দুনিয়াটাকে, জ্ঞান হবার পর থেকে যাদের তারা চিনেছিল শুধুই নিজেদের খাদ্য হিসেবে।
টাইম মেশিন সব লেখা একত্রে