আগের সব প্যারডি একত্রে
গ্রীষ্ম
আশুতোষ ভট্টাচার্য
প্ল্যান করেছে গ্রীষ্মকালে চিংড়ি মাটন কোর্মা-
কোথায় পাবে কুমড়ো পটল সবাই করিতকর্মা!
গাইছে রোদে কোথায় ছায়া, ঘুরছে পাখা বনবন,
ষষ্ঠীচরণ বকেন এতো পেটগরমের লক্ষণ।
মাথায় কাঁচা গোবর লেপে দিচ্ছে যারা চম্পট-
বলছে, দাদা, হাতপাখা কই, দেখাই তবে কসরত।
লম্বা-সরু ছাগল-গরু আনন্দে খায় দুধভাত;
কীর্তন আর টপ্পা গানে তালিম নেবে নির্ঘাত।
রোদের তাপে বাষ্প ওঠে ডিম হয়ে যায় ওম্লেট,
চপ-জেলুসিল কোথায় পাবি জল খেয়ে নিস ভরপেট!
আকাশবাণী অবুঝ প্রাণী, রংবাহারি রোদ্দুর,
ইলিশ মাছে চালতা গাছে খাচ্ছে সুখে জল-গুড়।
পথের ধুলো, বেগুন-মুলো খাচ্ছে ছোলা পক্ষী-
সবাই হাঁকে গানের ফাঁকে কোথায় দেহরক্ষী,
রোদের তাপে সমান মাপে কয়েকটা লেপ কম্বল
নস্যি নিয়ে লস্যি খেয়ে দাদুর হল অম্বল।
পাগল ছাগল বাজিয়ে বগল দেখায় ছাতার কসরত,
গ্রীষ্মকালে বরফ পড়ুক, কুল্ফিমালাই শরবত!
কথার ধরণ ষষ্ঠীচরণ ডিমকে বলেন আন্ডা!
ঝড় উঠেছে কালবোশেখি বৃষ্টিতে সব ঠাণ্ডা।।