সম্পাদকীয় মন্তব্যঃ ঋত্বিককে গরু রচনা লিখতে বলায় সে এই রচনাটি লিখেছে।
গরু একটা খুব ভাল প্রাণী। গরুরা আমাদের দুধ দেয় আর সার দেয়। গরু অনেক রঙের হয়। সেরকমই একটা গরুর গল্প আজকে আমি তোমাদের বলব।
অনেক দিন আগে একটা গরু ছিল, তার মালিক একটা বাচ্চা ছেলে, তার নাম স্যাম। স্যাম তার গরুকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসত। গরুটার নাম স্যাম রেখেছিল শিন, শিনকে স্যাম অনেক দিন আগে একটা বাজারে খুঁজে পেয়েছিল, শিনের আগের মালিক ওকে বেচে দিয়েছিল বাজারে কেটে খাওয়ার জন্য।
যখন স্যাম শিনকে পেয়েছিল তখন শিন খুব রোগাপাতলা আর দুর্বল ছিল। তারপর স্যাম আস্তে আস্তে শিনকে স্বাস্থ্যবান বানিয়ে দিল।
একদিন স্যামের মা স্যামকে একটা বিড়াল এনে দিল, যেই বিড়ালটা স্যামের কোলে এল অমনি স্যাম শিনের কথা একদম ভুলে গেল। যতবার শিন স্যামের কাছে আসে ততবার শিনকে স্যাম দূরে ঠেলে দ্যায়। খেতেও দেয় না আর!
কয়েকদিন বাদে তাই শিন বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। রাস্তায়ে যেতে যেতে শিন কয়েকটা খুব লোভনীয় বেরি দেখতে পেল, কিন্তু বেরির যে গাছটা, সেটা খুব কালো ছিল।
এদিকে স্যামের মা যেই রান্নাঘরের দরজাটা খুলল, দেখে যে বিড়ালটা মাছ চুরি করছে। তখন স্যাম আর তার মা মিলে বিড়ালটাকে তাড়িয়ে দিল।
ওদিকে শিন যেই বেরিটাতে দাঁত ঠেকিয়েছে অমনি গাছটা একটা রক্ত জমানো চিৎকার করে উঠল। খানিক বাদে স্যাম হঠাৎ পাশের পাহাড়টা থেকে একটা ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেল।
মুহুর্তে স্যাম তার ঘোড়াটাকে নিয়ে বেরিয়ে পাহাড়ের দিকে ছুটে চলে গেল। গিয়ে দেখে একটা বিশাল মাকড়শা শিনকে এক পায়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।
ব্যাপার হল, স্যাম এবারে মাকড়শাটার সাথে সামনাসামনি লড়াই করতে পারে কিন্তু স্যাম দেখতে পেয়েছে যে মাকড়শাটার পিছনে একটা দড়ি আছে যেটা থেকে মাকড়টা ঝুলে আছে। সেটা কেটে দিলে মাকড়শাটা পড়ে যাবে। স্যাম কী করবে?
এবারে তোমার পছন্দের বাক্সে ক্লিক কর
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সব লেখা একত্রে