আগের সব প্যারডি একত্রে
কেয়ার অফ চাঁদমামা
সুমি চক্রবর্তী
চাঁদমামা গো, ও চাঁদমামা তোমার বাড়ি যাব
ও চাঁদমামা, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?
ফুটপাতে মা ঘুম পাড়াত, গাইত নানান সুরে
তোমার আলোয় প্রথম তখন চোখ মেলেছি দূরে।
বাপ চলে যায় ভোর না হতেই, মাও তো চলে যায়
একলা দিদি আমায় নিয়ে ভিক্ষে করে খায়।
দিদি তখন আট-ন বছর, আমি তখন তিন,
হঠাৎ একটা মাসির সঙ্গে আলাপ দু-তিন দিন।
মাসির সাথে মেসোও ছিল তারা বড়ই ভালো,
মেসোর সাথে কারা এলো ? গাড়ির রঙটা কালো!
ওদের দেখে এক্কেবারে পালিয়ে গেছি ছুটে –
তারাও দেখি ধরল ঘিরে দশ-বারো জন জুটে!
দিদির হাতে হ্যাঁচকা টানে ফেলল আমায় দূরে,
কালো কাঁচের আঁধার আমার এক পৃথিবী জুড়ে।
ও চাঁদমামা, সত্যি বলো, সব দেখেছ তুমি!
সেদিন তোমার আলোর নীচে কাঁদছিল এ ভূমি।
রাতে এখন ঘুমোতে যাই ফুটপাতের এই ঘরে,
ঘুম আসে না, আমার মুখে জ্যোৎস্না খেলা করে।
আমার দিদি কোথায় গেল ,কেউ খোঁজেনি তাকে
মিলিয়ে গেছে অন্ধকারে চোরা পথের বাঁকে,
আমার এখন বারো বছর, এবার আমার পালা,
দিদির কথা ভাবলে আমার দুচোখ জ্বালা জ্বালা।
আমায় যদি কেউ টেনে নেয় কালো কাঁচের ঘরে,
তোমার বাড়ি যাব আমি, আঁধারে ভয় করে।
দোহাই তোমায় ‘না’বোলোনা,থাকব ঘরের কোণে,
চরকাবুড়ির সঙ্গে সুতো কাটব আপন মনে।।
( প্রিয় কবি জয় গোস্বামী রচিত ‘মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয় ‘ দ্বারা অনুপ্রাণিত।)