গল্প-জব্বলপুরে ভরদুপুরে-সীমা ব্যানার্জ্জি রায়-বর্ষা ২০১৬

galpojabbalpure01 (Medium)

গরমের ছুটিতে ঝিন্টি, ফষ্টি, ম্যাস্তা, পিউলি, পিকু, নন্তু, টুক্কি সব্বাই এসেছে দাদুর বাগানবাড়িতে। দাদুর বিশাল বাগানবাড়ি মধ্যপ্রদেশে জব্বলপুরের নেপিয়ার টাউন শহরে। বিরাট বিরাট ঝাউগাছ দিয়ে ঘেরা। দুপুরে সেই গাছের ছায়ায় বেশ আলোআঁধারি হয়ে থাকে। গা ছমছম করে বাদলা দিনে।

কী গাছ নেই সেই বাগানে! ঝাউগাছ ছাড়া বেলগাছ, নিমগাছ, তেজপাতাগাছ, দারচিনিগাছ, বকুল ফুল গাছ, এইরকম সব গাছে এক্কেবারে ঘেরা। এছাড়াও আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, নারকেল, পেঁপে, টোপাকুল, কামরাঙ্গা, আতা, সবেদা … একটা আবার ছোট্ট মতন পুকুর আছে, তাতে নানা রঙের সব মাছেরা খেলা করছে। সেই পুকুরে পদ্মপাতার ওপরে আবার ফড়িংগুলো বসে দোল খায় যখন, খুব ভাল লাগে দেখতে। দাদু এসবই করেছেন নিজের নাতিনাতনিদের জন্য। স্থলপদ্মগাছ দিয়ে ঘেরা পুকুরটা। দুপুরবেলা গাছের ছায়ায় মাছগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে খেলে বেড়ায়।

দাদু আগে থাকতেন বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুর শহরে। সেই জন্যে উত্তেজিত হলেই দাদুর ভাষা ভাবনা সব হিন্দিতে চলে যায়। দাদুর ধারণা, বিহারী ছাড়া আর সবাই ভীতু হয়। একদম তাগড়া হয় না। বিহারীরা ভোরবেলা কল বার করা ভেজা ছোলা খায়। নুন, কাঁচা লংকা, আদা আর পাতিলেবুর রসে ভেজানো থাকে সেই ছোলা। সেই কল বার করা ছোলা আর ছাতু খায় বলেই নাকি ওরা অত তাগড়া হয়। ছাতু খায় জল, আর ভেলি গুড় মেখে। তাই দাদু বিহার থেকে আসবার সময়েই দেওকি তিলুয়ার পরিবারকে সাথে করে নিয়ে আসেন। এই পরিবার দাদুর ঠাকুরদাদার সময় থেকে আছে। জব্বলপুরে মধ্যপ্রদেশীরাও বেশ তাগড়া হয়, কিন্তু দাদুর কাছে বিহারীরা বেশি তাগড়া।

কুট্টিরা বাগানে খেলা করে। করবে নাই বা কেন? ইচ্ছেমতো যা মন চায় খাওয়া যায়। আর বাড়িতে কারও মুখঝামটা খেতে হয় না। ওরা নিজের মনেই থাকে। স্নান আর খাওয়া ছাড়া ওদের বাড়ির ভেতরের সাথে যোগা্যোগ খুব কম। মাঝে মাঝে যদিও দাদুর ফরমায়েশ খাটতে হয়। না খাটলে দাদুর বাংলা, হিন্দি আর ইংরাজির জগাখিচুড়ি হুঙ্কারে ওদের বুক ঢিপঢিপ করে।

দাদুর কড়া নির্দেশ আছে বকুল ফুলগাছের তলায় কাউকে যেন দেখতে না পান। দেওকিনন্দনকে বলা আছে কাউকে সেখানে দেখতে পেলে দাদুকে যেন তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয়, নয়তো তার চাকরি চলে যাবে। তাই দেওকিনন্দনের ঘন ঘন বাগানে চলাফেরা থাকে।

একদিন দাদু গেছেন এক পুরনো বন্ধুর বাড়িতে দেওকিনন্দনের সাথে। কচিকাঁচারা আজ খুব আনন্দে নিজেদের মতন করে খেলছে। পাড়ার সমবয়সী আরও কিছু কচিকাঁচাও জুটেছে। সবার খুব কিওরিওসিটি, দাদু কেন বকুল ফুলগাছের তলায় যেতে বারণ করেন সব সময়। কী এমন আছে ওখানে। ওই বকুল গাছের তলায় আবার কিছুটা যায়গা ছেড়ে ইঁটের ছয় ইঞ্চি উঁচু করে বাঁধানো। দাদু নেই। তাই ওরা ঠিক করল, আজ দেখবেই ওখানে এমন কী আছে।

