প্রকল্প ভট্টাচার্যের আরো ছড়াঃ আবীরপুরুষ, প্রাণ ভরিয়ে্ , আজ জ্যোৎস্না রাতে, দুগ্গা দুগ্গা, রি-মেক ছড়া, মা দুর্গা, জোড়া ছড়া, বিদঘুটে–, চুরমুর, বিজ্ঞানী, কুলপিওয়ালা, পুজোর ছুটি, তাজমহল, দিনবদল, সান্টাগান, জাম্বোনগর, পাখিপড়া, আট পনেরো, মাটির কাছাকাছি
বিজ্ঞানেতে প্রযুক্তিতে এগোচ্ছে পৃথিবী,
কিন্তু বেজায় বোর হয়ে যায় সাত সে চিরঞ্জীবী!
অশ্বত্থামা ব্যস্ত শুধু হোয়াটস-অ্যাপ আর চ্যাটে,
খেলছে বলি ভিডিও ক্রিকেট ভার্চুয়ালের ব্যাটে।
ব্যাস ও কৃপ মগ্ন ধ্যানে, পরশুরাম ঢোলে
ধৈর্য ভেঙে উঠল হনু, দুত্তেরিকা বলে।
‘শোন বিভীষণ, লঙ্কা যাবি? সাতসাগরের পার?’
বলেন বিভী, ‘সে লঙ্কা কি এখন আছে আর!
তারচে’ বরং আয় খেলি ভাই অনলাইনে পাশা।
সে যাই বলিস, ইন্টারনেট যন্তরটা খাসা!’
শুনেই হনুর রাগ হল খুব।—‘সবক’টা রাম কুঁড়ে!
থাক তোরা সব, একাই গেলাম দেশভ্রমণে উড়ে!’
তারপরে যেই লাফ মেরেছেন, বিশ্ব ওঠে দুলে
কলির যুগে ছোট্ট সবই, গিয়েছিলেন ভুলে!
এক লাফেতে ধরতি ছেড়ে সৌরজগৎ পার,
আলোর বেগে চলল হনু ছায়াপথের ধার।
এই ঘটনা কেউ জানে না, কেবল জানে ন’দা
তারার ভিতর কাল দেখেছে হনুমানের গদা!