প্রিন্স মাহমুদের আগের কবিতাঃ ও চাঁদ , জোনাকি, মনের কথা , টাকমাথা লোকটা, আমরা শিশু ফুলের কলি, অলস ঘোড়া, ভাল্লাগে না হোমওয়ার্ক, লেজি খোকার বন্ধু বেজি
সুমন শশী একই স্কুলের ছাত্রছাত্রী তারা,
ঝগড়া লড়াই কেউ করে না, ঠেলাঠেলি ছাড়া।
শশীর চেয়ে সুমন বড়ো, যায় না সেটা মানা
রাগাবে তাই ভেবে শশী ভাইকে ডাকে কানা।
ভাইটা ভালো রাগ করে না দাঁত দেখিয়ে হাসে
এটা দেখে শশী রেগে লাফিয়ে বসে ঘাসে।
দুষ্টুমিতে সময় তাদের ভালোই কাটে জানো?
ভাইটি আচার খেলে পরে শশীটা খায় ডানো।
স্কুলের পাশে একটি পুকুর মাছে পরিপূর্ণ,
কাগজ খাবে ভেবে, তারা কাগজ করে চূর্ণ।
বইয়ের কাগজ খাতার কাগজ দিচ্ছে ছিঁড়ে তারা,
একটি মাছও ঠোকর দিয়ে দেয় না এসে সাড়া।
হাল ছাড়ে না বাজার থেকে বঁড়শি এনে পাতে,
চিংড়ি কেঁচো পিঁপড়ার ডিম ময়দা পোকা গাঁথে।
তবুও মাছ দূরেই থাকে বঁড়শি খায় না গিলে,
সুযোগ বোঝে ছোঁ মেরে এক মাছ নিয়ে যায় চিলে।
দু-দিন পরে স্কুল ছুটির পর দেখল তারা ফিরে,
পুকুর আছে কিন্তু পানি কমছে ধীরে ধীরে।
দেখল তারা কেউ ধরে শিং, কেউ-বা ধরে পুঁটি
ট্যাঁরা মাগুর কৈ টাকি শোল করছে লুটোপুটি।
ইশ যদি কেউ বলত তাদের জোরে জোরে ডেকে,
পাবদা কাতল রুই আর মৃগেল, ধরবে বলো কে কে?
কেউ ডাকে না একবারও তো ওরা পচা পাজি,
না ডাকলে নাই, পুকুর তাদের খাবেই মাছের ভাজি।