ফস্টির বল গড়াতে গড়াতে চলে গেছে সেই গাছের তলায়। ফস্টি বল আনতে গিয়ে দেখে একটা ছোট্ট গর্ত। সেই গর্ত থেকে কালো মতন একটা কী মুখ বাড়িয়ে আছে। সব্বাইকে ডেকে ডাকল ফস্টি, “এই দেখবি আয় শিগগির। আমি একটা শুঁড়ওয়ালা সরু মতন মুখ দেখেছি।”

ওদের মধ্যে পিউলি আবার বড্ড ভীতু। বলে, সে নাকি একটা গল্পে পড়েছে যে ওইরকম শুঁড়ওয়ালা সরু মুখ নাকি খুব ডেঞ্জারাস হয়। ব্যস! ঝিন্টি তো এক দৌড়ে ছুট্টে বাড়ির ভেতর …ফস্টি যত ডাকে, “ওরে তোরা ভয় খাস না। ভয় কীসের…দিনের বেলা…কী হবে, হ্যাঁ? কী হবে? ভূত তো আর দিনের বেলা আসে না।”

বাগানে ঢোকার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ঝিন্টি মুখ খিঁচিয়ে কী যে বলে চলেছে কে জানে…

গর্তের মধ্যে যে বেচারাই থাকুক না কেন, ফস্টি ম্যাস্তাদের দল মানতে রাজি নয় যে এটা কোনও ভয়ংকর কিছু ব্যাপার। ওইটুকু গর্তের মধ্যে আর কতটুকু প্রাণী থাকতে পারে।

কিন্তু বুদ্ধিমতী পিউলি বলে উঠল, “তাহলে দাদু কেন বকুলতলায় আসতে বারণ করেছেন? হয়তো কোনও ভূতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার আছে অথবা দাদুর কোনও গুপ্ত জিনিস রাখা আছে…যেটা আগলে রয়েছে কোনও বাস্তুসাপ!”

এই কথা শুনে কেউ কেউ হ্যাঁ বলছে তো কেউ কেউ তীব্র প্রতিবাদ করছে। ম্যাস্তা আবার খুব রহস্য উপন্যাস পড়তে ভালবাসে। তাই তার ইচ্ছে, দেখাই যাক না – কী ব্যাপার! আর এই রহস্য উন্মোচন করতে হবে দাদুর ফিরে আসার আগে। কারণ, দাদু আসার পরে দেওকিনন্দনের কড়া নজর থাকে ওদের ওপরে। দেওকিনন্দনের সাথে সাথে ওদেরও তখন দাদুর হুঙ্কারের মোকাবিলা করতে হবে। আর কারোর সেই সৎ সাহস নেই।

এইবার ওরা পাড়ার আর সব বন্ধুদের সাথে এগিয়ে গেল গর্তের দিকে… কিন্তু কই, কোনও শুঁড়ের হদিশই নেই। উপরন্তু একটা কেমন যেন চিঁকচিঁক শব্দ।

“এই চিঁকচিঁক শব্দটা কীসের হতে পারে? কেউ কি বলতে পারবে?” ম্যাস্তা প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল সবার দিকে। নন্তু,পিকু আর টুক্কি বলে উঠল, “ওটা হয় আমাদের পায়ের জুতোর আওয়াজ, আর নয়তো ইঁদুর বা সাপের আওয়াজ।”

“পায়ের জুতোর আওয়াজ কি চিঁকচিঁক করে? বুদ্ধুর দল সব,” খিক খিক করে হেসে বলে উঠল ম্যাস্তা, “আর সাপের হলে হিস হিস শব্দ আসবে। ইঁদুর হতে পারে অবশ্য।”

ম্যাস্তা হল দলের নেতা। এবারে সে বলে, “বন্ধুগণ, একজন গিয়ে খুরপি নিয়ে এসো। তবে খুব সাবধান! বাড়ির লোকজনের আড়ালে আনতে হবে। কারণ, দাদু এসে যদি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেন, বাগানে আসা বা সবাই মিলে খেলা সব কিন্তু ভন্ডুল হয়ে যাবে। দাদুর বেতের নির্দেশে পড়াশুনা করতে হবে ছুটিতে বেড়াতে এসেও। কাজেই খু…উ…উব সাবধান।”

পিউলিকে বাড়ির সবাই খুব ভালবাসে। এমনকি রাশভারী দাদু পর্যন্ত। কারণ, পিউলি খুব ভালো পড়াশুনা, গান বাজনা, আঁকা এইসব করে। আর তাছাড়া তার বাংলা লেখা বেশ কিছু ম্যাগাজিনে বেরোচ্ছে। কাজেই পিউলির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হল। বুদ্ধির জোরে পিউলিকে এই কাজটা করতে হবে পনেরো মিনিটের মধ্যে। আর পিউলি যদি অমান্য করে ম্যাস্তাদার কথা, তাহলে ওকে আর কোনওমতেই তাদের দলে রাখতে পারবে না, এটাই সাফ কথা দলপতি ম্যাস্তার। কোনও কিছুর ভাগও সে পাবে না তখন। দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে।

