হ্যাংলা, হেঁপো, ডিগডিগে আর চোখ ট্যারা
চলল সবাই জোট বেঁধে ভাই দিগ্বিজয়,
ছিপটি হাতে হ্যাংলা, যেটা আধ ন্যাড়া,
সেটাই তাদের সর্দার, তার বয়স ছয়। (প্রকল্প)
তাহার পিছে সেকেন্ড যিনি কম্যান্ড ইন,
পেন্টুলে যার আটকা থাকে সেফটিপিন।
গর্জে হাঁকেন হেঁইও জোয়ান খবরদার,
কী বীরপুরুষ! বয়েস তাঁহার বছর চার। (দেবজ্যোতি)
আমড়াতলার মোড় ঘুরতেই ঘোষপাড়া,
মোরগঝুঁটি দাঁড়িয়েছিল ফ্রক-পরা।
সৈন্যদলে আসতে দেখে ছলাৎছল,
সমস্বরে বলল তারা, তুইও চল! (শান্তনু)
আর দু-কদম এগিয়ে দেখে সৈন্যদল
ময়রাকাকা ঢুলছে বসে পাটায় তার,
ছানার গজা, জিলাপি আর মিষ্টিজল
বলছে ডেকে, যুদ্ধু লড়ার কী দরকার? (সৌমেশ)
ছিপটি হাতে আধটাকিলা হ্যাংলাটা
বলল ডেকে মোরগঝুঁটি ফোঁক শিঙে,
শত্রুদলের পেত্নীমুখো প্যাংলাটার
নাক ভাঙা হোক দ্রিম তা-না-না বক্সিংয়ে। (দেবজ্যোতি)
ডিগডিগে তার কষকে বেঁধে প্যান্টুলুন
বলল, আমি সবক’টারই ভাঙব ঠ্যাং!
হেঁপোও ক’টা ফুলিয়ে নিয়ে গ্যাস-বেলুন
বাগিয়ে ধরে চলল সিধে ড্যাডাং ড্যাং। (প্র)
এইয়োঁ রোসো! হঠাৎ বলে একটেরে
সামন্তরা যে যার মতো জায়গা নিক,
ফলগুলো সব ঝুলছে রে দ্যাখ গাছ জুড়ে
লক্ষ্যভেদে ছুড়তে থাকো দিগবিদিক। (শা)
যুদ্ধ বেধে উঠল তখন ঘনাৎঘোর,
চালাও কামান, চালাও গোলি উঠল শোর।
বাগিয়ে ধরে গুলতি এল ভয় ভুলে,
ঢাকল আকাশ ফলসা লিচু জামরুলে।
লম্ফ দিয়ে হ্যাংলাপানা শম্ভু রায়,
শত্রু হানে কামান-গোলা জাম্বুরায়।
সিঁদুরমাথা, গুলগুলি আর চৌসা আম
এরাও মারে ওরাও মারে দুরুম দ্রাম। (দে)
লন্ডভন্ড বাগানখানার এই কী হাল!
পড়বে ধরা প্যাংলাগুলো, সে আশ ক্ষীণ
হোঁৎকা মালির দারুণ রাগে ফুলছে গাল,
পাতার ফাঁকে হাসছে খসা সেফটিপিন। (সৌ)
যুদ্ধশেষে রস চুপচুপ সৈন্যদল
চলল সবাই ঘোষপুকুরে মারতে ডুব,
একশো বীরের পায়ের দাপে দিঘির জল
সাগর হল ফলের রসে মিষ্টি খুব। (দে)
ছবি অংশুমান