শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো ছড়া- ভূতের দেখা, নেই, দেবতা, বোঝো, দিনরাত, লবঙ্গ, ওমনিভোরাস হোমনিচরণ , ইন্দি ঠাকরুণের ছেলেপিলে
পর্তুগিজের কেল্লা ছিল
একশো গজি লম্বা,
তার ও-পাশে মন্দিরে মা
ছিলেন জগদম্বা।
নৌকো নিয়ে লুঠতরাজে
সিদ্ধ ছিল তারা,
মহাজনে কী আর করে
সন্ধি করা ছাড়া?
এক-দুটো লোক বেজায় সাহস
একলা রুখে বলে,
পরোয়া নেই তোদের
(আমি) নিকেশ করব পেলে।
লড়াই হল, মরল অনেক
শেষকালে যা ঘটে,
গড় ছেড়ে সব জঙ্গলেতে
পালাল বোম্বেটে।
কে ভাগাল? বলছি শোনো
ফিরিঙ্গি যে বণিক,
সারিয়ে তারা কেল্লাখানা
বসল হয়ে মালিক।
রসদ এল, বারুদ এল
এল রে সৈনিক,
কুচকাওয়াজে ভরল বাতাস
প্রভাতে দৈনিক।
লাটের গড়ে বসল দেয়াল
হাজার হাজার গাছ,
চারপাশে তার কাটতে হল
গভীর করে খাদ।
সেসব গেল কালের স্রোতে
স্বাধীন দেশের জমি,
সেই তো বণিক, তবুও মালিক
হোটেল হল দামি।
মন্দিরে মা জগদম্বা
তেমনই ঠিক আছেন,
বদল দেখে কেল্লাখানার
নিজের মনে হাসেন।