কাজেই হুঁ বা হাঁ না করে পিউলি আস্তে আস্তে বাড়ির ভেতরে চলে গেল। হাতে মাত্র পনেরো মিনিট সময়।

পিউলি খুরপি না পেয়ে রান্নাঘর থেকে খুন্তি আর সাঁড়াশি নিতে গিয়েই দেখে একটা চুম্বক রাখা আছে রান্নাঘরে। সে বুদ্ধি করে সব নিয়ে চলে এসেছে দশ মিনিটের মধ্যে। দেখে কেউ হাসছে তো কেউ মুখ ভেংচাচ্ছে। পিউলির কথাই শুনছে না। খুরপি আনতে গেলে বড়মামীর কাছে আর একটু হলে ধরা পড়ত সে। বুদ্ধি করে রান্নাঘরে কাউকে না দেখতে পেয়ে ওইগুলো নিয়ে চলে এসেছে।

“এগুলো দিয়েই কাজ লাগানো যাক।”

দলপতির আদেশ। অতএব শুরু হল খোঁড়া অভিযান। কিন্তু কই, কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না।

হঠাৎ পিকু বলে, “আমার হাতে একটা শক্তমতন কী যেন লাগল-”

“কী লাগল আবার? টেনে তোল দেখি।”

“তুলব কীভাবে? এই পিউলি, তোর মাথার রিবনটা দে তাড়াতাড়ি। কটা বাজে রে? দাদু না এসে পড়ে!”

সেই রিবন খুন্তিতে জড়িয়ে তার সাথে সাঁড়াশি বেঁধে নিল ওরা। তারপর নন্তুর কথায় সাঁড়াশির মুখে চুম্বকটা লাগিয়ে গর্তে ঢুকিয়ে দিল। পাহারা দিচ্ছিল বাকিরা… এবার হাই মারো মারো টান করে টেনে তুলল যা… তা হল একটা কাদা লাগানো পেন!

“ইউরেকা ইউরেকা! কী, মনে আছে দাদু বলছিলেন যে ওঁর মিনে করা পেনটা পাচ্ছেন না? এই তো সেই মিনে করা প্ল্যাটিনামের পেন!”

“হুম। আমরা সাহসী বলতে হবে,” বলল ম্যাস্তা। দাদু ছাড়া আমরা কাউকে ভয় খাই না। কী বল বন্ধুগণ?”

“গেট খোলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না ? দাদু কি ফিরে এলেন?”

সত্যি বিকেলের দিকে দাদু এসে গেলেন। দাদু ওদের বারণ করে গেছিলেন কেউ যেন বকুলগাছতলায় না যায়। তাই বেশ কিছু বালি ফেলে গেছিলেন সেখানে। কেউ গেলেই বুঝতে পারবেন তখন বালিতে পায়ের ছাপ দেখে।

বাড়ি পৌঁছেই দাদু সোজা পৌঁছে গেলেন বাগানে। সাথে দেওকিনন্দন। সেখানে বালির ওপর পায়ের ছাপ আর গর্তের মুখ বড়ো দেখে দাদুর কপালের দুইদিকের রড দাঁড়িয়ে গেল। হুঙ্কারে দেওকিনন্দন দাদুর সামনে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপচ্ছে। কচিকাঁচার দল পোঁ পাঁ দৌড়।

galpojabbalpure02 (Medium)“বড়াসাহেব, কাছু নাহি তো। সব ঠিকঠাক হ্যায়।”

“কী কাছু নাহি? সমঝা হাম মুর্খ হ্যায়? হাম মূর্খ হ্যায় তো তোম মস্ত বড়ো গোমূর্খ হো। হাম দেখতা গর্ত বড়া হো গয়া! ঝুটা আদমি। আভি নিকালো হমারা কোঠি সে। তুমকো হাম নেহি মাঙতা।”

সারাদিনে বেচারার মিনিটে মিনিটে চাকরি চলে যায়, আবার হয়। এবারে সে মনোযোগ দিয়ে সব দেখে বলল, “বালি মে প্যায়ের কা ছাপ হ্যায়।”

“কিতনা বড়া ছাপ হ্যায় বাতলাও।”

“মালুম নাহি পড়তা বড়াসাব।”

“গর্ত ঠিকঠাক হ্যায়? দেখো জরা। ক্যা বাত? কিতনা বালি চলা গয়া গর্ত মে! দেখো সামলাকে! উসকো ভিতর যা হ্যায় হটাও, সব হটাও, একদম বাহারমে ফেক দেও।”

“গড্ডহা মে এক চুহা দেখা হ্যায়।”

“উ বিভৎস হ্যায়। আর সেই বীর চুহা হ্যায়। চলো।”

“কাঁহা চলেগা বড়া সাব?”

