আমাদের বাড়ির পাশেই পার্ক। অনেকগুলো দোলনা আর রঙিন স্লাইড্ আছে পার্কে। বিকেলে আমরা দোলনায় চড়ে দুলি, সাঁই সাঁই করে স্লাইড্ বেয়ে নামি। লং উইক এন্ড-এর ছুটির পরে দেখি, ওক্ গাছের নিচে ছোট লাল স্লাইডটার ওপর অনেকগুলো গাছের পাতা একসঙ্গে রাখা। একজন ওগুলো সরিয়ে দিতে যেতেই সাঁ করে দুটো পাখি উড়ে এসে বসল ওখানে। হালকা বাদামী রঙ। বইতে ছবি দেখেছি- ওরা মোর্নিং ডাভ, মানে একধরণের ঘুঘু। পরের দিন বিকেলে দেখি আরো কিছু পাতা ওখানে। সঙ্গে সরু গাছের ডাল, পাইনগাছের নিডল্, ঘাস। মা বলল, ওরা বাসা বানাচ্ছে। ওদের কেউ আর বিরক্ত করেনি। আমরা ছোটরাও কেউ লাল স্লাইডটায় চড়িনি। ক’দিন পরে দেখি, আরে! বাসাতে দুটো সাদা সাদা ডিম। রোজ দূর থেকে ওদের বাসাটা দেখতাম। দু’সপ্তাহ পরে দেখি, ওমা! ছোট্ট ছোট্ট দুটো পাখির ছানা ঐ বাসাতে। মা আর বাবা পাখি বসে পাহারা দিচ্ছে ওদের। খুব আনন্দ হল। রোজই দেখতাম ওদের। আর কিছুদিন পরেই পাখির ছানারা উড়তে শিখল। তারপর সকলে মিলে বাসা ছেড়ে উড়ে গেল। আবার শুরু হল আমাদের লাল স্লাইড বেয়ে নামা-ওঠা। কিন্তু পাখিগুলোর জন্যে আমার খুব মন কেমন করে।
কুশার্ক মুখোপাধ্যায় । বয়স- ৬ বছর । গ্রেড ওয়ান । স্কুল অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ডিসকভারি, স্যান অ্যান্টোনিও, টেক্সাস, আমেরিকা
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সব লেখা একত্রে