চতুর শশক, ধীর কচ্ছপ – একই বনে বাস
একই সাথে ওঠা বসা নিত্য, বারোমাস।
একদিন, সেই শশকভায়া ভাবল মনে মনে
কে বড়ো, কে হেরো, সেটা বুঝতে হবে জেনে।
মাঠ পেরিয়ে চড়বে যেজন প্রথম টিলার শিরে
অন্যজনায় সেরা মেনে ঠুকবে সেলাম তারে।
বলল শশক কচ্ছপকে “লড়তে হবে বাজি”
শর্ত শুনে, ঘাড়টি নেড়ে, কচ্ছপ হল রাজি।
চতুর শশক বুকটি ঠুকে মনে মনে ভাবে,
আমার সঙ্গে জেতার সাধ্যি কচ্ছপের কি হবে !
ঠিক দিনেতে দু’জন মিলে, মাঠের ধারে এলো
সুয্যিমামা রোদ ছড়ালে দৌড় শুরু হলো।
মাঠের মাঝে পৌঁছে, শশক দেখে পিছন ফিরে –
অনেক দূরে কচ্ছপটা আসছে, ধীরেধীরে।
” কচ্ছপ ভাই ধীরে চলে, সময় অনেক লাগে-
দুই লাফেতে চড়ব টিলায়, আমিই তো তার আগে ।”
এইনা ভেবে শশক ভায়া আরামে দেয় ঘুম
কচ্ছপ তো ধীরে ধীরেই হাঁটছিল নিঃঝুম
সে তো জানে, লক্ষ্যটি তার আছে অনেক দূরে
কাজে সে তাই দেয় না ফাঁকি, একটু সময় তরে
এমনি করে ধীরে ধীরে ছোট্ট পায়ে চলে
একসময় সে পৌঁছে গেল দূরের টিলার কোলে।