“গেট কে বাহার।”

“ইত্তা বঢ়া চুহা কাঁহাসে আয়া জি!”

“তুমহারা মুলুকসে। আরে মূর্খ,সর্বনাশ হো গিয়া।”

“কোই চুহা নেহি হ্যায় সাব।”

“হ্যায় হ্যায়। চুহাই চিঁকচিঁক শব্দ করতা শুনাই নাহি দেতা ক্যা?”

“মানুষের পা তো আর চিঁকচিঁক করে ডাকে না, কাজেই নিকলো চুহাকো। একদম গেট কে বাহার ফেকনা। সামহালকে, কোই কৌয়া না লেকে যায়। বেচারাকো মার ডালেগা।”

এই বলেই দাদুর চোখ ফের বালির দিকে নজর পড়েছে। অমনি দাদুর গলা হুম হুম করে আওয়াজ থেকে বেরুতে আরম্ভ করল, “বান্দরের পোলাপানরা…কোথায় গেলি? বুকের পাটা নিয়ে সামনে আয়…”

কচিকাঁচার দল তো গাছের আড়াল থেকে সব দেখছিল। কিন্তু সামনে আসার ক্ষমতা নেই। দলপতির সাথে সব্বাই ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে। দাদু চারিদিকে দেখেন। ওদের না দেখতে পেয়ে আবার হুঙ্কার!

“অ্যাই দেওকিননদন, দেওকি……নন্দ…অ…ন?”

“জি, হাঁ বড়াসাব।”

“সব বান্দরকো ঢুঁঢ কর লেকে আও মেরা সামনে।”

“বন্দর কাঁহা সে লায়গা বাবু?”

“তুমহারা কোঠিসে।” (এখানে বলে রাখা ভালো, ওই বাগানের বকুলগাছের গা ঘেঁষেই দেওকিননদনের থাকার কোঠি।)

“হমারা কোঠিসে?”

“হাঁ হাঁ, তুমহারা কোঠিসে। তুরন্ত! আভি যাও। ম্যাস্তি বান্দর কে সাথ সব বান্দর কো।”

দেওকিনন্দন তো রামলালা জপতে জপতে এদিক ওদিক খোঁজা শুরু করল।

পিউলির মাথায় এই সময় বুদ্ধি এসে গেল। চুপিচুপি বলে, “ম্যাস্তিদা! ভয় পেয়ো না…দাদুর হারানো পেনটা বার করে সামনে নিয়ে চলো। দেখবে দাদু কিচ্ছুটি বলবে না।”

“গুড আইডিয়া পিউলি। তাই হবে। কী বল?”

তারপর তো দেওকিনন্দন ম্যাস্তির হাত ধরে সব্বাইকে এক সাথে হাজির করল দাদুর সামনে। দাদুর লাল চোখ ম্যাস্তির দিকে যেতেই সব রাগ জল হয়ে গেল, “কোথায় পেলি এই পেনটা বান্দর দাদুভাই?”

“ওই গর্তের মধ্যে দাদু। আর দাদু বান্দর কেন বলছ?”

“ওই গর্তের মধ্যে? সে কী? কী করে গেল? আর বান্দর বলব না তো কী? তোরা বান্দরই তো! আমিও ছোটবেলায় বান্দর ছিলাম তোদের মত।”

“কী করে গেল জানি না। তবে এসে থেকে শুনছি তোমার পেনটা হারিয়ে গেছে। তুমি আমাদের বারণ করেছিলে তাই খুঁজিনি। কিন্তু আজ বল ওদিকে চলে যেতেই দেখলাম একটা কী যেন চকচক করছে। তাই ওটাকে সবাই মিলে বুদ্ধি করে বার করেছি।”

galpojabbalpure03 (Medium)

দাদুর হা হা হাসিতে হঠাৎ সমস্ত বাগান কেঁপে উঠল। হাসতে হাসতে বললেন, “এবার বুঝলে তো তোমাদের কেন বান্দর বলি? তোরা আসবার আগেই আমি ওটা নিজেই ইচ্ছে করে এখানে পুঁতে রেখেছিলাম তোদের বুদ্ধি দেখার জন্য। আজ আমি সত্যি খুব প্রাউড তোদের নিয়ে। অ্যাই দেওকিনন্দন! জলদি সে কুছ মিঠাই লাও। আজ সব মিলকে খায়েঙ্গে……হা হা হা…”

বাড়ির সবাই হাসির শব্দে বাগানে হাজির হয়ে দেখেন, ছোটদের জড়িয়ে দাদুর সে কী নাচ!

এই লেখকের আগের গল্প

ছবিঃ মৌসুমী