আগের সব প্যারডি একত্রে
বিদ্যেবোঝাই মাস্টামশাই কাষ্ঠ হাসি ঠোটে
আমায় বলেন,অঙ্কে তোরা তিরিশ পেলি মোটে
বলত কেন বৃষ্টি পড়ে আষাঢ় শ্রাবণ মাসে
বলতে পারিস,মঙ্গলে কি শিশির পড়ে ঘাসে
কোনটা বেটার কাঁচের গেলাস কিংবা কাঁসার বাটি
গোল্লা পাবি,তোর কেরিয়ার এর কোয়ার্টার মাটি।।
খানিক বাদে মাস্টামশাই নস্যি নিয়ে নাকে
প্রশ্ন করেন সিন্ধুঘোটক কোন সাগরে থাকে
ক্যালকুলাসের সাতসতের, আর্কিমিডিস নীতি
কমলালেবু হয়না কেন চৌকোণা আকৃতি
শুঁয়োপোকা কয়খানা পদ,সেটাও জানিস না কি
নিউটন কি টিফিন খেতেন?অনেক জানা বাকি।।
মাস্টামশাই আবার বলেন,বলত চকের গুঁড়ো
যষ্টি মধু তেল মেশালে দ্রবণ হবে পুরো?
রামধনুকের গন্ধ শুঁকে পৌছনো যায় চাঁদে
ভলকানোতে কে ধোঁয়া দেয় একশ বছর বাদে?
কোন ইস্কুলে পড়ত জানিস দ্রৌপদী আর সীতা
তোর পেছনে সময় খরচ,নজরদারি বৃথা।।
সেদিন হঠাৎ বৃষ্টি ভীষণ, ঝড় উঠেছে জোরে
স্যার কি জানে কাগজনৌকো বানায় কেমন করে?
কেমন করে ওড়ায় ঘুড়ি, বাজায় পাতার বাঁশি
কলার ভেলা ভাসায় জলে,সবাই দারুণ খুশি
ছিপ বঁড়শির কার্যকরণ, টোপ গিলেছে মাছে
গুলতি ছুড়ে আম পাড়বার কায়দা জানা আছে?
এসব কিছুই জানেন না স্যার!প্রশ্ন করি আমি
স্যার বলবেন সাবাস ছেলে,হীরের চেয়ে দামী।।