ঘুটঘুটে আঁধারে
বলি শোন দাদা রে
চুপিসারে কারা যেন ঝুপঝুপ নামে
ডালপালা থেকে ওই ডাইনে ও বামে!
কারও দেখি মাথা নেই
কারও ডান পা-টা নেই,
চোখগুলো সব্বার আগুনের ভাঁটা
ভয়ে এই পরাণটা এক্কেরে কাঁটা।
তার মাঝে একজন এ-দলের মাথা
গাছ থেকে নেমে এসে পেল্লাই খাতা
খুলে বলে, তোঁর নাঁম ডাঁনপিটে বিঁলে?
চঁড় মেঁরে চঁমকাস সঁব্বার পিঁলে!
এই শুনে, শোন দাদা, বল এল দেহে
হাঁক পেড়ে বল্লুম, ওরে তুই কে হে?
শুনে সে তো থমকায়,
বিদ্যুৎ চমকায়;
ভয়ে দেখি তার মুখ মিশমিশে কালো
দেহে যেই পড়ে সাদা বিদ্যুৎ-আলো।
জড়সড় হয়ে বলে, আঁমি দাঁদা ভূঁতু,
মাঁনুষরে মাঁরি আঁমি দিঁয়ে কাঁতুকুতু।
সাহস তো কম নয়, হুঙ্কার ছাড়ি
এক চড়ে ঘেঁটে দেব পিলে-ভুঁড়ি-নাড়ি।
মিশকালো দলটাই ভয় পেয়ে কাঁটা
ওকে ফেলে সব্বাই দিল পিছু হাঁটা।
ঠকঠক কেঁপে সেও বলে, গুঁরু, শোঁনো
কাঁউকে মাঁরার আঁর শঁখ নেঁই কোঁনও।
তোঁমাকেই ঘ্যাঁচ কঁরে মাঁরবার ছঁকে
তিঁন মাঁস পিঁছু পিঁছু ঘুঁরেছিল যঁকে;
গঁতকাল আঁমাকেই বঁরাতটা দিঁলে
শেঁষে তুঁমি চঁমকালে আঁমাদের পিঁলে!
নাঁক খঁত দিঁয়ে যাঁই, মেঁরো নাঁকো গুঁরু
আঁজ থেঁকে ভূঁতদের দাঁসপ্রথা শুঁরু।
তোঁমাদের সঁব কাঁজ কঁরে দেঁব আঁমি
পঁরাণে মেঁরো নাঁ শুঁধু, বঁড্ডো সেঁ দাঁমি।
যঁতদিন আঁমাদের বংশেঁ ও ঝাঁড়ে
যাঁরা যাঁরা জঁন্মাবে ডাঁইনে ও আঁড়ে
সঁক্কলে তোঁমারই তোঁ অঁনুগত দাঁসই
ভূঁতে আঁর হাঁসবে নাঁ বিঁটকেল হাঁসি!
লেখাটি প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
LikeLike
খুব সুন্দর ছড়া। প’ড়ে যারপরনাই আনন্দ পেলুম।
LikeLike