অমিতাভর আগের ছড়া তেন্ডুলকার
কয়েক মিনিট আমায় দিয়ে দে,
লাগবে না তোর ক’মাস –
ঘাড় ধরে আমি শিখিয়ে নেবই
বাংলা গ্রামার, সমাস!
যে সমাসে ব্যাসবাক্যে দেখবি
আঁশটে আঁশটে গন্ধ,
মারামারি করে, ঠিক বুঝে নিবি
ঐটারই নাম দ্বন্দ্ব!
যে সমাসখানা বন্ধুর মতো,
এই আড়ি, এই কী ভাব!
কঞ্জুস ব্যাটা অন্য কিছু না,
ওটাই অব্যয়ীভাব।
যে সমাসে বাড়ে অম্বল, বুকজ্বালা, সেই জানে যার হয়
অকম্মার সে ঢেঁকি সমাসের নামটা কর্মধারয়।
আর যে সমাস ব্যাটাছেলে, যার হাত ভরা টাকা, ঘুষের –
পড়োনা কখনও খপ্পরে তার, বিটলে তৎপুরুষের।
অনেক সমাস একসাথে মিলে গুঁড়ো করে নেওয়া মিহি –
চরিত্রহীন সেই সমাসের নামটা বহুব্রীহি।
যে দুটো সমাস শিখতে ভির্মি খেয়েছিল মুনি ভৃগু
সেই দুটো মিলে এক হয়ে গিয়ে যা হল, সেটাই দ্বিগু।
অলুক-ফলুক আর যা যা আছে, বুঝিয়ে দেবে তা সুধীর
এবার বলতো, দরকার আছে ব্যাকরণ কৌমুদীর?
ছবিঃ শ্রীময়ী