অন্নপূর্ণা বায়না ধরেন শিবের কাছে এসে,
“আমায় কিন্তু যেতেই হবে আবার বঙ্গদেশে।”
কুঁচকে কপাল বলেন ভোলা আড়নয়নে দেখে,
“এইতো সবে পরশু এলে বাপের বাড়ি থেকে,
এরই মধ্যে আবার যাবে? আজকাল তো দেখি–
কৈলাশে আর মন টেঁকে না, তোমার হল একী?
বলেন দেবী মহেশ্বরের মনটা বুঝে নিয়ে —
“আমারই কি ভাল্লাগে আর তোমায় ছেড়ে গিয়ে?
পাঁচ-ছটা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে পায়ের যা দুর্দশা
তার উপরে বিপদঘন্টা বাজায় ডেঙ্গু মশা,
অসুরটা তো বেঁকেই গেছে প্রবল পেশীর ব্যথায়!”
বলেন ভোলা, “ভুলছি না আর ওসব বাজে কথায়,
আসল বাক্যি বাতলে ফেল পাঁয়তাড়া না কষে,”
মাখন মাখান অন্নপূর্ণা আশুতোষের রোষে —-
“ভাবছি এবার পালটে দেব পুজোর সকল তিথি,
পরিযায়ী পাখির মতই হব শীত- অতিথি।
লক্ষ্মী গণেশ অঘ্রানে যাক, পুজোর সানাই বাজুক।
সারু আমার সাথেই যাবে। সে তো বেজায় লাজুক!
আমি- অসুর- সারু – কাতু যাব মাঘের শেষে
ফাগুন মাসে তুমি একাই যাবে বঙ্গদেশে।
প্যাকেজ পুজোয় দুগ্গা – লক্ষ্মী- কালী – জগদ্ধাত্রী,
গঙ্গাজলে বিল্বফলে সাঙ্গ শিবরাত্রি।
শরত আকাশ বরুণ- তপন বিনি সুতোর মালায়
কখন ভাসায় মুষলধারায় কখন রোদের জ্বালায়,
বর্ষাও নয়, বসন্ত নয়, নয় পুজো নিদাঘে
এবার আমার আরাধনা শরতে নয় মাঘে।।